মায়া
বদরুদ্দোজা শেখু
ধরণী সাঁত্রাগাছি রেল কলোনিতে থাকে।
তাদের একটা ছোট পরিবার । তার বৃদ্ধা মা , তার যুবতী বৌ ময়না আর তাদের একটা বছর সাতেকের মেয়ে চায়না। বাবা রেলে কাজ করতো সেই সূত্রে রেল কলোনিতে একটা কোয়ার্টারের তিন তলায় তাদের বাস। বাবা অবসর নেওয়ার পর বছর পাঁচেক বেঁচে ছিলো।তারপর তার মা পেনশন পায়।
সরকার এখনো তাদের কলোনির কোয়ার্টার থেকে উচ্ছেদ করেনি।
ধরণী কলকাতার ক্যানিং ষ্ট্রীটে একটি বেসরকারী কোম্পানিতে কাজ করে।
সে শারীরিক শ্রমবিমুখ।তাই সে খাতাপত্র সারে।সকালে উঠে চা খেয়ে বাবু বাজার ঘুরে আসে। তারপর স্নান সেরে খেয়েদেয়ে ন'টার মধ্যে ষ্টেশনে পৌঁছে যায়।লোকাল ট্রেন ধ'রে হাওড়া ষ্টেশন, ফেরী ঘাটে ফেরী ধ'রে ওপারে ফেয়ারলি প্লেস ঘাট,তারপর হেঁটে তার কাজের দোকানে পৌঁছায়। সারাদিন কাজকর্ম সেরে রাত আটটায় দোকান বন্ধ হ'লে সেই একই পথে হাওড়া ষ্টেশনে ফিরে আসে। ট্রেন ধরে আর সাঁত্রাগাছিতে এসে পৌঁছায়।কোনোদিন ন'টার মধ্যে, কোনোদিন সাড়ে ন'টা দশটায়।
বাড়ি ফিরে খেয়েদেয়ে শুয়ে পড়ে।
তার বৌ বাকসাড়ার মেয়ে।বাবার ছোটখাটো একটা জুতোর দোকান আছে।তারা তিন বো , ভাই নাই।মাধ্যমিক পাশ।দেখতে মোটামুটি সুশ্রী, গায়ের রঙ শ্যামলা, তবে শরীর স্বাস্থ্য বেশ ভালো। সে সকালে বাচ্চাকে স্কুলে দিয়ে আসে, এসেই রান্নার তাড়া থাকে। তারপর ধরণী চ'লে গেলে তার আর অতো তাড়াহুড়ো থাকে না। দশটার সময় আবার মেয়েকে আনতে যায়।কাছেই কলোনীর প্রাইমারী স্কুল।হেঁটে যায় হেঁটে আসে।এসে কাপড়চোপড় কাচা, আর খেয়েদেয়ে টিভি দেখা ঘুমানো। মেয়েকে পড়ানো । একঘেয়ে কাজ। ধরণী ফেরার পথে দ্যাখে হাওড়ায় স্টেশনের পাশে অনেকেই দৈনিক বাজার করে।সে কিন্তু সেদিকে নাই ।তার টাটকা সবজি মাছ এসব চায়।তাই সে প্রতিদিন বাজার যাবেই। সে ছুটির দিন হোক আর কাজের দিন হোক।আসলে ওর এই অভ্যাসটা বেকার বয়স থেকে গ'ড়ে উঠেছে।বাজারে যাওয়া , বন্ধুদের ঠেকে দেখা করা দু'বেলা আড্ডা দেওয়া, এগুলোই তখন ছিলো তার কাজ।তার এক মামা-শ্বশুরের চেষ্টায় সে কলকাতার এই কাজটা পেয়েছে।কিন্তু সে বাজারে যাওয়া বা বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার অভ্যাসটা ছাড়তে পারেনি।সকালে বাজারের পথে বা কাজ থেকে ফেরার পথে মোড়ের পাঁচুর চায়ের দোকানে একটু আড্ডা দেওয়া চায়।একটু ধোঁয়া টানা --- দু'ঢোক লাল চা খাওয়া তার পুরনো অভ্যাস। সেটা সে এখনো চালিয়ে যায়।ময়না মেয়েটাকে লেখাপড়া করাতে বললে সে বলে, ওসব তুমি করো। !
