Click the image to explore all Offers

গল্প ।। ইডেনের বাইশ গজে প্রেম ।। রাজদীপ মজুমদার

 

  ইডেনের বাইশ গজে প্রেম 

 রাজদীপ মজুমদার

 
কলকাতা শহরের বর্ষায় ভিজে থাকা দুপুর। ভিক্টোরিয়া থেকে ইডেন গার্ডেন পর্যন্ত ছড়িয়ে থাকা রাস্তায় হেঁটে চলেছে এক যুবক—নাম অর্ঘ্য। সদ্য কলেজ পাশ করে এক সংবাদপত্রের স্পোর্টস বিভাগে চাকরি পেয়েছে। রোদে পুড়ে আর বৃষ্টিতে ভিজে ফিচার লেখে—আর কবিতা লেখে মনের গোপন খাতায়:
"জীবন এক খেলার মাঠ,
তুমি ব্যাট, আমি বোলার—
প্রেম হোক হাফ সেঞ্চুরি,
আর বিচ্ছেদ যেন না হয় বোল্ড আউট!"

অর্ঘ্যর জীবন ছিল একঘেয়ে। হঠাৎ একদিন 'রেড লাইট এরিয়া'র এক সমাজকর্মী মেয়ে, নাম অনামিকা, অর্ঘ্যের অফিসে একটা চাকরির পোস্ট নিয়ে উপস্থিত হয়। বয়সে অর্ঘ্যের থেকে ছ' বছর বড়।

দু জনেই মুখোমুখি হতেই অর্ঘ্যের চশমার কাঁচ ঘেমে ওঠে। আর অর্ঘ্য এক লহমায় ফিরে যায় গত বছরের দূর্গা পুজোর সেই দিনে—পুজোর বিজয়ায় কুমারটুলির এক পুজো মণ্ডপে ঠাকুরের গায়ে রঙ দিতে গিয়ে অনামিকা ভুল করে ওর গায়ে পুরো রঙ ঢেলে দিয়েছিল! তারপর দু'জনের মধ্যে এমন এক ঝগড়া বাধল, যেন প্রেম আর অভিমান তলোয়ারের ধার হয়ে দাঁড়ালো!

অর্ঘ্য অফিসের মধ্যে চিৎকার করে বলে ওঠে, "তুমি তো সেই মেয়ে! রংবাজ মেয়ে!"

অনামিকা হেসে বলে,"তোমার ওই চোখটা আগেও এমনই গোল গোল ছিল। সাংবাদিক না গোয়েন্দা?"

সেই শুরু। কিন্তু ওদের দুইজনের গল্প জমে ওঠে তখন, যখন তারা দুজনে মিলে ইডেন গার্ডেনে ক্রিকেট ম্যাচ কভার করতে গিয়ে এক অদ্ভুত চক্রের সন্ধান পায়—ফিক্সিং,পতিতা পাচার, আর শিশুদের দিয়ে খুচরো চুরি করানো এক ভয়ঙ্কর নেটওয়ার্ক।
একদিন রাতে, অর্ঘ্য আর অনামিকা মাঠ থেকে ফিরছে। ছায়ার মতো কয়েকজন লোক তাদের অনুসরণ করছে। হঠাৎ অর্ঘ্য চুপচাপ হেঁটে যেতে যেতে বলে ওঠে—"আমরা যদি মরে যাই?"
অনামিকা উত্তর দেয়,"মৃত্যু যদি আসে হঠাৎ, তবে প্রেম যেন থেকে যায়—তোমার আঙুলের ভাঁজে,আমার কবিতার চুপকথায়..."

