শরিক
অনিন্দ্য পাল
সনাতন ব্যাঙ্কের বইটা চৌকির উপর ছুঁড়ে ফেলে চৌকির পাশে রাখা রং-চটা প্লাস্টিকের চেয়ারে ধপ করে বসে পড়ল। সবমিলিয়ে তিন হাজার তিয়াত্তর টাকা আছে। এই কমাসে বাড়ি বসে খেতে খেতে আর এইটুকু পড়ে আছে। কি করে চলবে? কে জানে? ছেলেটাও বেকার হয়ে গেল। আই টি আই থেকে পাশ করে সবে মাস তিনেক ঢুকেছিল একটা চাকরিতে। সেটাও গেল। কি যে রোগ এল পৃথিবীতে! সনাতন বেশী লেখাপড়া জানে না, তার এইট পাশ বিদ্যেয় যেটুকু বুঝেছে, একটা অদৃশ্য কিছুর জন্য মানুষের খুব দুর্দিন এসেছে। ভাইরাস না কি একটা বলছিল সবাই, সেটাই নাকি এই করোনা রোগটার কারন। কিন্তু যেটা বুঝতে পারে না সনাতন, কি এমন রোগ হল যার জন্য ট্রেন, বাস এমনকি বাজারহাটও বন্ধ করে দিতে হল? রোগ তো কতই হয়! এই তো গত বছর তাদের সঙ্গে ট্রেনে গজার হকারি করতো রমজান, পেটে হঠাৎ ক্যানসার ধরা পড়লো। তারপর তো এখনও দিব্যি বেঁচে আছে। যদিও বিছানা শয্যা। আর এখন এই রোগে এমন মরছে যে লোকে শ্মশানে পর্যন্ত নিয়ে যেতে চাইছে না! এসব ঠিক মানতে পারে না সনাতন।
"বাবা, ও বাবা, যাবে না? " হঠাৎ টাকলুর ডাকে চমক ভাঙলো সনাতনের। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো,
-- চল, সবাই কি এসে গেছে?
-- হ্যাঁ, মোটামুটি। তুমি এস, আমি এগোচ্ছি।
গায়ে একটা ফতুয়া চাপিয়ে ছেলের পিছন পিছন ঘর থেকে বেরিয়ে এল, আজ তাদের পৈতৃক সম্পত্তির বাটোয়ারা হবে, মাপামাপি হবে। ছোট ভাই রঞ্জন খুব ঝামেলা শুরু করেছে। একের পর এক সব দখল করছে, বাস্তুর তিনভাগই প্রায় ওর দখলে, বাকিটুকুতে কোনভাবে মাথাগুঁজে আছে সনাতন। হয়তো এমনটাই থাকতো, তার এই সব নিয়ে বেশি ঝামেলা-ঝাঁটি করার ইচ্ছা খুব একটা ছিল না। কিন্তু ছেলে টাকলু কাকার এই দুরভিসন্ধি মেনে নিতে চায় না। মোটামুটি পুলক ওরফে টাকলুর উদ্যোগেই এই আমিন এনে মাপামাপি, রঞ্জন একেবারে অনিচ্ছুক হলেও পাড়ার লোকের চাপে এড়িয়ে যেতে পারেনি। বারান্দা থেকে নেমে মনে মনে একবার ঠাকুরের নাম জপে নিল সনাতন। তারপর চোয়াল শক্ত করে এগিয়ে গেল। সবরকম পরিস্থিতির জন্যই সে তৈরি।
২.
