বদরুদ্দোজা শেখু
আনুয়ারা । একটি কল্পিত নাম। একটি অতি পরিচিত নাম। তো এই আনুয়ারার জীবনের খন্ডগল্প শুরু চট্টগ্রাম শহরের এক শহরতলিতে। তখন তার বয়স কুড়ি কি বাইশ বছর। এর মধ্যেই সে চার সন্তানের জননী। তার স্বামীর একটা ছোট জুতোর দোকান আছে। তবু যা আয় হয়, সংসার ভালোই চ'লে যায়। সাধারণ মধ্যবিত্ত সুখী পরিবার। খুব বিশাল সুখ বা সাফল্যের প্রত্যাশী তারা ছিলো না। আনুয়ারা মেট্রিক পাশ। সেও প্রয়োজনে দোকানে বসে
১৯৭১ সালের মার্চ থেকে দেশ উত্তাল হ'য়ে উঠলো মুক্তিযুদ্ধে। নভেম্বরের এক রাতে পাকিস্তানি সেনারা হঠাৎ তাদের এলাকার উপর সর্বাত্মক হানা দিলো।চোখের সামনে তার স্বামী ও বড়ো ছেলেকে গুলি ক'রে মারলো। তার অন্য ছেলেমেয়েরা কে কোথায় লুকিয়ে পড়লো কি মারা গেল হদিস নাই। আনুয়ারাকে বন্দুক দেখিয়ে জোর ক'রে তুলে নিয়ে গেল তাদের ব্যারাকে। সেখানে একটা ঘরে তার মতো অনেক মেয়ে।সবাই হাত -পা মুখ বাঁধা। সেখানে তাকে বারো-চৌদ্দ জন সেনা জোর ক'রে পরপর ধর্ষণ করলো। চীৎকার চেঁচামেচি করার বাধা দেওয়ার কোনো প্রশ্নই ছিলো না। মুখ বাঁধা , হাত-পা বাঁধা। একে একে তারা যথেচ্ছাচার পশুপ্রবৃত্তি চরিতার্থ করলো। তারপর ওই ঘরেই বন্দী ক'রে ফেলে রাখলো।ঘরের অন্য মেয়েদের ওই একই অবস্থা।
যে যখন খুশী ঢুকে পড়ে আর বেশরম বেরহমভাবে ধর্ষণ ক'রে যায়। এক সময় অত্যাচারের প্রাবল্যে আনুয়ারা জ্ঞান হারালো। যখন জ্ঞান ফিরলো , তখন উঠে দাঁড়াবার ক্ষমতাটুকুও নাই।তখন সব বাঁধন খোলা তা সত্ত্বেও।কড়া পাহারা। কারা যেন মুখ-ঢাকা অবস্থায় আসে আর নামমাত্র পানি দিয়ে যায়। কখন্ যে দিন হয় রাত হয় , সেসব আনুয়ারা ভুলে গেলো।
যারা তাকে ধর্ষণ করতে আসতো তারা সবাই খান সেনা নয়, তাদের মধ্যে বাঙালী সেনাও ছিল। কথার শব্দে সে মালুম করেছিল। কতোদিন সে যে ওইভাবে বন্দী ছিল আর ধর্ষিত হয়েছিল মনে করতে পারে না।- - - - একদিন ভোর রাতে হঠাৎ দ্যাখে বন্দীঘরের দরজা খোলা প'ড়ে আছে। তখন সে মরীয়া হ'য়ে উঠে দাঁড়িয়ে দ্যাখে, তার গায়ে কাপড়চোপড় নাই, বিবস্ত্র। তার শাড়ি বিছানায় প'ড়ে আছে। মুহূর্তে তার সমস্ত শক্তি দিয়ে সে প'ড়ে থাকা শাড়িটা গায়ে সামটিয়ে লুকিয়ে অন্ধকারে পালিয়ে বাঁচলো। আপ্রাণ দৌড় লাগালো। অন্যদের প্রতি নজর দেওয়ার তার আর কোনো শক্তি বা সাহস বা বোধ কাজ করছিল না। সে দৌড়তে দৌড়তে কোথায় যে অজ্ঞান হ'য়ে প'ড়ে গেল তা তার বোধ হয়নি।
