অবুঝ প্রেমিক ( ১ম পর্ব )
বদরুদ্দোজা শেখু
অরিন্দম সিটি কলেজে পড়ার সময় শতরূপার সাথে সহপাঠী হিসাবে তাদের পরিচয়। তারা জীববিদ্যায় অনার্সের ছাত্রছাত্রী। প্রথমে আলাপ ছিলো না। কিন্তু ঘটনাচক্রে প্রাক্টিক্যাল ক্লাশ করার সময় তারা একে অপরের পার্টনার নির্বাচিত হয়। স্যারের যা পছন্দ। তারা মেনে নেয়। প্রাক্টিক্যাল ক্লাশের প্রথম দিন শুধু সহপাঠী পার্টনার হিসাবে ওদের পরিচয় সীমিত থাকে ।
ক্লাশের পার্টনার হিসাবে তারা কাজে নিবেদিত হ'য়ে যায়। যেমন প্রাক্টিক্যাল ক্লাশে নির্দিষ্ট বিষয় প'ড়ে আসা , পদ্ধতিগুলোর পর পর ধারণা থাকা , প্রাক্টিক্যাল খাতা লেখা , বিভিন্ন টেস্টের ফলাফল ও মন্তব্য লেখা ইত্যাদি। ক্রমশঃ একে অপরের বাড়ি কোথায়, আগে কোথায় পড়তো, পারিবারিক খোঁজখবর ইত্যাদিও বিনিময় করে। শতরূপা বুঝতে পারে , অরিন্দম খুব সৎ ও সরল প্রকৃতির। খুব ধৈর্যশীল ।
তাদের বাড়ির আর্থিক অবস্থা মোটামুটি সাধারণ, তারা চার ভাইবোন , বাবা বাসডিপোর সুপারভাইজার, মা গৃহবধূ , তার ভাইবোনেরা সব পড়াশুনা করছে। ওদিকে শতরূপার বাবাও সরকারী রেলে শিফ্টম্যানেজার।
মা গৃহবধূ আর তার একটিই বোন ।সে পড়াশোনা করছে।আর আছে তাদের পারিবারিক ব্যবসা। সেটা তার কাকা দেখাশুনা করে। সংসারে কোনো অভাব নাই। বাড়ি উত্তর কলকাতার ব্যারাকপুর ট্রাঙ্ক রোডে। অরিন্দমের বাড়ি খিদিরপুরে।
কাজের সূত্রে তারা একে অপরকে জানাজানি শুরু করে।ভালো লাগা মন্দ লাগা, হবি , ইচ্ছা, ভবিষ্যৎ ধ্যান -ধারণা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয় কাজের ফাঁকে ফাঁকেই। তারা কখনো কখনো এক সাথে চা/ কফি খেয়েছে, এর বেশী কিছু না।
দুজনাই জানে তাদের আর্থিক অবস্থা ।সমান নয়,তবু একসময় পরস্পরকে পছন্দ করতে শুরু করে। প্রাক্টিক্যাল ক্লাশ ছাড়াও থিওরীর ক্লাশের বিষয়ে তাদের নোট্স বিনিময় হয়। শতরূপা দেখে, অরিন্দম বেশ মেধাবী আর ধৈর্যশীল, কিন্তু তার অধ্যবসায় কম।
তবু শতরূপা লেগে থাকে, নিজের রেজাল্ট ভালো করা দরকার। অন্তরঙ্গ আচরণ করে , যেন পরস্পরকে আরো সময় পেতে চায়।ফোন নং বিনিময় করে, ক্লাশে যদিও তারা দূরে দূরে থাকে। তবে অন্য সময়ে ফোনে কথা হয়, খুনসুটি হয় হাসিমস্করা হয়।পাঠ্য বিষয়ে অল্পবিস্তর আলোচনাও হয়।
মন দেওয়া-নেওয়ার খেলাও চলতে থাকে।
অরিন্দম তাকে ভালবাসে, কিন্তু শতরূপা তাকে কতোখানি ভালবাসে সে তা ঠিক ঠাহর করতে পারে না। সে তো সৎভাবে তার পারিবারিক অবস্থা জানিয়েছে, কিন্তু শতরূপা কি তাকে ঠিকঠিক বলেছে? তার সহপাঠীর কেউ কেউ বলে, দেখিস অরু, শেষে ল্যাং খাসনে। অরু হাসে , শুধু ইয়ার্কি!