'মা আসছি' বলে সাইকেলে উঠে পড়লো টাকলু। অনেক চেষ্টা চরিত্র করে একটা কাজ যোগাড় করেছে, বাঘাযতিন স্টেশনের কাছে একটা নির্মীয়মাণ ফ্লাটের সিকিউরিটি গার্ড। মাসে এখন ছ'হাজার। বাড়ি থেকে প্রায় দেড় ঘন্টা সাইকেল টেনে পৌঁছায়, টানা তিন দিন ডিউটি করে আবার বাড়ি ফেরে। সনাতন ছেলের এই কষ্টটাকে একটা লড়াই ভেবে একটু আশ্বস্ত থাকলেও আশা একেবারেই মানতে পারে না। আশা বরং টাকলুকে বারবার বোঝায় যাতে সে আশেপাশে কোথাও একটা কাজ যোগাড় করে, ডালভাতটা যোগাড় হলেই আশার আর কিছু দরকার নেই।
সনাতন সমস্ত দিন বাড়িতেই থাকে। বাড়ির লাগোয়া কাঠা দুই জমিতে সবজি বুনেছিল, কিন্তু রঞ্জনের সঙ্গে ঝামেলা হওয়ার পর আর সে দিকে যায় না, টাকলুও বকাবকি করেছে। ভাগ হবার দিন রঞ্জন যে ভাবে মারমুখি হয়ে তেড়ে এসে তাকে এক ধাক্কায় মাটিতে ফেলে দিল, সনাতন সেই আঘাত রোজ যেন অনুভব করে। যখন সন্ধ্যাবেলা মায়ের ছবির সামনে গিয়ে দাঁড়ায়, মনে পড়ে বাবা ছেড়ে চলে যাওয়ার পর মা যখন কলকাতায় বাবুদের বাসায় বাসন মাজতে যেত, তখন থেকে ভাইটাকে সেই বড় করে তুলেছে। ক্লাস এইটে পড়াশুনো ছেড়ে সেই যে লোকাল ট্রেনে হকারি করতে গেল, এই ক'মাস আগেও তাই করেছে। রঞ্জনকে কলেজ পাস করিয়ে বিয়ে দেওয়া পর্যন্ত সবটাই সনাতন করেছে। অথচ এখন সেই ভাই-এর এরকম ব্যবহার মন থেকে একেবারেই মেনে নিতে পারছে না সনাতন। কত রাতে বিছানায় শুয়ে কাঁদতে কাঁদতে ভোর হয়ে যায়, কেউ জানতেই পারে না।
সনাতন টাকলুর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে বসে ছিল বারান্দায়। আশা উঠোনে বসে তালপাতা, জটা কেটে জ্বালানি জড়ো করছিল। হঠাৎ পাশের উঠোন থেকে রঞ্জনের রাগত গলা ভেসে এল। কিছু একটা নিয়ে বেশ রেগে গেছে বোধ হয়। সনাতনের বুকটা ধক করে উঠলো। গতকাল টাকলু ঘরের পাশে একটা ছোট পেচ্ছাপখানা মত করেছে, বাখারি আর তালপাতা বেঁধে। তার ঠিক পাশেই ফুট চারেক দূরে রঞ্জনের নতুন ঘর উঠছে। সেটা নিয়ে কী রেগে গেল রঞ্জন? কেমন একটা উৎকণ্ঠায় সনাতনের কপালে ঘাম ফুটে উঠলো।
বেশ কয়েক মিনিট রঞ্জনের চিৎকার চললো। গালাগাল আর হম্বিতম্বি কান পেতে শুনে আশা উঠোন থেকে উঠে এসে নীচু স্বরে সনাতনকে বললো,
-- রঞ্জনের কাজ নেই! বুঝলে, ছাঁটাই করেছে। সঞ্জয়ের ও কাজটা চলে গেছে। টাকা পয়সা নিয়ে খুব সমস্যা হচ্ছে, ওই নিয়ে ঝামেলা হচ্ছে বাপ-বেটায়। আর হবে না, আমাদের সঙ্গে যা করলো। সবটা জায়গা দখল করে এখন ভোগ কর ...
নিজের মনে গজগজ করতে করতে ঘরের মধ্যে কিছু একটা আনতে উঠে গেল আশা।
ঠিক তখনই, রঞ্জনের উঠোন থেকে ওর বৌ মঞ্জুর চিৎকার কানে এল। আর তারপরেই একটা কান্নার রোল শুনে দুদ্দাড় করে ঘর থেকে বেরিয়ে এল আশা। সনাতন ততক্ষণে উঠোনের বেড়ার পাশে দাঁড়িয়ে উঁকি ঝুঁকি দিয়ে দেখার চেষ্টা করছে কী ঘটলো। কিন্তু সব রঞ্জনের ঘরের মধ্যে, বাইরে থেকে বোঝা যাচ্ছে না কিছুই। শুধু কান্নার আওয়াজ বেড়ে উঠতে লাগলো।
৩.
