অনেক রাত অব্দি মোবাইল ঘাঁটা.. আজকাল ছোট-বড়-বুড়ো, সকলেরই নিত্য অভ্যাস ! রক্তিমারও নেট অন দেখে ফেসবুকের বন্ধুদের অনেকেই শুভেচ্ছা পাঠাচ্ছে .. রাত বারোটা পেরোলেই ভ্যালেন্টাইন ডে, যদিও এ বিষয়ে রক্তিমার কোনো মাথাব্যথা নেই, কিন্তু! রাত বারোটা বাজতেই হঠাৎ একটি মেসেজ ঢুকলো হোয়াটস্যাপ এ.. এই সময়ে কে ? নিশ্চয় কোনো বদ মতলবের কেউ ? ব্লক করে দেবার উদ্দেশ্যে মেসেজ পড়ে আশ্চর্য্য হয়ে গেল রক্তিমা! এতদিন বাদে .. প্রায় আড়াই-তিন বছর আগের সেই পরিচিত লাইন ---
"আমাদের ওভারব্রীজে আর দেখা করা হলো না"
১৪২৫ এর বাংলা নববর্ষ। ভোরবেলা ফ্রেন্ডলিস্টের প্রায় সব্বাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়ে দিনের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল রক্তিমা, চেনা অচেনা ভেদাভেদ না করেই । হোয়াটস্যাপ গ্রুপের অনেক অজানা নম্বর কল-লিস্টে চলে আসে অটোমেটিক .. তাদেরও পাঠিয়ে দিয়েছে । শুভেচ্ছাবার্তা পাঠাতে তো কোনো বাধা নেই । সেও তো কত অচেনা বন্ধুর মেসেজ পেয়ে যাচ্ছে |
পরদিন ফোন ভর্তি শুভেচ্ছাবার্তা চেক করতে গিয়ে হোয়াটসাপের একটি মেসেজে চোখ আটকে গেলো। কোনো এক সুস্মিত সেন মেসেজ করেছেন ---
••• জানি না আপনি কে ? শুধু, 'সম্প্রীতি' গ্রুপে দেখে জানলাম যে আপনি রক্তিমা। যাই হোক, নতুন বছরে আপনি আমার নতুন বন্ধু, খুব ভালো থাকবেন । আলাপের অপেক্ষায় রইলাম ।"শুভ নববর্ষ-১৪২৫"-- সবাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা, -- নতুন বৎসর সবার শুভ হোক, এই কামনা করি..
রক্তিমা 'সম্প্রীতি' গ্রুপটির সদস্য তালিকায় চোখ বুলিয়ে নিল ঝটপট। সুস্মিত সেন, পলিটেকনিক কলেজের প্রফেসর। ওরে বাবা, রক্তিমা মনে মনে হোঁচট খেলো.. কিন্তু! সৌজন্য রক্ষার্থে উত্তরে লিখলো ..
••• শুভ নববর্ষ। ক"দিন ব্যস্ততায় কাটলো। কালও সারাদিন পূজোর কাজ নিয়েই ব্যস্ত। সন্ধ্যায় ফোন হাতে নিতেই একজন এসে হাজির। বলল, মন্দিরে ডাকছে। ছুটলাম। কালীপূজো ছিল। জোগাড়, অঞ্জলী, যজ্ঞ .. সব শেষ করে বাড়ি ফিরলাম ভোর চারটে। আজ ক্লান্ত। চোখ জুড়ে আসছে।
গত পরশু তরিঘড়ি শুভেচ্ছাবার্তা পাঠানোর সাথে সাথে একজনের ম্যাসেজ এল যে, সে নববর্ষ পালন করে না। কারণ পয়লা বৈশাখ তার মা মারা গেছেন .. মনটা বিষন্নতায় ভরে উঠলো, অন্যকে কষ্ট দেওয়ার জন্য । কিন্তু পরদিন সকালে আপনার মেসেজটা পেয়ে মন ভালো হয়ে গেল। 'সম্প্রীতি'র সাথে হৃদ্যতা দীর্ঘ আট বছরের। মান্য করলেও কেউ বন্ধু বলেনি। আপনি বললেন। একেবারে নতুন বছরের প্রথম দিনে। ভালো লাগলো। আপনি যে 'সম্প্রীতি'তে না এসেও এর সদস্য সেটাও বেশ। 'সম্প্রীতি'তে আসুন.....দেখা হবে। শুভ সন্ধ্যা।
উত্তর এলো:
••• আমি 'সম্প্রীতি'তে না গিয়ে এর সদস্য না.... আমি অ্যানুয়াল প্রোগ্রামে অনেকবার গেছি... আপনি আমাকে চেনেন না বলে দেখেননি..... আর মান্থলি প্রোগ্রামে যাওয়া হয়ে ওঠেনা...