তিন বছর কেটে যায়। একসময় কলেজের ক্লাস বন্ধ হ'য়ে যায়। যথারীতি পরীক্ষাও হ'য়ে যায়।পরীক্ষার ফলাফল হয় দুজনের দু'রকম। অরিন্দম অনার্সে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পাশ করে আর শতরূপা প্রথম শ্রেণীতে।
শতরূপা অনায়াসে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলজি এম• এস-সি তে সুযোগ পেয়ে যায়, কিন্তু অরিন্দম কলকাতার কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেলো না । তাই সে চেষ্টাচরিত্র ক'রে ভর্তি হলো কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাও লিখিত পরীক্ষা দিয়ে দ্বিতীয় কাউন্সেলিং য়ে। দুজনের পথ দুদিকে বেঁকে গেলো।
এম•এস-সি তে ভর্তি হওয়ার পর তাদের দেখা সাক্ষাৎ ক'মে গেলো। যদিও ছুটির দিনে অরিন্দম দেখা করতে চায়তো, প্রতিদিন এক-দুবার ফোন করতো , শতরূপা তা রিসিভও করতো , তাদের পড়ার অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হতো।
এখানে ঘটনাচক্রে শতরূপার সাথে প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাশে তার পার্টনার হলো অভিষেক , সেও কলকাতার ।তবে অন্য রাজ্যের ব্যবসায়ী পরিবারের ছেলে, তাদের বংশানুক্রমিক ব্যবসা কলকাতায়। তাদের বড়ো ব্যবসা, অনেক সম্পত্তি , দুটো ভাই।বড়ো দাদা ব্যবসায় নেমে গেছে। সে এখনো ঠিক করেনি, কী করবে। একটা বোন আছে। তার বিয়ে হ'য়ে গেলে ভাববে , কী করবে। এসব সে শতরূপাকে বলেছে,
শতরূপাও তাদের বাড়ির কথা বলেছে ,
আগের মতোই।
এখানেও শতরূপা ও অভিষেক দিনে দিনে কাছাকাছি আসে , ক্রমশঃ অন্তরঙ্গ হ'য়ে উঠে। তারা কফি হাউসে যায় , ক্লাশ না হলে ঘুরতে বেরোয়, ছুটির দিনে সিনেমায় যায় বা প্রিন্সেপ ঘাটে ঘুরতে যায় ।অনেকক্ষণ থাকে , একে অপরকে জানতে উৎসুক হয় । শতরূপা তার ইচ্ছাকে প্রশ্রয় দ্যায়। ক্লাশের সহপাঠীরা ঈর্ষান্বিত হয়। ওরা তাদের মন্তব্য কে পাত্তা দ্যায় না।তারা সম্পর্কে জড়িয়ে যায়। কিন্তু শতরূপা অভিষেকের মনোভাব নিয়ে সন্দিহান থাকে।
এই ঘটনার অন্যদিকে, অরিন্দম ক্লাশের ফাঁকে ফাঁকে একটা চাকরির চেষ্টা করে , কারণ তার বাবা অবসর নিয়েছে। নানা প্রতিযোগিতার পরীক্ষা দিতে থাকে অবশেষে একটা কোম্পানীতে কলকাতার