সারাদিন কী করো ? লেখাপড়াটা করাতে পারো না !
--ময়না তাকে ঘাঁটায় না । অন্ততঃ সে তো মারধর করে না , বা বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে বলে না। সে সুখী। আসলে ধরণী ওইসব বোরিং কাজ করতে মোটেওআগ্রহী নয়। অবশ্য মায়ের শরীরের খোঁজখবর সে নেয়।
বেশ চলছিলো। হঠাৎ মার্চ মাসে করোনা- ত্রাস শহরকে চেপে ধরলো। শহর কেন, গোটা দেশটাকেই চেপে ধরলো। শুরু হ'য়ে গেলো লকডাউন। এখন তার দোকানের কাজ বন্ধ, পাঁচুর চায়ের দোকান বন্ধ, জটলা করা বন্ধ। তবু ওতেঘাতে বাজার ঠিকই বসছে। নাহলে মানুষ খাবে কী? হয়তো বাজারের উপর খুব একটা কড়াকড়ি নাই।
সেই সুযোগে ধরণী বাজার যাওয়াটা ছাড়েনি । যদিও ময়নার চাপে মাস্ক পরা শুরু করেছে, তবে ওইটুকুই।পথে বন্ধুদের দু'চারজনের সাথে বিড়ি ফোঁকাও চলছে। কেউ জিজ্ঞাসা করলে বলে,এই একটু বাজার থেকে ঘুরে আসি।খবরে নানা জায়গায় বিশৃঙ্খলার লাইভ বিবরণ দেখাচ্ছে, পুলিশের তৎপরতা বা নির্লিপ্ততা দেখাচ্ছে। করোনার গ্রাস ছড়িয়ে পড়ার খবর দেখাচ্ছে। তাতে তার তেমন কোনো হেলদোল নাই। একদিন বাজারে গিয়ে পুলিশের তাড়াও খেয়েছে।মার খেতে খেতে বেঁচে গেছে। সেই থেকে একটু ভয় ধরেছে।
এখন বাজারে কম যাওয়া শুরু করেছে। ফোনে খোঁজখবর নিয়ে যায়। কিন্তু বাইরে না গেলে, কলকাতা না গেলে তার সময় যেন কাটতে চায় না।সারাদিন বোরিং।কতো আর ফোন ঘাঁটা যায় আর টিভি দেখা যায় ?
আর স্ত্রীর কথা মতো গৃহপালিত কাজকর্মে হাত লাগানো তার ধাতে নাই।রেগে গোঁজ হয়ে থাকে। মায়ের সামনে উল্টোপাল্টা কিছু বলতে পারে না।সারাদিন কেটে যায় , সন্ধ্যা আর কাটতে চায় না।বন্ধুদের ঠেকও এখন পুলিশের তাড়ায় ছত্রভঙ্গ । সে একটা ওজুহাত খুঁজতে থাকে। কী করা যায়, যাতে তাকে সংসারের কাজে স্ত্রীর ফাইফরমাস খাটতে না হয়, আর তাকে দেখাতে পারে যে সে অন্য কাজে ব্যস্ত আছে, ঘরে আছে । মোটেও বাইরে যাচ্ছে না।
অবশেষে ভেবে ভেবে একটা উপায় সে বের করলো। সে একদিন তার বাবার পুরনো ট্রাঙ্কটা তার মায়ের ঘর থেকে টেনে বের করলো আর কিছু খুঁজতে শুরু করলো। খুঁজতে খুঁজতে তার মনে হলো, দূর ছাই, কী আজেবাজে জিনিস বাবা ট্যাঙ্কে রেখেছে? আর সেগুলো সাত-পুরনো রদ্দি হ'য়ে গেছে। কোথাকার শাড়ি কেনার রসিদ, ডাক্তারের প্রেসক্রিপসন, ট্রেনের টিকিট, চিঠিপত্রের খসড়া, খোলা খাম , রাখী , ডিউটি রোস্টার এইসব আর-কি ! কিন্তু কী আর করা যায়। লকডাউনের ফেরে এই সবই এখন তার সময় কাটানোর আর গৃহপালিত কাজে ফাঁকি দেওয়ার বিশেষ মূলধন। তাই সে মনোযোগ সহকারে ওই সবকিছু একটা একটা ক'রে গুছিয়ে সাজিয়ে রাখে সময় নিয়ে।কারণ, তাকে তো লকডাউনটা পার করতে হবে। মেয়ে এসে শুধায়, এসব কী করছো বাবা ? বলে, কাজ করছি , আমার বাবার পুরনো জিনিস গুছাচ্ছি। তুই যা। ময়না দ্যাখে আর চুপ থাকে , কিছু বলে না।