একটা কথা জিজ্ঞাসা করি, আপনি হোয়াটস্যাপ-এর প্রোফাইলের জায়গায় নিজের ফটো ইউস করেন না কেন...?
••• এমনি !
শুভেচ্ছা বিনিময়ের পালা শুরু সেই থেকে.. তারপর একদিন সন্ধ্যায় শুরু হলো চ্যাটিং মানে কথার আদান-প্রদান..
সুস্মিত: কী ফ্রেন্ড, একা একা কী করছো?
রক্তিমা : আজ মন খারাপ... আমার ফেসবুক ব্লক হয়ে গিয়েছে, খুলছে না কিছুতেই..
সুস্মিত : O...very sad.....can I help you. ?
রক্তিমা: কী করে?
সুস্মিত: If you allow me then I will meet you tomorrow only for 10 minutes to open your lock...
রক্তিমা: আজকে তো অনেকে মিলে সারাদিন ধরে চেষ্টা চালালাম.. ফেসবুক এপ্ চেঞ্জ করা হল.. ছুতেই কিছু হল না..
সুস্মিত : Ok as you wish......and I wish you would be able to access your fb profile again very soon.
রক্তিমা: ফেসবুকে আমাদের একটা ডিবেট চলছিল তিনদিন ধরে.. জিতেই যাচ্ছিলাম.. এমন সময়.. সব নষ্ট হয়ে গেল..
সুস্মিত: Tough luck
রক্তিমা: আজ সকালে একটা লিঙ্ক শেয়ার করে সবাইকে পাঠাচ্ছিলাম... এমন সময় বিপত্তি... মন্দভাগ্য !
সুস্মিত: Hmmm.... I think this darkness wouldn't last for long.
রক্তিমা: আমার সাথে এরকমই হয়... অভ্যস্থ হয়ে গেছি..
সুস্মিত: সব ঠিক হয়ে যাবে, বললাম তো !
রক্তিমা: সকালে ফোন করে জানাচ্ছি কী করবো..
সুস্মিত: I'll meet u tomorrow... আশা করি কিছু নষ্ট হবে না..
ঘন্টা দুয়েক বাদে আবার মেসেজ ..
সুস্মিত: ঘুমিয়ে গেলে ফ্রেন্ড?
রক্তিমা : এত তাড়াতাড়ি!
সুস্মিত: ও তাহলে আসবো নাকি... দুজন সারারাত গল্প করেই কাটিয়ে দেব..
রক্তিমা জবাবে কিছু লিখলো না দেখে সুস্মিত আবার লিখলো ..
সুস্মিত: ও বাবা আপনি তো ভয় পেয়ে গেলেন... আমিতো মজা করছি...😃
রক্তিমা: আমি জানি এটা মজা..
সুস্মিত: আর বলছি আপনি প্রোফাইলে নিজের ফটো দেন না কেন...?
রক্তিমা: (কিছুক্ষন বাদে)একজন ফ্রেন্ড-এর কল এসে গিয়েছিল... ফেসবুকে না দেখে ভাবছে.. আমি অসুস্থ নাকি? তাই কল রিসীভ করতে চলে গিয়েছিলাম। সরি..
সুস্মিত: Its ok... friend... কাল কোথায় দেখা করবো ?
রক্তিমা : আপনি কোথায় থাকেন ? রেলগেটের ওপারে .. ওভারব্রীজটা যেখানে শেষ হলো তার বাঁদিকের রাস্তায় খানিকটা গিয়ে ..