যখন তার জ্ঞান হলো তখন সে নিজেকে দেখলো একটা ছোট পোড়ো ঘরের মধ্যে। সে কাতরাচ্ছিল "পানি পানি" ব'লে। একটা মধ্যবয়সী পুরুষ মানুষ একটা প্লাস্টিকের গ্লাসে তাকে পানি দিলো। সে উঠে বসতে পারছিল না। সে তাকে উঠে ব'সে পানি খেতে সাহায্য করলো।- - - পরে শুনেছিল , সে তাকে ভোর রাতে অজ্ঞান অবস্থায় রাস্তার পাশে প'ড়ে থাকতে দেখেছিল। গায়ে একটা জড়ানো শাড়ি ছাড়া কিচ্ছু ছিল না ।ভোর বেলায় সে মুখহাত ধুতে গিয়ে এই দৃশ্য দেখে ভেবেছিলো , খান সেনারা তাকে ফেলে দিয়ে গেছে। সেও তো সেনাদের ভয়ে বাড়িছাড়া বহুদিন। প্রাণভয়ে লুকিয়েছিল পাহাড়ি জঙ্গলের একটা পোড়ো বাড়িতে। সেখানেই তাকে ঘাড়ে ক'রে তুলে আনে আর চারদিন ধ'রে সেবা শুশ্রূষা করে । সেঁকা পোড়া করে। তার কাছে যা কাপড়চোপড় ছিল, তা দিয়েই সে তার আব্রু রক্ষা করে।
পাকিস্তানী বাহিনী আত্ম-সমর্পণের পর তাকে কাছাকাছি দাওয়াখানায় নিয়ে যায় আর ওষুধপত্রের ব্যবস্থা করে। সে যে কীভাবে বেঁচে ছিল বা কীভাবে বেঁচে উঠেছিল তা সে নিজেও জানে না ।হয়তো এটাই তার প্রাণশক্তি বা কুদরতি। যখন এই ঘটনাগুলো তার মনে আস্তে আস্তে আসতে লাগলো, আনুয়ারা হাহাকার ক'রে উঠেছিলো, তার সর্বস্ব লুঠ হ'য়ে গেছে। তার ঈজ্জত সন্তান স্বামী সংসার সবই হারিয়ে গেছে। সে আর জীবন রেখে কী করবে ? সে বহুবার আত্মহত্যা করতে গেছে কিন্তু পারেনি । সে তো বেঁচে আছে । তাকে তার স্বামী সন্তানদের খুঁজতে হবে।যে মানুষটা তাকে উদ্ধার ক'রে বাঁচিয়েছে , নতুন জীবন দিয়েছে , সে কতোবার তাকে আত্মহত্যার মুখ থেকে বাঁচিয়েছে। বুঝিয়েছে আত্মহত্যা করা মহাপাপ। সে তার স্বামী সন্তানদের খুঁজতে সাহায্য করবে আশ্বাস দিয়েছে।সে সুস্থ হ'য়ে উঠলে তার বাসার ঠিকানায় অনেকবার নিয়ে গেছে। মুক্তিবাহিনীর সদস্যদের সাহায্য নিয়েছে। কিন্তু কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায়নি। সে যে বাসায় থাকতো সব জ্বালিয়ে দিয়ে গেছে। কে কোথায় ছিটকে' পড়েছে, কা'র কাছে খোঁজ করবে ?
তার স্বামী সন্তানেরা শেষ মাটিটুকুও পেয়েছে কিনা কে জানে !