এইসব খোঁজাখুঁজির টালবাহানা করতে করতে একেবারে ট্রাঙ্কের তলায় কাপড়ে-মোড়া একটা ছোট পুঁটুলি সে হাতে পেল, যত্ন ও আগ্রহ সহকারে খুলে' দেখলো, বেশ কয়েকটা ইনল্যান্ড লেটার ওতে প্যাক করা আছে। মনে হচ্ছে অনেক পুরনো, পাতাগুলো মেটে হ'য়ে এসেছে। তবে তারিখ অনুসারে সাজানো। যাক, তাকে সাজানোর কাজটা করতে হচ্ছে না। অবশ্য ওটা করা না থাকলে ভালোই হতো , আরও একটা দিন সাজানোর কাজে সে কাটিয়ে দিতে পারতো। লেটারগুলো খুলে সে দেখলো, বেশ স্পষ্ট ও গোটা গোটা হাতের লেখা । দেখে মনে হচ্ছে মেয়েলি হাতের লেখা।নাম ধাম ঠিকানা কিছুই নাই, এ কেমন চিঠিরে বাবা! অবশ্য খুঁজে খুঁজে একটা দুটোর শেষে নাম পেলো,- ---'ইতি,তোমার মায়া' ।
কে এই মায়া ? তার মনে প্রশ্ন জাগলো।সে চিঠিগুলো একে একে পড়তে শুরু করলো।
বুঝলো , গভীর প্রেম নিবেদনের পত্র।
' প্রিয় শ্রীচরণেষু' ব'লে শুরু ক'রে তার ভিতরে যে এতো মাদক প্রবণতা থাকতে পারে, তা সেভাবেনি।যত্ন ক'রে লেখা। প'ড়ে মনে হয়, এর রচয়িতা বেশ শিক্ষিতা বটে। চিঠিগুলো উল্টে পাল্টে সে বোঝার চেষ্টা করলো, সেগুলো কোথা থেকে এসেছে। এমনকি ডাকঘরের ডেটসীলগুলোও খুব অস্পষ্ট হয়ে গেছে।
কিছুই বোঝার জো নাই। বেশ কয়েকদিন সে ওই চিঠিগুলো প'ড়ে আর তার রহস্য খুঁজে কাটালো।একদিন বেশ খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে একটা চিঠির উপর ডাকঘরের সীল অস্পষ্ট মনে হলো, জলপাইগুড়ি হেড অফিস । জলপাইগুড়িতে তো তার বাবা ছিলো। একথা তাহলে একমাত্র তার মা
বলতে পারে , মায়া কে ছিলো। এইসব খোঁজাখুঁজির কাজে সে এতো ব্যস্ত হ'য়ে পড়লো যে বাইরে যাওয়ার নাম করে না। ময়না শুধোলে বলে, আছে আছে , রহস্য খুঁজছি।ব্যস্ত কোরো না। সে তো তার বাবার অন্যান্য বইপত্র ফাইল ইত্যাদিও তন্নতন্ন ক'রে ঘাঁটলো, কিন্তু কিছু উদ্ধার করতে পারলো না। হ্যাঁ , আরো কয়েকটা লেখা ইনল্যান্ড লেটার সে পেলো , কিন্তু সেগুলো পোষ্ট করা হয়নি। সেটাও বিরহের আবেদনে ভরপুর প্রেমপত্র। শুরু হয়েছে ' প্রিয়তমাসু মায়া' এই ব'লে- - - - - আর ' ইতি , তোমার চিরদিনের- - - ' ব'লে শেষ হয়েছে । কিন্তু নাম সই করা নাই। বেশ রহস্যজনক ব'লে মনে হলো। তবে এগুলো তার বাবার হাতের লেখাই ব'লে মনে হচ্ছে, নাহলে এগুলো তার ট্রাঙ্কে আসবে কেন ? তার মায়ের অন্য নাম কি মায়া ? এটা তো সে কখনো শুনে নি।
একদিন যখন তার স্ত্রী ময়না কাপড় কাচতে গেছে , সে তার মাকে জিজ্ঞাসা করলো , মা , এই মায়া কে ?
