ছয়
আজ বিরাজুল সকালে উঠেই টিভির সামনে বসল। তার মন ছটফট করছে গ্রামে ফেরার জন্য। সে শুনছে, এবার একই মডেল গ্রহণ করে নজির স্থাপন করল কেরল। ফলে বোঝা গেল বাংলার পর দেশের বাকি রাজ্যের থেকে তারা অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার ধাঁচে কেরলে তৈরি হল করোনা কিয়স্ক। এখানেই করোনা সন্দেহভাজনদের থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। চারটি হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে এই কিয়স্কগুলি তৈরি করা হয়েছে। কিয়স্কগুলিতে আছে আইসোলেশন ওয়ার্ড এবং সোয়াব পরীক্ষার ল্যাব। এই কিয়স্কগুলির নাম দেওয়া হয়েছে 'ওয়াক ইন স্যাম্পল কিয়স্ক' বা উইস্ক। বেসরকারি জাতীয় সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, কাঁচ দিয়ে ঘেরা কিয়স্কগুলিতে দাঁড়িয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের নমুনা সংগ্রহ করার একটি করে আলাদা স্থানও রয়েছে। করোনা আক্রান্ত এবং সন্দেহভাজনদের নমুনা সংগ্রহের সময় স্বাস্থ্যকর্মীরা যাতে সরাসরি সংস্পর্শে না আসেন সেই ব্যবস্থাও রয়েছে কিয়স্কে। লালার নমুনা সংগ্রহের পর স্বাস্থ্যকর্মীদের হাতের দস্তানা কিয়স্কের বাইরে স্যানিটাইজ করিয়ে আনা হচ্ছে।কেরলের জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক এস সুধাস জানান, এই পদ্ধতিতে গণ স্ক্রিনিং–এর ব্যবস্থা থাকবে। ফলে দ্রুত চিহ্নিত করা যাবে করোনা আক্রান্তকে। এই ব্যবস্থার জেরে কমবে পিপিই কিটের চাহিদা। এভাবে অল্প সময়েই অনেক পরীক্ষা করা সম্ভব হবে। প্রতিটি উইস্ক তৈরি করতে সরকারের ৪০ হাজার টাকা খরচ পড়ছে। উল্লেখ্য, দক্ষিণ কোরিয়ায় এই ধরনের কিয়স্ক তৈরি করা হয় করোনায় গণসংক্রমণ পরীক্ষার জন্য। ফলে দেশে সংক্রমিতদের দ্রুত চিহ্নিত করার কাজে সফল হয়েছিল তারা। আমেরিকায় আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে করোনা। গত ২৪ ঘণ্টায় কেবল নিউইয়র্কেই মৃত্যু হয়েছে ৭৩১ জনের। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর থেকে, একদিনে কোনও একটি শহরে এতজনের মৃত্যু হয়নি। মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়েছেন নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমো। সবমিলিয়ে নিউইয়র্কে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪৮৯ জন। যা কিনা গোটা দেশের অর্ধেক। এর আগে একদিনে সর্বোচ্চ মৃতের সংখ্যা ছিল ৬৩০ জন। গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমো জানিয়েছেন, নিউইয়র্ক প্রদেশে মৃতের সংখ্যা একদিনে বাড়লেও নতুন করে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া মানুষের সংখ্যা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। তাই এতে আতঙ্কের কিছু নেই। তিনি আরও দাবি করেছেন, এতে করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য গৃহীত সরকারি পদক্ষেপগুলি সফল হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু, তাতেও পুরোপুরি নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না শহরবাসী। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩ লক্ষ ৮৬ হাজারের কাছাকাছি এবং মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১২ হাজারবিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কী চীন ঘেঁষা? আসলে এমন অভিযোগ করেছেন স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর এই অভিযোগ তুলে এবার ট্রাম্পের হুমকির মুখে পড়ল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। আসলে করোনা ভাইরাসে কাবু আমেরিকা। আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা রোজ মাত্রা ছাড়িয়েছে। তারই মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর অভিযোগ, চীনের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করছে হু। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে আর্থিক সাহায্য বন্ধ করে দেওয়া হবে। এই হুমকির পর আন্তর্জাতিক স্তরে বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এদিন হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হুমকি দিয়ে বলেন, 'হু–কে পাঠানো ফান্ড বন্ধ করে দেওয়া হবে।' এই মন্তব্যে শোরগোল পড়তেই ১৮০ ডিগ্রি গুরে গিয়ে তিনি বলেন, 'আমি কখনও বলিনি ফান্ড বন্ধ করে দেওয়া হবে। আমি বলেছি আমরা এই ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করে দেখব।' এই পরিস্থিতিতে অবশ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি, চীন থেকেই গোটা বিশ্বে ছড়িয়েছে এই মারণ রোগ। হু আগে থেকে ভাইরাস প্রতিরোধের কোনও পরামর্শও দেয়নি বলে অভিযোগ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। অন্যান্য দেশকে করোনা নিয়ে হু ঠিক তথ্য দেয়নি।করোনাভাইরাসের আগে বিশ্ববাসী যে স্বাভাবিক জীবনে ছিল সেটা ফিরে নাও পেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন শীর্ষ মার্কিন বিজ্ঞানী ডা. অ্যান্থনি ফাউসি।মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজের প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে এক বিবৃতিতে ফাউসি বলেন, করোনাভাইরাস সহজে বিলুপ্ত না হয়ে মৌসুমি ফ্লুর প্রকৃতি ধারণ করে বার বার ফিরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।বিশ্ব মহামারি করোনা এই মুহূর্তে পৃথিবীর সব অঞ্চল ও দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। সংক্রমণ ঠেকাতে চলছে লকডাউন। তিনশ' কোটির বেশি মানুষ ঘরবন্দী।অর্থনীতি ধসে পড়ছে। বিশ্বজুড়ে বিরাজ করছে এক অস্বাভাবিক অবস্থা। তবে সংক্রমণ ও মৃত্যুতে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কোভিড-১৯ রোগীদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন দেশটির ডাক্তার-নার্সরা। ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের হিসেবে মতে, আগামী আগস্ট মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুর সংখ্যা ৮১ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।এমন পরিস্থিতিতে করোনাবিষয়ক বিজ্ঞানী ফাউসি বলেন, দেশে দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। সেখান থেকে সমাজের প্রতি স্তরে সংক্রমিত হচ্ছে মানুষ। তাই এই পরিস্থিতিতে আমরা হয়তো করোনাভাইরাসের আগের জীবন ফিরে পাব না।ডা. ফাউসি আরো বলেন, স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে হলে আমাদেরকে করোনাভাইরাস মুক্ত হতে হবে। কিন্তু সেটা সম্ভব কিনা জানি না। তবে একমাত্র ভ্যাকসিনই সেই সমাধান দিতে পারে। উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। বিশ্বে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত ১৪ লাখ ৩১ হাজার ৯৭৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৮২ হাজার ৯৬ জনের। দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউনে বিপর্যস্ত স্বাভাবিক জীবন। করোনাকে দূরে রাখতে গৃহবন্দি দশাই এখন একমাত্র উপায়। এমন পরিস্থিতিতে কারও মৃত্যু হলেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বাড়ির লোকেদের। ঠিক যেমন বিপাকে পড়তে হল ইন্দোরের এক পরিবারকে। করোনা আতঙ্কে কেউই মৃতদেহ সৎকারে যেতে চাইছে না। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো আবার অমিল গাড়ি। এমন অবস্থায় হিন্দু মহিলার সৎকারে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন প্রতিবেশী মুসলিম যুবকরা।
বিরাজুলের পাড়াতে সোমবার মৃত্যু হয় ৬৫ বছরের প্রৌঢ়ার। দীর্ঘদিন ধরে অসুখে ভুগছিলেন তিনি। রেখে গেলেন দুই ছেলেকে। লকডাউনের জেরে মায়ের কাছে পৌঁছতেই অনেকটা সময় লেগে যায় তাঁদের। যাও বা পৌঁছলেন, গাড়ির অভাবে শ্মশান পর্যন্ত নিয়ে যাওয়াই মুশকিল। অসহায় পরিবারকে দেখে এগিয়ে আসেন আশপাশের মুসলিম যুবকরা। মৃতাকে কাঁধে নিয়েই প্রায় আড়াই কিলোমিটার পথ অতিক্রম করলেন তাঁরা। মৃতার দুই ছেলের সুবিধার্থে সৎকারের সমস্ত ব্যবস্থাও করলেন। সে রাজ্যের কংগ্রেসের মুখপাত্র নরেন্দ্র সালুজা খবরটি নিশ্চিত করে যুবাদের প্রশংসা করেছেন। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথও সম্প্রীতির ছবি দেখে মুগ্ধ। টুইটারে লেখেন, 'মৃতাকে কাঁধে তুলে সৎকারের জন্য নিয়ে যাচ্ছেন মুসলিম যুবকরা। সঙ্গে মৃতার দুই ছেলে। সত্যিই তাঁরা সমাজের সামনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এটাই আমাদের সম্প্রীতির ছবি।বিরাজুলও সঙ্গেই ছিল। যুবকরা জানিয়েছেন, ওই প্রৌঢ়াকে ছোটবেলা থেকেই চিনতেন তাঁরা। তাঁর চোখের সামনেই বড় হয়েছেন। তাই এমন সঙ্কটের দিনে মৃতার ছেলেদের পাশে দাঁড়ানো নিজেদের দায়িত্ব ভেবেছেন।
দিন কয়েক আগে অনেকটা এমন ছবিই দেখা গিয়েছিল বুলন্দশহরে। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে মৃত্যু হয় প্রৌঢ় রবিশঙ্করের। প্রতিবেশীরা মনে করেছিলেন করোনা সংক্রমণের জেরেই হয়তো মৃত্যু হয়েছে তাঁর। তাই শেষ দেখাটুকুও কেউ দেখতে আসেননি। শেষমেশ পাড়ার পাশের মুসলিম অধুষ্যিত এলাকার যুবকরাই সমস্যা মেটান। আজ জলপাইগুড়ির এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে ৭০০ দুঃস্থ পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিলেন ওই সংস্থার সদস্যরা ।প্রতিটি পরিবারের হাতে তাঁরা ৩ কেজি চাল, ডাল ৫০০গ্রাম, আলু১ কেজি, পেঁয়াজ ৫০০ গ্রাম এবং সাবান ১টি দেন। সব জায়গায় মানুুষের পাশে মানুষই আছে। করোনা মোকাবিলায় সারা বিশ্বের ভরসা আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় বেঙ্গল কেমিক্যাল। মানিকতলা বেঙ্গল কেমিক্যাল-এর দিকে তাকিয়ে এবার ভারত তথা গোটা বিশ্ব। এই মুহূর্তে শুধু ভারত কেন আমেরিকার মত দেশ ও প্রাচীন এই ওষুধ তৈরির প্রতিষ্ঠানের দিকেই তাকিয়ে। কারণ একটাই করোনা প্রতিরোধের আংশিক ওষুধ হাইড্রোঅক্সিক্লোরোকুইন তৈরি হয় আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের হাতে গড়া বেঙ্গল কেমিক্যালে। এই ওষুধের কার্যকারিতা জানা মাত্রই বিদেশে রফতানি বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে ভারত সরকার। কিন্তু খোদ মার্কিন রাষ্ট্রপতি এই ওষুধের দাবি জানায় ভারতের কাছে।