যাদবপুরে কেরানীর চাকরি পেলে সে পড়া ছেড়ে দ্যায়। চাকরির অনিশ্চয়তায় সে চাকরিটাই বেছে নেয়। সে শতরূপাকে ফোনে জানায়। সে ভেবেছিলো , শতরূপা হয়তো খুশী হবে। কিন্তু খবরটা শুনে' শতরূপা বলে, শেষ পর্যন্ত কেরানির চাকরি ! এই চাকরিটাই তুমি করবে ? অরিন্দম তার পারিবারিক দায়দায়িত্বের কথা ব'লে এই চাকরিটা করা তার পক্ষে জরুরী ব'লে জানায় ।শতরূপা বলে, বেশ , যা ভালো মনে হয় তাই করো। এর পর বিয়ে ক'রে নাও ,আর কী! অরিন্দম অপ্রস্তুত হাসে।
এর পর থেকে যখনই অরিন্দম শতরূপাকে ফোন করে, সে অনীহা সহকারে ধরে, দু'চারটে কুশল বিনিময় ছাড়া বেশী কথা হয় না। রেখে দ্যায়। সে এখন অভিষেকের প্রেমকে অগ্রাধিকার দ্যায়। ঘন্টার পর ঘন্টা ফোনে লেগে থাকে । বিশেষতঃ রাতে। এমন পাত্রকে সে করায়ত্ব করতে চায়- -
তাকে শতরূপা এখন মোটামুটি পাত্তা না দিলেও অরিন্দম মনে মনে তাকে এখনো ভালবাসে এবং তাকে নিয়ে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দ্যাখে। তাই ফোনে সে শতরূপার সাথে চ্যাট করার চেষ্টা করে। শতরূপা অন্য কাজে ব্যস্ততা দেখায় ।নানা অছিলায় সে অরিন্দমকে দূরে রাখে। যখন তখন ফোন করতে বারণ করে। অরিন্দম জল মাপে , কিন্তু শতরূপা তার ভালবাসাকে কীভাবে নেবে সে বুঝে উঠতে পারে না।তাই ও কথা ব'লে উঠতে পারে না।তবে হাল ছাড়ে না।
এর মধ্যে চ'লে আসে করোনার লকডাউন পর্যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাশ এখন বন্ধ।সবাই এখন
বাড়িতে থাকে। অনলাইনে কিছু ক্লাশ হচ্ছে।তাছাড়া শতরূপার কাজ নাই।দিনে অনেক ফোন আসে। সহপাঠীদের ফোন আসে সেগুলো সে আনন্দের সাথে রিসিভ করে ।কথা বলে , হাসাহাসি করে। ক্লাশের বিষয়ে যেমন কথা হয় তাদের সাথে , পাশাপাশি
অভিষেকের সাথে তার ফোন চ্যাট অনেক রাত অবধি চলে। অনেক সময় তার প্রেম নিবেদন তার ছোট বোন আড়াল থেকে শোনে। অভিরূপা একটা বিষয় লক্ষ্য করেছে, কোনো একটা ফোন এলে দিদি বিরক্ত হয় , ফোন করতে মানা করে। ভুলে যেতে বলে। বিরক্ত হ'য়ে ফোন কেটে দ্যায়।
অনেক সময় ফোন ধরে না।এই আপদকে
দূর করতে পারলে বাঁচে ব'লে মন্তব্য করে।
একদিন অভিরূপা জানতে চায়, কে রে দিদি? তোকে কি কেউ বিরক্ত করছে? মানে, টীজ করছে?