তারা পুলিশের কাছে কিছু জানায় না। 
অর্ঘ্য বলে, "আমার এক বন্ধু CID-তে আছে, নাম সায়ন্তন। ওকেই ফোন করবো। প্রেসে কিছু বেরুলে আগে ওরা লুকিয়ে পড়বে।"

পরদিন ভোরবেলা, সায়ন্তনের নির্দেশে শহরের নানা প্রান্তে ধরপাকড় চলে। অর্ঘ্য-অনামিকা তখন দাঁড়িয়ে—ইডেন গার্ডেনের গেটের বাইরে।কাঁটাতারের ধারে দুটি পথশিশু লজেন্স চুষছে, আর পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে চক্রের হোতাকে।

এই ঘটনার পরে অর্ঘ্য আর অনামিকা সমাজে আলোড়ন তোলে—একটি শক্তিশালী রিপোর্ট, একটি তথ্যচিত্র, একটি নতুন এনজিও—নাম রাখে "রংবাজ"।

রোদে দাঁড়িয়ে ঠোঁট ভিজে গেলে যেমন বৃষ্টি চাওয়া হয়,তেমনই একদিন অনামিকা বলে— "তুমি আমার থেকে ছোট, জানো তো? তারপর আমি কোথাকার মেয়ে! সমাজ মানবে না।"

অর্ঘ্য হেসে বলে—"সমাজের বয়স কত? তোমার হাসিতে যা দেখি, তা কেউ বোঝে না—তুমিই আমার সত্যি।"

তারা হাতে হাত রাখে। ইডেন গার্ডেনে তখন ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের হাফটাইম। চারপাশে জনতা চিৎকার করে উঠছে, আর মাঠের বাইরে—এক কোণে দাঁড়িয়ে থাকে দুই প্রেমিক-গোয়েন্দা।

তাদের চোখে ভেসে ওঠে একটাই ভাবনা—
যুদ্ধ হোক অন্যায়ের বিরুদ্ধে, আর প্রেম হোক জীবনের ম্যাচ জেতার একমাত্র কৌশল।

এই গল্পে প্রেমের বয়স নেই, প্রেমের সাহস আছে।
এই গল্পে সমাজের বিকৃত মুখ আছে, আর তাকে বদলানোর মতো ভালোবাসাও।

কলকাতার এক বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যে। রাস্তায় জমেছে জল,আলোর প্রতিবিম্বে যেন ভেসে আসে মেঘলা কাব্য। অর্ঘ্য ঘরে বসে রিপোর্ট লিখছে, কিন্তু তার মাথায় ঘুরছে অনামিকার চোখ—সেই চোখ, যেটা তাকে একদিকে অস্বস্তিতে ফেলে, আবার অদ্ভুত এক শান্তিও দেয়। ওদের NGO "রংবাজ" এখন অনেক পথশিশুকে স্কুলে ভর্তি করিয়েছে। রেড লাইট এরিয়ার কিছু মেয়েরও স্বাস্থ্য পরিচর্যা শুরু হয়েছে। সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের ছাপ স্পষ্ট।

ঠিক তখনই একটা ফোন আসে।

এক অচেনা কণ্ঠস্বর বলে, "তোমার বন্ধুর নাম রফিক, তাই না?"
—"হ্যাঁ… তুমি কে?"
—"ও আর নেই। তোমাদের অত বেশি নায়কগিরি মানায় না।"
তারপর কল কেটে যায়।

অর্ঘ্য সোজা ছুটে যায় অনামিকার কাছে।
—"অনু, আমরা ভুল জায়গায় হাত দিয়েছি। ওরা আমাদের ট্র্যাক করছে।"

অনামিকা চুপ। তারপর ধীরে বলে, "যারা সমাজের পচা অংশ চিহ্নিত করে, তাদের রক্তেই লেখা হয় নতুন সংবিধান..."

তারা সিদ্ধান্ত নেয়—আরও বড়ভাবে ঝাঁপাবে।

সায়ন্তনের সাহায্যে তারা পায় এক ভয়ংকর তথ্য:
রেড লাইট এরিয়ার পাশেই এক পরিত্যক্ত গুদামে রাতে 'রিলি-প্যাক' করা হয় বাচ্চা মেয়েদের। তারপর মুম্বই, দিল্লি হয়ে পাচার বিদেশে।

পরিকল্পনা হয়—একটি মিডিয়া ক্যাম্পেইন শুরু হবে, আর গোপনে গুদামে ঢুকে প্রমাণ তুলে আনা হবে।

সেই রাতে  অর্ঘ্য স্বপ্ন দেখে—অনামিকা রক্তে ভেজা। কেউ বলছে, "তোমার বয়স কম ছিল, তাই তুমি হারালে তাকে।" ঘুম ভাঙতেই অর্ঘ্য দেখে, অনামিকার পাঠানো কবিতার মেসেজ:
"আমি যদি না ফিরি,
তবুও জানিও—
তোমার হাতটা শক্ত করে ধরেছিলাম শেষপর্যন্ত।"

রাত ১টা। অর্ঘ্য, অনামিকা ও সায়ন্তন গুদামে নিঃশব্দে ঢোকে। হঠাৎ পেছন থেকে আলো—
—"তোমরা তিনজন এখানে কী করছো?"