দুধ-রুটির বাটিটা নিয়ে আশা এসে বসলো সনাতনের পাশে। গত দশ দিন খাওয়া দাওয়া প্রায় ছেড়েই দিয়েছে সনাতন। যেদিন দুপুরে রঞ্জনের স্ট্রোক হল, সেদিন থেকেই সনাতন একদম চুপ করে গেছে। টাকলুই কাকাকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটাছুটি করছে, কিন্তু এই করোনাকালে কোন হাসপাতালেই ঠিকঠাক চিকিৎসা হল না। শেষে একটা হাসপাতালে দিন চারেক ভর্তি রেখে জানিয়ে দিল এ রুগী বাঁচবে না। বাড়িতে যে কদিন থাকে থাকুক।
সবাই মনে মনে তৈরি হচ্ছে, যেন সবাই জেনে গেছে একটা ভয়ানক ঝড় আসতে চলেছে, এর থেকে আর কোনো উপায়েই বাঁচা সম্ভব নয়।
সনাতন কিছু বলছে না। চুপচাপ তাকিয়ে থাকে সারাদিন, কখনো মায়ের বিবর্ণ ছবিটার দিকে, কখনো রঞ্জনের ঘরের দিকে। অথচ এই কদিনে একবারও রঞ্জনকে দেখতে যায়নি সনাতন। এই করোনাকালেও সে ছাড়া বোধহয় আর কেউ নেই, যে রঞ্জনকে রোগ শয্যায় দেখতে যায় নি। অনেকেই এটা নিয়ে পাঁচ কথা বলতে ছাড়ছে না। এমনকি আশাও একবার বেশ ঝাঁঝিয়ে বলেছে,
---" তুমি কি বলোতো? যতই হোক, মায়ের পেটের ভাই তো, একটা বার চোখের দেখা দেখে এস গে, পাড়ায় তো কান পাতা যায় না! "
টাকলু ও গতরাতে খেতে বসে তেরছা করে বললো,
---"বাবা তুমি শোক করে দুধ-রুটি ছাড়া অন্য কিছু খাচ্ছ না, আর কাকা নাকি স্ট্রোক হবার তিনদিন আগে থেকে রাতে শুধু দু'টো বিস্কুট খেয়ে থাকতো, খাবার বাঁচাবার জন্য, তখন যদি একবার খোঁজ নিতে।"
সনাতন চুপ করে থাকে। চোখমুখ কেমন যেন ভাবলেশহীন। যেন পাথরের মূর্তি। রাতে বিছানায় শুয়ে ছাদের দিকে তাকিয়ে থাকে। আর কাঁদে না।
পাশে গভীর ঘুমে ডুবে থাকা আশার দিকে তাকিয়ে মাঝে মধ্যে গভীর দীর্ঘশ্বাস ফেলতে ফেলতে রাত শেষ হয়ে সকাল হয়। সনাতন আবার চুপচাপ বারান্দায় এসে বসে। উঠোনের পাশে তার লাগানো লঙ্কা, উচ্ছে গাছগুলোও শুকিয়ে যেতে থাকে, জলের অভাবে।
৪.
প্রায় পনেরো দিন পর আজ টাকলু ডিউটিতে বেরোবে। সুপারভাইজার রমেন রায়কে হাতে পায়ে ধরে এই কটাদিন ছুটি মঞ্জুর করেছে। লোকটা খারাপ নয়, তবে একটা শর্তে তাকে ছুটি দিয়েছে। আজ থেকে অন্তত সাতদিন টানা ডিউটি করতে হবে। টাকলু তাতেও রাজি।
জামাকাপড়ের ব্যাগটা সাইকেলের ক্যারিয়ারে বাঁধছিল টাকলু। আশা একটা নাইলন বাজারের ব্যাগে টাকলুর টিফিনটা গুছিয়ে দিচ্ছিলো। হঠাৎ একটা তীব্র কান্নার রোল ভেসে এল রঞ্জনের ঘর থেকে। সঞ্জয় ছুটে এল টাকলুর কাছে, প্রচণ্ড উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় তার গলাটা বুজে আসছিল। কোনমতে বললো,
-- " বাবা, বাবা মনে হয় ..."