রক্তিমা: আর আমি এপারে .. তাহলে এক কাজ করি আমরা বরং ওভারব্রীজে মিট করি, আগামীকাল সন্ধ্যায় !
সুস্মিত: ঠিক আছে ফ্রেন্ড! গুড নাইট!
রক্তিমা: হ্যাঁ, শুভরাত্রি !
সুস্মিত হ্যাঁ বললেও ভেতর ভেতর টেন্সড ছিল | ওভারব্রীজের ওপরে সন্ধ্যায় ..রাত অব্দি কত লোকের আনাগোনা, পার্কের মতো ছেলে-মেয়েদের জমায়েত.. যদি কোনো ছাত্র দেখে ফেলে ? তাহলে ? শিক্ষক হওয়ার এই এক অসুবিধা .. ইচ্ছেমতো কোথাও আসা-যাওয়াও করা যায় না , কী যে করে ?
ওদিকে, রক্তিমাও পড়েছে একই ফাঁপরে.. বলে তো দিয়েছে কিন্তু, এভাবে কারো সাথে দেখা করা তাও আবার.. পলিটেকনিকের ছাত্ররা খুব বিচ্ছু হয় | ভাগ্যিস, কলেজটা শহরের বাইরে .. নইলে ? মেয়েবেলায় ওপথে একবার গিয়ে বুঝেছে ওদের টন্টিং ..আর দেখা করতে যাবে খোদ প্রফেসর এর সাথে ? মুখ ফস্কে বলে ফেলেছে এখন মন সায় দিচ্ছে না , কী যে করে ?
যাক, ঈশ্বর বুঝি সাথ দিলেন .. সুস্মিতের হঠাৎই একটা জরুরি কাজ পড়ে গেলো তাই সে মেসেজ করে জানিয়ে দিলো যে সেদিন সন্ধ্যায় আসতে পারছে না, তবে পরদিন নিশ্চয় আসবে.. সময়টা পড়ে জানিয়ে দেবে।
ভগবান যা করেন মঙ্গলের জন্যই করেন .. আর ঠিক দুদিনের চেষ্টায় পাসওয়ার্ড পাল্টে পাল্টে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলটি ফিরে পেলো রক্তিমা। মেসেজ করে সুস্মিতকে খবরটা জানিয়ে দিলো .. পাঠিয়ে দিলো একটি কার্টুন চরিত্র !
সুস্মিত: অসাধারণ। ছোটো বেলার দিন গুলো মনে পড়ে যায়।
রক্তিমা: এদের পড়ে পড়েই ছোটবেলা কেটেছে ..
সুস্মিত: একদম ঠিক। নন্টে-ফন্টে , হাঁদা-ভোঁদা আর বাঁটুল দি গ্রেট এই তিনটেই নারায়ন দেবনাথের অসামান্য সৃষ্টি। আমারতো এখনও পড়তে একইরকম ভালো লাগে ।
অল্প কিছুদিনেই ওরা ভালো বন্ধু হয়ে উঠেছে .. সময় পেলে প্রায়ই কথা বলে নেয় মেসেজ করে ..
সুস্মিত: আপনি কোথায় থাকেন...?
আমি জানতে চাইলাম যে আপনার বাড়ি কোথায়?
রক্তিমা: সেদিন বললাম তো ..
সুস্মিত: আপনার বিষয়ে কিছুই তো জানিনা.. আপনার বাড়িতে আর কে কে থাকে তা জানি না....
রক্তিমা: জানানোর মতো কিছু নেই..
সুস্মিত: তবে আপনি হয়তো আমার একাকীত্বের খুব ভালো বন্ধু হতে পারবেন....
রক্তিমা: একাকীত্ব কেন?
সুস্মিত: কারণ জানিনা তবে খুঁজে বেড়াই..
রক্তিমা: একা একা থাকতে ভালোবাসেন, না কি, বাড়িতে কেউ নেই?
সুস্মিত : না, আমি আর মা বাবা!