মিনতি পড়ছে কাগজে, বিশ্বকে যতই করোনা ভাইরাস গিলে ফেলছে, ততই অভিযোগের আঙুল উঠছে চিনের বিরুদ্ধে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-র দিকেও উঠেছে আঙুল। দাবি, তারা নাকি চিনের দোষ ঢাকছে। এবার এই বিষয়েই সরব হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ট্রাম্পের দাবি, করোনা ভাইরাস ছড়ানোর পরেও চিনের একাধিক তথ্য গোপন করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এমনই আক্রমণ শানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এমনকী হু-কে অর্থ সাহায্য বন্ধ করারও হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এদিকে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় হুয়ের প্রশংসা করেছে রাষ্ট্রসংঘ।করোনা সংক্রমণ আমেরিকায় মারাত্মক আকার নিয়েছে। মৃতের সংখ্যা ১১,০০০ ছড়িয়ে গিয়েছে আমেরিকায়। এই পরিস্থিতির জন্য চিনকই দায়ী করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও চিনের পক্ষ নিয়ে তথ্য গোপন করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। চিনকে আড়াল করার সবরকম চেষ্টা করেছে হু। এমনই অভিযোগ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য আমেরিকার থেকে জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হেডকোয়ার্টারে বিপুল পরিমান আর্থিক সাহায্য যায় আমেরিকার পক্ষ থেকে। এই আর্থিক সাহায্য বন্ধ হয়ে গেলে চাপ বাড়বে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উপর।
বিরাজুল বলল, করোনা ভাইরাসে আমেরিকায় ১১,০০০ মৃত্যু হয়েছে। সেই মৃত্যু আরও বাড়ছে। সংক্রামিত আরও কয়েক হাজার। মড়কের অবস্থা তৈরি হয়েছে। প্রতিদিন মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। ২৪ ঘণ্টা ১৫০০ জনেরও মৃত্যু হয়েছে আমেরিকায়। প্রবল সংকট তৈরি হয়েছে গোটা দেশে। ভারতের কাছে ম্যালেরিয়ার ওষুধ চেয়ে প্রচ্ছন্ন হুমকি পর্যন্ত দিয়েছে ট্রাম্প। দিশেহারা অবস্থা হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের।এদিকে, মঙ্গলবারই করোনা সংক্রান্ত তথ্য স্বীকার করেছে চিন। মঙ্গলবার চিনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে ডিসেম্বরের শেষে উহান শহরে ধরা পড়েছিল এই ভাইরাস।
বিশ্ব জুড়ে যখন করোনা ভাইরাসের উৎস নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তখন চিন জানান যে ২০১৯-এর ডিসেম্বরে মাসের শেষে উহান শহরেই প্রথম ধরা পড়ে এই ভাইরাসের সংক্রমণ।চিনে এই ভাইরাসে ৩,৩৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আ্ক্রান্নত হয়েছে ৮১,৭৪০ জন। চিনে এখনও ১২০০ জনের চিকিৎসা চলছে। বাকিদের চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।করোনা ভাইরাসের প্রকোপ এবং লকডাউনের ফলে মারাত্মক রকম প্রভাব পড়বে দেশের অর্থনীতিতে। তার জেরে শহরাঞ্চলে বেকারত্ব বেড়ে ৩০.৯ শতাংশ এবং সার্বিকভাবে বেকারত্ব বেড়ে ২৩.৪ শতাংশে পৌঁছেছে। এমনই তথ্য দিচ্ছে সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি (সিএমআইই)-র সমীক্ষা রিপোর্ট। ৫ এপ্রিল শেষ হওয়া সপ্তাহের সাপ্তাহিক রিপোর্ট সোমবার সন্ধ্যায় প্রকাশ হয়েছে। যাতে সিএমআইই জানাচ্ছে, মার্চের মাঝামাঝি থেকে বর্তমান অবস্থায় ৮.৪ শতাংশ বেকারত্ব বৃদ্ধি পেতে দেখা গিয়েছে।ভারতের প্রাক্তন মুখ্য সংখ্যাতত্ত্ববিদ প্রণব সেন মোটামুটি হিসেব করে মনে করেছেন লক ডাউনের দুটি সপ্তাহে প্রায় ৫০ মিলিয়ন লোক চাকরি হারিয়েছেন। তার মতে, এখন বেশ কিছু লোককে বাড়ি পাঠানো হয়েছে, প্রকৃত বেকারত্ব সম্ভবত আরও কিছুটা বেশি যেটা আরও কিছুদিন পরে বোঝা যাবে।
-----------