সবাই ছুটে গেল রঞ্জনের ঘরে। মঞ্জু রঞ্জনের বুকের উপর পড়ে ফুলে ফুলে কাঁদছে। সব শেষ। চোখে মুখে অদ্ভুত একটা শান্তি নিয়ে শুয়ে আছে রঞ্জন। আস্তে আস্তে ঘর ভরে যেতে লাগলো আত্মীয় পরিজনে। কান্নার জ্বালানিতে বাতাস পুড়ে যেতে লাগলো দাউ দাউ করে।
******* ********* ********** ***********
টাকলু, সঞ্জয়কে নিয়ে কাকার ডেথ সার্টিফিকেট আনতে গেছিল, রহমত ডাক্তারের কাছে। ফিরে এসে দেখলো রঞ্জনের দেহ খাটিয়ায় তোলা হয়ে গেছে। চারদিকে গোল হয়ে ঘিরে আছে বাড়ির সবাই। কাছে যেতেই আশা টাকলুকে একধারে ডেকে এনে বললো,
--- আরে, তোর বাবাকে একবার অন্তত আসতে বলগে যা, লোকে কি বলবে বলতো? যা আগে যা। এখুনি তো গাড়িতে তুলবে। শেষবার অন্ততঃ চোখের দেখাটা দেখতে হয়, হাজার হোক ভাইতো।
টাকলু অবাক হয়ে গেল। বাবা এখনও আসে নি, একবারো আসেনি কাকাকে দেখতে! কেমন যেন অস্বাভাবিক লাগলো তার। শুনেছে এই কাকাকে কোলে-পিঠে করে মানুষ করেছে বাবা। একটু রাগও হল তার। "আচ্ছা দেখছি" বলে টাকলু উঠোনের বেড়া ডিঙিয়ে তাদের ঘরের দিকে গেল।
সনাতন বারান্দায় মাথা নিচু করে বসে ছিল। সন্ধ্যা নামছে। আলো জ্বালেনি কেউ।
টাকলু কাছে এসে একটু চড়া গলায়ই বললো,
--- কি গো বাবা, কাকাকে একবার দেখতে যাবে না?
এখুনি তো বার হয়ে যাবে ওরা! একবার শেষ দেখাটা অন্তত দেখতে যাও। তুমি না কি যে কর ...
টাকলুর কথা শেষ হবার আগেই উঠোনের অন্য দিক থেকে ভেসে এল, " বল হরি, হরিবোল, বল হরি, হরিবোল, বল ..."
সনাতন আগুনের ছেঁকা খাওয়া মানুষের মত লাফিয়ে উঠলো। বারান্দা থেকে নেমে এসে টাকলুকে বললো, --"এই তোরা আমার ভাইকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছিস রে? কোথায় যাবে রঞ্জু? "
বাবার দিকে তাকিয়ে টাকলু শব্দ হারিয়ে ফেললো। সনাতনের চোখমুখ লাল হয়ে গেছে। একেবারে উদভ্রান্তের মত সে বার বার একই প্রশ্ন করছিল টাকলুকে, কখনো যথেষ্ট চেঁচিয়ে, কখনো আস্তে। ঠিক তখনই বেড়া ডিঙিয়ে সঞ্জয় এল, কাঁদতে কাঁদতে তার চোখমুখ ফুলে গেছে। জ্যাঠার কাছে এসে বললো,
-- জেঠু, বাবাকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ছি। তুমি কি যাবে একবার?