সামনে এসে দাঁড়ায় একজন। মুখ দেখে অর্ঘ্য থমকে যায়—সে অনামিকার পুরনো বান্ধবী, সঞ্জনা।

—"সঞ্জনা! তুই?"

সঞ্জনা হেসে বলে, "তুমি সমাজ উদ্ধার করতে এসেছো? অথচ আমি তো সেই সমাজেরই শিকার। এখন আমিও শিকারি।"

লোকজন এসে পড়ে, ধস্তাধস্তি শুরু হয়।
সায়ন্তন বন্দুক বের করে। ঠিক তখনই গুদামের ভেতর থেকে ধীরে ধীরে খুলে যায় একটি দরজা।

একটি ছোট মেয়ে—বয়স নয় কি দশ—ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সামনে এগিয়ে আসে। চুল এলোমেলো, গায়ে মলিন জামা। হাতে ধরা ছোট একটি ক্রিকেট ব্যাট। সে গলা উঁচিয়ে বলে—
"এই কাকুটা… হরিপদ কাকু… আমার গায়ে খারাপভাবে হাত দিত!" আরো বলে—'চুপ করে থাকলে বিস্কুট দেবে। আমি ভয় পেতাম… কিন্তু অনামিকা দিদি বলেছে, ভয় পেলে ওরা জিতবে।"

গুদামে নেমে আসে গভীর নীরবতা। সঞ্জনার মুখ ফ্যাকাশে। বাকি লোকজন একে একে পিছিয়ে যায়।

ঠিক তখনই ছায়ার ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে পুলিশের দল—সায়ন্তনের নেতৃত্বে।

সায়ন্তন চিৎকার করে বলে— "তোমার নামের পাশে এবার কেবল হ্যান্ডকাফ! এই মেয়েটার সাহসের কাছে তোমাদের গর্ব আজ মাটিতে পড়ে গেল, হরিপদ!"

পরের দিন সন্ধ্যায়।

অনামিকা আর অর্ঘ্য ইডেন গার্ডেনের সামনে দাঁড়িয়ে। ভিতরে খেলা চলছে। ওরা ঢোকেনি।
হাত ধরে শুধু দাঁড়িয়ে।

—"তুমি তো বাচ্চা ছেলে, অর্ঘ্য।"
—"বয়স ক্যালেন্ডারে হয়, হৃদয়ে নয়। তুমি যদি হৃদয়ের খেলা বোঝো— তবে আমি চ্যাম্পিয়ন!"

শেষ লাইনে কবিতার মতো জীবন। পেছনে কিছু ভিক্ষুক বাচ্চা হাসছে, খেলা দেখছে। সামনে ভারতবর্ষের পতাকা উড়ছে।

অর্ঘ্য মনে মনে লিখছে—"ভালোবাসা মানে ভয় নয়,একসাথে জিতে যাওয়া, সব রক্তাক্ত ম্যাচের শেষে।"

মিডিয়ার কড়া আলো। NGO "রংবাজ"-এর অভিযান এখন প্রথম পাতার খবর। অর্ঘ্য আর অনামিকা হয়ে গেছে পরিচিত মুখ। কেউ ভালোবাসে, কেউ সন্দেহ করে।

একজন টিভি অ্যাঙ্কর প্রশ্ন করে—
—"অনামিকা, আপনি নিজে রেড লাইট এরিয়ায় বড় হয়েছেন। এটা কি আপনার ব্যক্তিগত প্রতিশোধের মিশন?"