তাকে যে রক্ষা করেছিল , সে এক মাঝবয়সী যুবক, ঠিক প্রৌঢ় নয়। নাম আব্দুল আলম। সে তাকে প্রতিপদে অভয় দিয়েছে। সে বিপত্নীক।তবে একটা বছর ছয়েকের মেয়ে আছে তার । সে তার নানীর বাড়িতে আছে গ্রামে।চরম যুদ্ধের সময় সে পাহাড়ের ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে নিজের জীবন বাঁচিয়েছিল। তার আন্তরিক চেষ্টায় ও সেবাযত্নে আনুয়ারা আবার উঠৈ দাঁড়িয়েছে কিন্তু তার বুকের ভিতরে গভীর গভীর এক শূণ্যতা। তার ট্রমা থেকে উদ্ধারের জন্য তাকে নির্যাতিতাদের জন্য খোলা পুনর্বাসন কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করিয়েছে। কিন্তু আনুয়ারার অমতে সেখানে রেখে আসেনি। তার পরিবারের খোঁজ না পাওয়ায় তাকে নিজের বাসায় নিয়ে এসে রেখেছে, আর অভয় দিয়েছে বেঁচে ওঠার।
আলম একটা স্থানীয় চটকলে শ্রমিকের কাজ করতো, তাতে সে আবার যোগ দিয়েছে আর আনুয়ারার জন্যও একটা কাজের দরবার ক'রে রেখেছে যাতে সে স্বাবলম্বী হ'য়ে উঠতে পারে।
সে একজন গণধর্ষিতা নারী , তাকে আর সমাজে কেউ ঠাঁই দিবে না এই অন্ধ বিশ্বাস ও চূড়ান্ত অমানবিক প্রথাকে সে তুড়ি মেরে হারিয়ে দিয়েছে। তার তদ্বিরের জোরেই সে আনুয়ারাকে সেই চটকলেই একটা শ্রমিকের কাজ জুটিয়ে দিয়েছে ।যেহেতু কোনভাবেই আনুয়ারার পরিবারের খোঁজ পাওয়া যায়নি, তাই বছর দেড়েক পরে সে আনুয়ারাকে প্রস্তাব দিয়েছে যদি সে চায় তো তার হাত ধরতে পারে , নইলে সে তার বোনের মতোই তার বাড়িতে থাকবে , তাতেও কোনো অসুবিধা নাই। ক্রমশঃ তারা একে অপরের মনের কাছে এসেছে । আর আনুয়ারার উপলদ্ধি হয়েছে , সংসারে আলমের মতো নিঃস্বার্থ পরোপকারী লোক বিরল। তবে কেউ কেউ এমন এখনো যে আছে এটাই সমাজের পক্ষে আশার কথা, মঙ্গলের কথা।
তাই যুদ্ধশেষের বছর দুয়েক পর আবার তারা বিয়ে ক'রে সংসার শুরু করেছে। ক্রমশঃ তার কোলে একটা ফুটফুটে কন্যা এসেছে যার দিকে তাকিয়ে জীবন পার ক'রে দেওয়া যায়।আরো দিন যায়। তারা দু'জনে চটকলে আলাদা শিফটে কাজ করে আর জীবন-সংগ্রাম চালিয়ে যায়।
তাদের দুই ছেলেমেয়ে হবার পর আর সংসার বড়ো করতে চায়নি। আলম তাকে ধর্ষিতা ব'লে কুলটা ব'লে কোনো অসম্মান করেনি কখনো। বরং ভালবাসা দিয়ে মমত্ব দিয়ে পরিচর্যা দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে তাকে আপন ক'রে নিয়েছে। এবং বলেছে , তোমার জীবনে যা ঘটেছে তাতে তোমার তো কোনো দোষ ছিল না। লক্ষ লক্ষ এই সব নির্দোষ অসহায় মেয়েরা কি পরিত্যক্ত হবে? সমাজে পুনর্বাসন পাবে না ? এটা হ'তে পারেনা। সেই প্রচার-কর্মসূচীরও সে একজন সক্রিয় সদস্য। এতে আনুয়ারা গর্ব বোধ করে। তবু সব হারানোর যে হাহাকার তা মৃত্যু অবধি প্রশমিত হয় না।সংসারের তাগিদে তার উপর ধুলোবালির আস্তরণ পড়ে শুধু।