সনাতন কিছু বললো না। আকাশের দিকে তাকিয়ে কিছু একটা বিড় বিড় করছিল সে।
"টাকলু আর সঞ্জয় দেরি হয়ে যাচ্ছে, চল বেরিয়ে পড়ি এবার " রঞ্জনের উঠোন থেকে কেউ তাড়া দিল ওদের।
সঞ্জয় একেবারে ধরা গলায় বললো, "টাকলুদা, তুই আয়, আমি এগোই "।
সঞ্জয় চলে গেলে টাকলু সনাতনকে বললো, "ঠিক আছে, না যাও, তুমি উঠে বারান্দায় গিয়ে বসো, আমি আসছি তাহলে।"
টাকলু এগোতে গিয়ে থমকে দাঁড়ালো। সনাতন তার হাতটা শক্ত করে ধরেছে। পিছনে ফিরে কিছু বলতে যাচ্ছিল টাকলু, কিন্তু আর তাকে কিছু বলতে দিল না সনাতন। টাকলুর হাতটা ধরে আস্তে আস্তে ঢলে পড়লো উঠোনের মাটিতে। হতভম্ব টাকলু যতক্ষণে পরিস্থিতি বুঝে ডুকরে কেঁদে উঠলো, ততক্ষণে সনাতন ছোটবেলার মত দুষ্টু রঞ্জনের পিছনে ছুটতে ছুটতে কোথায় হারিয়ে গেল, কেউ জানতেই পারলো না।
=================================
#আমার পরিচিতি // অনিন্দ্য পাল
======================
জন্ম ১৯৭৮ সালে, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার চম্পাহাটি তে। বাবা পরলোকগত বিশ্বনাথ পাল। মাতা অনিতা পাল। শিক্ষা - পদার্থবিদ্যায় সাম্মানিক স্নাতক, বি এড। পেশা - তাড়দহ হাইস্কুলের শিক্ষক। লেখা লেখি শুরু কলেজের দিনগুলোয় যদিও প্রকাশ অনেক পরে। স্থানীয় অনেক লিটল ম্যাগাজিন এ লেখা প্রকাশিত হয়েছে। দেশ, কৃত্তিবাস, প্রসাদ, তথ্যকেন্দ্র, নিউজ বাংলা, উৎসব, অপদার্থের আদ্যক্ষর, শ্রমণ , বার্ণিক, অন্বেষা, অর্বাচীন, মুখ, দেশিক, সূর্যকিরণ, রোদ্দুর, ব-দ্বীপ বার্তা, নবপ্রভাত, হিরণ্যগর্ভ, হৃৎস্পন্দন, লণ্ডন টাইমস, অভিব্যক্তি(নিউ জার্সি) দৈনিক বজ্রকণ্ঠ(ত্রিপুরা)ইবলিশ(বাংলাদেশ),অলীক পাতা, দক্ষিণের জানালা, কল্পবিশ্ব, বহুধা, প্রজনা, কথাকাহিনি, একলব্য, সিন্ধুলিপি, রা, সাহিত্য কালচার, TechTouchটক, নিকোটিন, ত্রিতাপহারিণী, আঁতুড়ঘর, অক্ষর সংলাপ, আখরকথা, কেয়াপাতা, কৃষ্ণকলি, নীলাঞ্জনা, আবাহনী, কিশোর জ্ঞান বিজ্ঞান, বিজ্ঞানভাষ, প্রভৃতি অনেক পত্রিকায় লেখা প্রকাশিত হয়েছে।
"সুখবর" পত্রিকায় প্রবন্ধ নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। "তোর মত হলে অন্ধকারকেও ভালোবাসি", "জলরঙের ওড়না " ও "সমুদ্রে রেখেছি সময়" ও " আমি এসেছিলাম " নামে চারটি কাব্যগ্রন্থ আছে।
সাপলুডো নামে একটা পত্রিকার সম্পাদনা করেন।
ঠিকানা*
======
অনিন্দ্য পাল
প্রজত্নে -- বিশ্বনাথ পাল
গ্রাম -- জাফরপুর
পোঃ-- চম্পাহাটিি
পিন - ৭৪৩৩৩০
থানা -- সোনারপুর
জেলা -- দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা
পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
Mob: 9163812351
ধন্যবাদ।