অনামিকা ঠান্ডা গলায় বলে—"প্রতিশোধ নয়, দায়িত্ব। যেখানে আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম, আজ চাই আর কেউ না দাঁড়াক।"

অর্ঘ্য তখন ক্যামেরার পেছনে দাঁড়িয়ে হেসে ফিসফিসিয়ে বলে— "এই মেয়েটা যেন প্রথম বৃষ্টির মতো—ঝুপ করে এসে সব ভিজিয়ে দেয়, তারপর নিজের গন্ধটুকু রেখে চলে যায়।"

কিছু দিন পর...

অর্ঘ্যের মাথায় তখন সিনেমার হিরো হওয়ার ভূত চেপেছে। তাই একদিন ছদ্মবেশে অনুসন্ধানে বেরোয়—টুপি পরে, গোঁফ এঁকে, সেজে ওঠে একেবারে সিআইডি গোয়েন্দার মতো। লোকজনের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করে, সন্দেহজনক জায়গায় ঘোরাফেরা করে। এইসব করতে করতে একসময় সে ঢুকে পড়ে এক রঙিন গলিতে—যেখানে একটি নাট্যগোষ্ঠী রেড লাইট এলাকার গল্প নিয়ে মহড়া দিচ্ছিল।

অর্ঘ্য ভুল বুঝে চিৎকার করে ওঠে, "আমাকে ধরে এনেছে! আমি একজন সাংবাদিক!" আর সঙ্গে সঙ্গেই ফোন করে থানায়— "হ্যালো, পুলিশ? আমাকে অপহরণ করা হয়েছে! আমি এখন রেড লাইট এলাকায়!"

পুলিশ ছুটে আসে। এসে দেখে, অর্ঘ্য একেবারে ভুল জায়গায় ঢুকে নাট্যদলের রিহার্সাল ভেঙে দিয়েছে।আর যাদের সে অপরাধী ভেবেছিল, তারা মূলত অভিনেতা।পথশিশুরা হেসে লুটোপুটি খায়— "এই দাদা হিরো না হাবু গোয়েন্দা?" অর্ঘ্য গম্ভীর মুখে বলে—"হিরো তো তারাই, যারা ভুল করে। যারা কখনও ভুল করে না—তারা রোবট।"

সন্ধ্যার আলোটা যখন জানালার কাচে আঙুল রাখছিল, অনামিকার ঘরে উপস্থিত একটি লাল খামের চিঠি। চিঠির ভিতরে একটা বিবর্ণ ছবি—অনামিকা দাঁড়িয়ে আছে এক অপরিচিত পুরুষের পাশে। পুরুষটির মুখ অস্পষ্ট, তবু তার চোখে ছিল এমন এক চাহনি, যা পেছনের গলির মতো অন্ধকার, আর বিপদে মোড়া। ছবিটার নিচে ছোট্ট একটা কাগজ— "তোমার অতীত যদি প্রকাশ করি, তোমার NGO-তে তালা পড়ে যাবে। ভেবে দেখো—তোমার প্রেমিক কি সত্যিই সব জানে?"

অনামিকার আঙুল কাঁপে। নিঃশব্দে চিঠিটা ভাঁজ করে রাখে। কোনো শব্দ না করে উঠে পড়ে ছাদে—যেন কিছু একটা চেপে রাখা দরকার, নিজের কাছেই।

অর্ঘ্য তখন মোবাইলে গান শুনতে শুনতে বানাচ্ছিল ভালোবাসার কফি। তার দুই হাতে দুটো কফির কাপ, আর বুকের ভিতর দু'মুঠো অপেক্ষা।
আনমনে সে অনামিকার প্রিয় কফিটা বানাচ্ছিল—হালকা চিনি, এক চিমটে দারচিনি… যেমন করে অনামিকা পছন্দ করে—একটু ঘরোয়া, একটু শান্ত, একটু ভালোবাসার মতো।

কিন্তু ঘরে ফিরে দেখে, অনামিকা নেই।
মোবাইলটা বিছানায় পড়ে আছে—নীরব, নিস্পন্দ।
ছাদের দরজাটা খোলা, পর্দা বাতাসে উড়ছে ঠিক যেন কেউ কিছু না বলে, সব কিছু বলে চলে গেছে।