রক্তিমা: সঙ্গী করে ফেলুন.. আপনি তো সুপ্রতিষ্ঠিত, ভালো চাকরি করেন, তাহলে ভাবনা কেন?
সুস্মিত: আসলে এই যুগে real love বাদ দিয়ে সব রয়েছে...তাই সঙ্গী খুঁজে পাওয়াটা খুব কঠিন.....
আপনি আমার সঙ্গী হতে পারেন না ..?
রক্তিমা: হ্যাঁ, নিশ্চয় বন্ধু হতে পারি... আমি আপনার জীবনসঙ্গিনীর কথা বলছিলাম,
সেটা তো জরুরি.. অন্ততঃ বাবা মায়েরও তো ইচ্ছে থাকে?
সুস্মিত: ঠিক আছে... কিছু বলার দরকার নেই.. সরি, আপনার হয়তো অনেক পিছুটান রয়েছে..... I mean your family
.. আমি মনে করি একজন পুরুষের জীবনে তার থেকে বয়সে বড় একজন মহিলা সব থেকে ভালো সঙ্গিনী হতে পারে..... আর লাইফ পার্টনার? ভাবতে ভয় লাগে.... কেউ বিশ্বাসযোগ্য নয়.... বাবা মা ছাড়া কেউ আপন হয়না..... আপনার পিছু টান থাকলে বলবো না.... but if you are alone then you can be my best friend .
রক্তিমা: আপাততঃ জানিয়ে রাখি, আমি একাই থাকি... ভালোই থাকি... আমার বেশ কিছু ছোট্ট ছোট্ট বন্ধু আছে.. তাতে আমি কখনো একা অনুভব করি না...যাক আমার আর একটা বন্ধু বাড়লো..
সুস্মিত: ইচ্ছে করে একজনের কাছে গিয়ে নিজেকে সপেঁ দিতে..... যার কোলে মাথাটা রেখে শান্তি পাবো... সে আমার সব কথা শুনবে.... আমার সব থেকে কাছের হবে....
রক্তিমা: এসব একজন লাইফ পার্টনারই দিতে পারে .. আপনি শুধু শুধু ভয় পাচ্ছেন, কোনো ভালো মেয়ে দেখে বিয়ে করে ফেলুন... দেখবেন,ধীরে ধীরে সেই আপনার কাছের জন হয়ে উঠবে...
শুরু শুরু তে মনে হয়.. কী হবে? দুদিনে সব ঠিক হয়ে যায়..
সুস্মিত : ও আপনার প্রব্লেম থাকলে ঠিক আছে... ওকে আর ডিসটার্ব করবো না....
রক্তিমা : দেখুন বন্ধুত্ব অন্য জিনিস.. আমি আপনাকে বন্ধু হিসাবে যতটুকু কথা বলার বা শোনার সেটুকু করতে পারি কিন্তু তার বেশি??? আমি এসব পারি না, পছন্দও করি না.. কেননা আমার মনে হয় এধরনের বন্ধুত্ব ক্ষতিকারক অভ্যেসের জন্ম দেয়...
সুস্মিত: অবশ্যই আপনি আমার থেকে ভালো বুঝবেন। ভালো থাকবেন।
রক্তিমা: আপনিও ভালো থাকবেন....
সুস্মিত: আমার কথায় দুঃখ পেয়ে থাকলে মার্জনা করবেন।
রক্তিমা: সেরকম কিছু না....
সুস্মিত: আমি কেবল আমার অনুভূতির কথা বলেছি..
রক্তিমা: জানি আমি, মানুষ কত একা সেটা তো বুঝি....
সুস্মিত : ঠিক
রক্তিমা: আমিও একা... আমার কথা শোনারও তো কেউ নেই কিন্তু আমি কখনো দুর্বল হই না... নিজের সঙ্গেই কথা বলি... নিজেকে শাসন করি, নিজের ভুল নিজেই খুঁজি... দিন কেটে যায় ব্যস্ততায়...
সুস্মিত: আপনি অসাধারণ!