শতরূপা বিরক্ত হ'য়ে ব'লে উঠে, আর বলিস না ! অরিন্দম, আমার পুরনো সহপাঠী, সিটি কলেজে একসাথে প্র্যাক্টিক্যাল পার্টনার ছিলাম।ওর নাকি আমাকে ভালো লেগেছে। বলতে চায় ,সে আমাকে ভালবেসে ফেলেছে।
---ও-ও ! তা সে কী করছে এখন? অভিরূপা জানতে চায়।
শতরূপা বলে, কী জানি কোন্ কোম্পানীতে একটা কেরানির চাকরি নিয়েছে ! কলকাতা ইউনিভার্সিটিতে তো চান্স পায়নি। কল্যানীতে ভর্তি হয়েছিলো। চাকরি পেয়ে পড়া ছেড়ে দিয়েছে ।
---ও! তা তুই তাকে তো সোজা সাপ্টা ব'লে দিতে পারিস। তুই চাস না
---ও যে এতটা বোকা আমার ধারণা ছিলো না। দেখতে সহজ সরল , গোবেচারা , কিন্তু খুব নাছোড়বান্দা।কিছুতেই বুঝতে চায় না। আরে ক্লাশে পার্টনার হলেই কি জীবনের পার্টনার ভাবতে হবে? পাগল!
---তাহলে তুই তোর সিম কার্ডটা বদলে' ফ্যাল।চুকে যাবে।
---সেটা কি আর ভাবি নি? কিন্তু এই নম্বরটাই তো সব জায়গায় দেওয়া আছে।
তাই ওটা করা যাচ্ছে না।
অভিরূপা বলে,তাহলে পুলিশে অভিযোগ কর। বুঝবে মেয়েদের টীজ করলে কী হয় !
শতরূপা ব'লে ওঠে, না , না, তাহলে ওর খুব হেনস্থা হবে। হয়তো চাকরিটাই চ'লে যাবে। আমি তা চাই না ।
অভিরূপা বলে, তাহলে ওকে ব্লক ক'রে দে,
বুঝে নিবে।
শতরূপা বলে, না , আমি ব্লক করতে চাই না। ও কতো পাগল আমি দেখতে চাই।
---ও,এই কথা ! তাহলে তোর সাথে কিছু ছিলো বল্?
---সে একটু আধটু ছিল বটে, তাই বলে এমন গাধা কে জানতো !
অভিরূপা ভেবে বললো,ও কতোটা পাগল যাচাই করতে চাইলে আমি তোকে একটা প্ল্যান দিতে পারি।
---কী প্ল্যান ?
----তোর ফোনটা আমাকে দে। আমি ওকে- - - - - , ব'লে সে তার দিদিকে প্ল্যানটা বললো।
দেখা যাক , কী কাজ হয়।
যেমন আইডিয়া তেমন কাজ----
অভিরূপা তার দিদির ফোনটা থেকে অরিন্দমকে জানালো, অরিন্দম বাবু তো? - - - শতরূপা করোনা আক্রান্ত হয়েছে ।সিরিয়াস অবস্থা। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। তার আগে সে একবার আপনাকে দেখতে চায়।আজকেই আসতে হবে বিকেল চারটের আগে।নইলে আর দেখা হবে না ।
শুনে তো অরিন্দম থ'। ও থতমতো খেয়ে বললো ,ওরে বব্বাবা ! করোনা ! এখন তো --লকডাউন !----- আমতা আমতা ক'রে শুধালো, তা কোথায় যেতে হবে ?