তার মা কিছুটা বিস্মিত হ'য়ে বললো, 'মায়া ?
মায়া ব'লে তো কাউকে আমি চিনি না।'
---- ' বাবার কাছে কখনো এই নাম শুনো নি ?'
-----' তোর বাবার কাছে? না তো। এই নাম তো কখনো শুনিনি। কেন রে ,কী হয়েছে ? এই কথা জিজ্ঞেস করছিস ?'
ধরণী বললো, দ্যাখো মা, বাবার ট্রাঙ্কে কাপড়ে বাঁধা কতকগুলো চিঠি পেয়েছি, বহু পুরনো। যে পাঠিয়েছে তার নাম মায়া।কোনো ঠিকানা নাই।
---- 'কীসের চিঠি প'ড়ে দেখেছিস?'
ধরণী আমতা আমতা ক'রে বললো, 'সেগুলো সব প্রেমপত্র , মা। বাবাকে লেখা।
তুমি কিছু জানো কি না?'
তার মা শুধালো,'পোস্ট অফিসের ছাপ নাই ?'
---'-খুব অস্পষ্ট হ'য়ে গেছে মা। তবে একটা দেখে মনে হচ্ছে, জলপাইগুড়ি পোস্ট অফিসের ছাপ আছে।'
তার মা চুপ ক'রে থেকে বললো, হয়তো জলপাইগুড়ির হবে। ওখানে তোর বাবার পোস্টিং ছিলো তো, তবে আমার সাথে বিয়ের আগে।হয়তো কিছু থেকে থাকবে। আমি ওসব জানি না'।
ধরণী বায়না ধরলো, 'বলো না মা । বাবা তো এখন বেঁচে নাই যে তোমার ভয় আছে।আমি জানতে চাই মা।
মা বললো, ' ওসব কেচ্ছার কথা শুনে কী করবি ? বিয়ের আগে যদি ঘুণাক্ষরেও জানতাম তবে ওকে বিয়েই করতাম না !'
ধরণী জিজ্ঞাসু চোখে তাকিয়ে থাকে।- - '-
নতমুখে ওর মা ব'লে চলে,'ওখানে থাকার সময় তোর বাবা যে বাড়িতে থাকত,তার পাশের বাড়িতে একটা পরিবার ছিলো, তাদের ছেলেমেয়ে হয়নি। সেই বৌয়ের সাথে তোর বাবার সম্পর্ক হয় , কারণ তার বর ছিলো নপুংসক।সেই সুযোগটা দু'জনেই নিয়েছিলো। সেই বৌয়ের ছিলো বাচ্চা আর যৌবনের ক্ষুধা আর তোর বাবার ছিলো ব্যাচেলর জীবন।- - - - আর বলতে পারে না।
এইসব চিঠি পেয়েই আমি জেনেছিলাম। আর আর কী করবো ? তখন তুই পেটে এসেছিস- - - - 'ধরণীর একটা দীর্ঘশ্বাস পড়লো !