রক্তিমা: আপনার সময় ও সুযোগ দুইই আছে, তাকে কাজে লাগাতে বলবো.. একজন ভালো বন্ধুর মতো কারন, সাময়িক সমস্যার সমাধানের জন্য একবার বিকল্প পথ বেছে নিলে সেখান থেকে বেরিয়ে আসা খুব কঠিন....
সুস্মিত: আমি কিন্তু বেরিয়ে আসতে চাইনি, আপনাকে আঁকড়ে ধরে রাখতে চেয়েছিলাম.. কিন্তু! হয়তো আপনার কিছু সমস্যা রয়েছে। তাই আপনার সমস্যা হয়ে উঠতে চাইনা ....
রক্তিমা: যা কিছু অনিয়ম তাই সমস্যা!
সুস্মিত: হয়তো তাই।
রক্তিমা: সমস্যার জালে পা বাড়াতে নেই, তাহলে সমস্যা বাড়ে বৈ কমে না।
সুস্মিত: হুম।
রক্তিমা: ও কে, মাঝে মাঝে কথা বলে নেবেন ছুটির দিনে....ভালো থাকবেন।
সুস্মিত: ওকে.....আপনিও!
রক্তিমা: শুভরাত্রি !
সুস্মিত: শুভরাত্রি!
দিন কয়েক পরে..
সুস্মিত: গুড মর্নিং ফ্রেন্ড!
রক্তিমা: গুড মর্নিং !
সুস্মিত: আমাদের ওভারব্রীজে আর দেখা করা হলোনা ..
রক্তিমা: ফোন টা ঠিক হয়ে গেল তো..
সব ভালো?
সুস্মিত: হ্যাঁ, সব ঠিকঠাক.. আপনার?
রক্তিমা: আমার ঠিক-বেঠিক সব সমান... কিছুতেই কিছু আসে যায় না...
সুস্মিত: কেন, এমন কেন বলছেন ফ্রেন্ড? ঠিক থাকতেই হবে... ভালো থাকতে হবে..
রক্তিমা: সেটাই তো বললাম..
সুস্মিত: আচ্ছা একটা কথা.. যদি কিছু মনে না করেন তো জিজ্ঞেস করি?
রক্তিমা: কী?
সুস্মিত: আপনি এই এজে একা কেন? মানে আপনার ফ্যামিলি?
রক্তিমা: সারা বিশ্বই তো ফ্যামিলি...আমার মনে করে নিলেই হল..
সুস্মিত: বাপরে, এইরকম ডিপ্লোমেটিক আন্সার?
রক্তিমা: খুব সাধারণ একটা কথা....
সুস্মিত: হুঁ, আসলে খুব সাধারণ কথাও মাঝে মাঝে অসাধারণ শোনায়...ওকে ভালো থেকো ফ্রেন্ড!
রক্তিমা: সুন্দর সকালের শুভেচ্ছা রইলো..
সুস্মিত: পারলে একদিন ওভার ব্রীজে দেখা হোক!
রক্তিমা: কপালে দেখা হওয়া লেখা থাকলে দেখা হবে...
সুস্মিত: তাই.....হা হা ভেরি ইন্টারেষ্টিং!
রক্তিমা: দেখা যাক কি হয়..
সুস্মিত: অপেক্ষায় রইলাম!
রক্তিমা: ওকে, বাই !
বাই বাই ফ্রেন্ড....❤️❤️
এভাবেই বছর খানেক কথা ও শুভেচ্ছার আদান প্রদান চলতে চলতে একসময় কালের নিয়মে দাঁড়ি পড়লো .. উদ্দেশ্য বিহীন সম্পর্কগুলো যেভাবে মিলিয়ে যায় .. তারপর আজ হঠাৎ ! ঢেউয়ের মতো আছড়ে পড়লো শব্দ ক'খানা.. আছড়ে পড়লো হৃদয়ের সমুদ্রতটে..
'আমাদের আর ওভারব্রীজে দেখা করা হলো না'
___________________________________
©রীতা রায়
মহেশমাটি রোড, মালদা
পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
পিন- 732101
( টাইপ করতে দেরি হয়ে যাওয়ায় রাত পেরিয়ে গেলো )
খুব সুন্দর প্রকাশ
উত্তরমুছুন