অভিরূপা তাকে ব্যারাকপুর ট্রাঙ্ক রোডের একটা ঠিকানা দিল। ওখানে কাউকে জিজ্ঞেস করলেই দেখিয়ে দিবে। ৪•০০টার মধ্যে আসতে হবে। দেরী করলে আর দেখা হবে না।
---আচ্ছা দেখছি, ব'লে অরিন্দম জানতে চাইলো, কে বলছেন ? সে বললো, অতো জেনে কী করবেন? পারলে আসুন ।
এখন লক ডাউন। এ সময় বাইরে যাওয়া খুব বিপদ। পুলিশ ধরবে। গাড়িঘোড়া যাবে না। তার ওপর করোনা--, তবু একবার যখন দেখা করতে চায়ছে তখন যাওয়া দরকার।
আবার ভাবলো, কে খবরটা দিলো ? খবরটা কি ঠিক ? কেউ ভাঁওতা দিচ্ছে না তো? ওর বাড়ির আসল ঠিকানা তো সে জানে না ।তবে ওর ফোন থেকেই তো কলটা এসেছে ।
কাজেই কাছের কেউ হবে নিশ্চয় । এই সব ভাবতে ভাবতেই সে সিদ্ধান্ত নিলো, সে হেঁটে যাবে।
তৎক্ষণাৎ কাপড়চোপড় প'রে মুখে মাস্ক মাথায় টুপি দিয়ে অরিন্দম বেরিয়ে পড়লো।
চার ঘণ্টার বেশী হেঁটে হেঁটে সে কোনোক্রমে বেলা তিনটে নাগাদ খুঁজেপেতে শতরূপার বাড়ির দরজায় পৌঁছে কলিং বেল বাজালো। বার কয়েক ঘণ্টা বাজলো।
একজন মাস্ক-পরা আপাদমস্তক ঢাকা তরুণী দোতলার বারান্দায় বেরিয়ে জানতে চাইলো , কাকে চাই ? সে বললো , আমি অরিন্দম , শতরূপার সাথে দেখা করতে এসেছি।ফোন পেয়েছিলাম ।অনেক কষ্ট ক'রে হেঁটে এলাম ।তাই এতো দেরী হলো।---
অভিরূপা আফসোস ক'রে বললো ,আহাহা,
আপনিই সেই লোক ! নাছোড়বান্দা প্রেমিক! -- কিন্তু দেখা তো আর হলো না ।
কন্ডিশন সিরিয়াস হওয়ায় একটু আগেই ওনাকে তো বেলেঘাটায় নিয়ে চলে গিয়েছে ! আর ওখানে আপনার যাওয়া তো ঠিক হবে না। ঢুকতে দেবে না। খুব দুঃখজনক ! ফিরে যান। কী আর করবেন, শেষ দেখা আর হয়তো হলো না !
অরিন্দম স্তম্ভিত হ'য়ে দাঁড়িয়ে রইলো ।
তাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে মেয়েটি বললো, ফিরে যান ! আমরা এখন হোম কোয়ারান্টাইনে ! দাঁড়িয়ে থেকে লাভ নাই।
অরিন্দম তবুও অনুরোধ করলো , সুস্থ হ'য়ে ফিরে এলে একবার খবর দিবেন। ----
---সে - - চাইলে---- দেওয়া যাবে , আগে তো আসুক , - -- - সম্ভাবনা খুব কম, মেয়েটি বললো। আমাদেরই কী হয় !
তাকে নীচ থেকেই ফিরিয়ে দিলো। তারপর ভিতরে ঢুকে অভিরূপা শতরূপাকে বললো , সত্যি দিদি , ভদ্রলোক তো একেবারে তোর নাছোড় প্রেমিক ! খিদিরপুর থেকে হেঁটে এসেছে, ভাবা যায় ! পুলিশের ভয় নাই, করোনার ভয়ও নাই !
এর পরে-- যদি খোঁজ নিতে আসে তো তোকে এবার মেরেই ফেলতে হবে রে দিদি !
কোনো উপায় নাই !
দুজনে উপহাসের ভঙ্গীতে হেসে লুটিয়ে পড়লো--- - - -
( ১৪৯৩ শব্দ )
© বদরুদ্দোজা শেখু ,বহরমপুর।
*( ২য় ও শেষ পর্ব পরে দেওয়া হবে)
---------------------------- ---------------------------
কবির নাম-- বদরুদ্দোজা শেখু
ঠিকানা-- 18 নিরুপমা দেবী রোড , বাইলেন 12 ,
শহর+পোঃ- বহরমপুর , জেলা--মুর্শিদাবাদ,
PIN -742101
পঃ বঙ্গ , ভারত ।
হো• অ্যাপ নং +91 9609882748
-----------------------------------------------