তবু প্রতি বছর যখন বিজয়দিবস আসে , চারিদিকে কাড়া-নাকাড়া বাজে, প্রভাত ফেরি বেরোয়, জাতীয় পতাকা তোলা হয়, জাতীয় সঙ্গীত বাজে, তখন
আনুয়ারার ইচ্ছে হয় ,এই পতাকাকে শতছিন্ন ক'রে দ্যায় পুড়িয়ে গুঁড়িয়ে দ্যায় দেশের মানচিত্রকে ছিঁড়ে টুকরো টুকরো ক'রে বঙ্গোপসাগরে ভাসিয়ে দ্যায়, কিন্তু পারে না।ভাবে । দোষ তো দেশের ছিল না।দোষ তো শাসকের।অপরাধ তো সেনাবাহিনীর।দেশ তো শুধুই মানচিত্র নয়, পতাকা নয় , সেনাবাহিনী নয়, তার একটা ভৌগোলিক সীমারেখা আছে, রাজনৈতিক পরিসর আছে,জনগণের মতামত আছে , তার রক্ষার জন্য সেনা পুলিশ বিডিআর বিএসএফ লাগে। তার মতো লক্ষ লক্ষ আনুয়ারারা মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোয় লাঞ্ছিত লুন্ঠিত ধর্ষিত হয়েছে, অমূল্য জীবন হারিয়েছে, জীবনের সকালে অকালে ঝ'রে গেছে।যারা বেঁচে আছে তারা বেঁচে থেকেও মৃতবৎ।লাখো তরুণ তরুণী মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে প'ড়ে শহীদ হয়েছে। দুচারজন ব্যক্তি তার অসম্মান করলে, তার পতাকা ছিঁড়লে বা পোড়ালে তার কিচ্ছু হয়না। তাতে নিজেকেই অপমানিত করা হবে। সবাই হয়তো তাকে পাগল বলবে, পুলিশ ধ'রে নিয়ে যাবে, দেশদ্রোহী তকমা বসাবে, হয়তো ক্ষুদ্ধ জনতা পিটিয়ে মেরেই ফেলবে । দেশের অসম্মান হবে, বঙ্গবন্ধুর অসম্মান হবে তার পুনর্বাসনের অসম্মান হবে। আলমের ও তার বর্তমান সন্তানদের বেঁচে থাকা দায় হবে। কিন্তু তার মাথার মধ্যে আক্রোশ ও হাহাকার জমাট বেঁধে যায়। সেই দিনগুলোতে সে আনন্দও করে না , উদযাপনও করে না। খাবার খায় না , কথাবার্তাও বলে না। বিষণ্ণ উন্মাদের মতো গোঁজ হ'য়ে বসে থাকে আর ভিতরে ভিতরে তার হারানো স্বামী পুত্র কন্যাদের জন্য চোখের পানি ব'য়ে যায় যেন আগ্নেয়গিরির লাভাস্রোত। বহুবছর ধ'রে আলম এতে অভ্যস্ত হ'য়ে গেছে। সে তার সন্তানদের বলে , ওকে কেঁদে কেঁদে হালকা হ'তে দাও।কিছু বলতে যেও না। ও খুব সাহসী ও সংগ্রামী নারী যে তার সমস্ত দুর্ভাগ্যকে জয় করেছে। যদিও হারিয়েছে আরো অনেক অনেক বেশী। তোমরা নতুন প্রজন্ম সেই মর্মান্তিক করুণ অবস্থা ঠিক অনুধাবন করতে পারবে না । তবে আমাদের সেই প্রজন্ম এই বর্তমান টালমাটাল দেশ চায় নি। হয়তো দুনিয়ার কোথাও সেই দেশ নাই। সব দেশেই সর্বকালেই মেয়েরা নানাভাবে অত্যাচারিত হয় , লুন্ঠিত লাঞ্ছিত হয়; তারা অবলীলায় ধর্ষিত অবদমিত হয়।কোন্ দেশেই বা যাবে ? জগতে নারী ও পুরুষ পরস্পর পরিপূরক হ'য়ে সৃষ্টি হয়েছে , কিন্তু যুগে যুগে মূলতঃ পুরুষরা সেই সম্পর্ককে কলূষিত করেছে।