অর্ঘ্য ছাদে ওঠে। হাতে এখনো সেই দুটো কফির কাপ। একটা বাড়িয়ে দেয় অনামিকার দিকে—
নিঃশব্দে, নির্ভার হাতে। তার চোখে প্রশ্ন নেই,
শুধু একটা গভীর, অব্যক্ত সহানুভূতি। নরম গলায় বলে—"তোমার চুপ করে থাকাটাও আমায় অনেক কিছু বলে দেয়। তুমি কী লুকাতে চাও, সেটা জানার আগ্রহে নেই আমি। আমি শুধু জানি, তুমি আমার মানুষ। আর সে জায়গাটায়—আমি কাউকে ঢুকতে দেবো না, এমনকি তোমার ভয়কেও না।"

অনামিকার চোখের কোণে জমে ওঠা জলটা ঠোঁট ছুঁয়ে নামে। সে নিচু গলায় ফিসফিসিয়ে বলে—
"তুমি একটা গাধা…"

অর্ঘ্য হেসে ফেলে। "তাই তো এমন একটা মেয়েকে ভালোবেসে ফেলেছি, যার চোখের ভিতরেও যুদ্ধ চলে— তবু সে প্রতিদিন জিতে যায়।"

কফির কাপে তখন সন্ধ্যার মতো ঝিম ধরা নীরবতা। আর তাদের মাঝখানে ভেসে ওঠে এক অদৃশ্য প্রতিজ্ঞা—ভালোবাসা মানে সব জেনে মুছে ফেলা নয়, ভালোবাসা মানে সব জেনেও পাশে থাকা।

পরের দিন, কলিকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বিশাল এক অনুষ্ঠানে "রংবাজ"–কে সম্মান জানানো হবে। কিন্তু সেই মঞ্চে হঠাৎ উঠে আসে এক সাংবাদিক—মাইকে বলে: "আমাদের কাছে ছবি আছে—এই NGO–র প্রধান একসময় একটি চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল!"

সবাই থমকে যায়। অনামিকা উঠে দাঁড়ায়। চোখে জল, গলায় সাহস। "হ্যাঁ, আমি ছোটবেলায় সেই চক্রের অন্ধকারে ছিলাম। আমার মা এক পতিতা ছিলেন। আমাকে বাঁচানোর জন্য তিনি নিজের জীবন দিয়েছিলেন। তাই আজ আমি বাঁচাতে এসেছি হাজার অনামিকাকে।"

মঞ্চে উঠে অর্ঘ্য মাইক্রোফোন নেয়। বলে—"প্রশ্ন তোলার আগে ভাবুন— একটি ফুল কত কাঁটার ভেতর দিয়ে বড় হয়। অনামিকা সেই ফুল। আর আমি… আমি তো তার কাঁটা সরানোর ছোট্ট গার্ডেনার।"

মাঠে তখন গর্জন ওঠে—"রংবাজ জিন্দাবাদ!"

একসাথে তারা আবার সেই ফুটপাথের পাশে দাঁড়ায়। পথশিশুরা দৌড়ে এসে চিৎকার করে—
"অর্ঘ্যদা! অনামিকা দি! আজ পাঁপড় কে খাওয়াবে?"

অর্ঘ্য বলে, "যে হারে প্রশ্ন করো, তোমরাই তো সাংবাদিক!" সবাই হেসে ওঠে। মাঝে মাঝেই বৃষ্টি নামে। আকাশে ইন্ডিয়া ফ্ল্যাগ উড়ছে। আর অনামিকা বলে— "ভালোবাসা মানে নিরাপত্তা নয়—
ভালোবাসা মানে ঝুঁকি নিয়ে পাশে দাঁড়ানো, যেখানেই সমাজ পিছিয়ে আসে,
প্রেম এক পা এগোয়।"

"ইডেনের বাইশ গজে প্রেম ছিল,
আর বাইশটা বছরও যদি কেটে যায়,
সেই প্রেম থাকবে— একটি পাঁপড়, একটি ব্যাট আর কিছু চোখ ভেজা কবিতায়।"


___________*******___________________

নাম -- রাজদীপ মজুমদার 
ঠিকানা --- লেক মার্কেট, রাসবিহারী 



 

 To Know More Deals & Offers : CLICK HERE
 
 
 
 
 

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.