হঠাৎ তার খেয়াল হলো , ময়না অমন কিছু করছে না তো? সে ত সারাদিন বাইরে বাইরে থাকে, এখানে ও কী করছে কে জানে ? শুনি, মাঝেমধ্যে বাকসাড়া যায় , বলে -মায়ের সাথে দেখা করতে যায় । কোথায় যায়, সে তো যাচাই করে নি। নাঃ, তাকে আর ছাড় দেওয়ার প্রশ্ন নাই।
ময়নার সাথে যখন তার বিয়ে হয়েছিল , তখন সে বছর বত্রিশের যুবক ।প্রথম দিকে প্রেম ভালবাসা ছিলো অগাধ।কেউ কাউকে ছেড়ে থাকতে পারতো না। সব সময় প্রেম খুনসুটি সিনেমা ঘর , রাতে উজাড়-করা যৌবন ভোগ। কিন্তু চায়না হওয়ার পর থেকে তাতে কেমন শৈথিল্য আসে। আস্তে আলস্যে তারা দূরে স'রে গেছে।এখন কালেভদ্রে যৌনতা আসে, এখন তারা গৃহপালিত জীবের মতো। এই সুযোগে ময়না কিছু ক'রে বসছে না তো? সে আর ছাড় দিবে না।
সেই রাতেই সে শোওয়ার সময় ময়নাকে বিছানায় ডেকে নিলো ; চারিদিকে যেভাবে করোনা ছড়াচ্ছে তাতে জীবনের কোনো নিশ্চয়তা নাই। সে তাকে আশ্লেষে জড়িয়ে ধরে, চুমু খায় , ধীরে ধীরে তারা যৌবনের যৌনতায় ডুব দ্যায়। প্রথমে বিস্মিত হলেও ময়না এখন বেশ তৃপ্ত। তার স্বামী আবার আগের মতোই তাকে প্রেম দিচ্ছে। তার আর দুঃখ নাই , ক্ষোভ নাই। নাই-বা সে ঘরের কাজ করলো, ঘরে তো থাকছে।
বাহিরমুখো ধরণী ধীরে ধীরে ঘরে থাকায় অভ্যস্ত হ'য়ে উঠলো এবং বাচ্চা বৌ ও মাকে নিয়ে নতুনভাবে সংসারের মায়ায় মন দিলো। এখন শঙ্কা শুধু করোনার ।
© বদরুদ্দোজা শেখু , ,বহরমপুর।
-----------------------------------
লেখকের নাম-- বদরুদ্দোজা শেখু
ঠিকানা-- 18 নিরুপমা দেবী রোড , বাইলেন 12 ,
শহর+পোঃ- বহরমপুর , জেলা--মুর্শিদাবাদ,
PIN -742101
পঃ বঙ্গ , ভারত ।
হো• অ্যাপ নং 9609882748
----------------------
কবি-পরিচিতি
-------------------
বদরুদ্দোজা শেখু-র জন্ম ১৯৫৫ সালে ফেব্রুয়ারীতে মুর্শিদাবাদ জেলার ঠাকুরপাড়া গ্রামে ।ক্ষুদ্রচাষী সাইফুদ্দীন সেখ ও গৃহবধূ ফজরেতুন্নেশা বিবির সন্তান। দারিদ্র্যের মধ্যেই গণিতশাস্ত্রে স্নাতকোত্তর ।পেশায় অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক। নেশায় কবিতা লেখালেখি। শোভা গোস্বামীকে বিবাহ করেছেন।
এযাবৎ প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ অলৌকিক আত্মঘাত, দুঃস্বপ্নের নগরে নিভৃত নগ্ন,শব্দ ভেঙে সংলাপ,আরো থোড়া দূর,এবং পরী ও পেয়ালা ।তাঁর কবিতা অদলবদল , সপ্তাহ, দৌড় , কবিতীর্থ ,শব্দনগর, ঋতুযান প্রভৃতি পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত । বিভিন্ন পত্রিকাগোষ্ঠী থেকে একাধিক সম্মাননা পেয়েছেন।।
তিনি কিছু কিছু ছোটগল্প ও অণুগল্পও লিখেন
-------------------------------------