বিজয়দিবসে চটকলে প্রভাত ফেরি ও পতাকা তোলার অনুষ্ঠানে আলমকে যেতে হয়। আনুয়ারা যায় না। সে সারাদিন গোঁজ হ'য়ে ব'সে থাকে। কেঁদে কেঁদে এক সময় ক্লান্ত অবসন্ন হ'য়ে ঢ'লে পড়ে। আলম তাকে তুলে ধ'রে ধ'রে এনে বিছানায় বসায়। ছেলেমেয়েরা শরবৎ খাওয়ায় , চোখে মুখে পানির ঝাপটা দিয়ে সুস্থ ক'রে তোলে। আনুয়ারা ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে থাকে স্থানকালপাত্রের কোনো তোয়াক্বা বা পাত্তা না দিয়েই। আলম তাকে বুকে আগলে রাখে , নানা সান্ত্বনা দ্যায়। বিমর্ষতার হাহাকারের অন্ধকারে যেন আলোর চেরাগ জ্ব'লে উঠে। আনুয়ারা তার কোলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে যায়। পরদিন সে চটকলে যেতে পারে না , দিনদুয়েক ছুটির দরখাস্ত পাঠায়। আলম পরকালের বিচারদিবসে সবার দেখা হওয়ার কথা বলে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করে, আনুয়ারা তা বিশ্বাস করে না। যেমন বিশ্বাস করে না এই দেশের সেনাবাহিনী পুলিশ বিডিআরকে। দেশ তবু জেগে থাকে কোনো-না-কোনো শাসকের হাতে।সেখানে পুরুষরাই প্রধান চালিকাশক্তি অধিকার ক'রে থাকে, এর পরিবর্তন দরকার।
* * *
একদিন স্থানীয় মহিলা সমিতির দাবীর মিছিল যাচ্ছে, তাতে মহিলাদের পক্ষে সব মুক্তিযুদ্ধ-ক্ষতিগ্রস্তদের সুষ্ঠু পুনর্বাসন, সমানাধিকার কর্মসংস্থান শিক্ষা স্বাস্থ্য, যুদ্ধে নিখোঁজদের আরো জোরদার অনুসন্ধান এইসব দাবী ধ্বনিত হয়। তার বাসার সামনে দিয়ে যাওয়া এইসব দেখতে দেখতে শুনতে শুনতে আনুয়ারা জ্ব'লে উঠে। স্থানকালপাত্র অগ্রাহ্য ক'রে সে একটা লাঠি হাতে নিয়ে এক--কাপড়ে সেই মিছিলে সামিল হ'য়ে যায়।ছেলেমেয়েরা আটকাতে পারে না। আলম তখন চটকলে। আনুয়ারা অনেক আগেই বয়স্ক মহিলা হিসাবে চটকল থেকে বিদায় হয়েছে।
-------------
ছবি ঋণ- ইন্টারনেট
---------------------------------------------------
( ১৪৯৬ শব্দ )
© বদরুদ্দোজা শেখু ,বহরমপুর
---------------------------------------
লেখকের নাম-- বদরুদ্দোজা শেখু
ঠিকানা-- 18 নিরুপমা দেবী রোড , বাইলেন 12 ,
শহর+পোঃ- বহরমপুর , জেলা--মুর্শিদাবাদ,
PIN -742101
পঃ বঙ্গ , ভারত ।
হো• অ্যাপ নং 9609882748
----------------------
কবি-পরিচিতি
-------------------
বদরুদ্দোজা শেখু-র জন্ম ১৯৫৫ সালে ফেব্রুয়ারীতে মুর্শিদাবাদ জেলার ঠাকুরপাড়া গ্রামে ।ক্ষুদ্রচাষী সাইফুদ্দীন সেখ ও গৃহবধূ ফজরেতুন্নেশা বিবির সন্তান। দারিদ্র্যের মধ্যেই গণিতশাস্ত্রে স্নাতকোত্তর ।পেশায় অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক। নেশায় কবিতা লেখালেখি। শোভা গোস্বামীকে বিবাহ করেছেন।
এযাবৎ প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ অলৌকিক আত্মঘাত, দুঃস্বপ্নের নগরে নিভৃত নগ্ন,শব্দ ভেঙে সংলাপ,আরো থোড়া দূর,এবং পরী ও পেয়ালা ।তাঁর কবিতা অদলবদল , সপ্তাহ, দৌড় , কবিতীর্থ ,শব্দনগর, ঋতুযান ,একুশে বর্ণমালা প্রভৃতি পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত । বিভিন্ন পত্রিকাগোষ্ঠী থেকে একাধিক সম্মাননা পেয়েছেন।- - -
তিনি কিছু কিছু অণুগল্প ও ছোট গল্পও লিখেন
----------------------------------------