মুতুরাজন
অনিন্দ্য পাল
সুনিতাকে হলে বসিয়ে বাইরে এল সীমানা। তাড়াহুড়োয় ঘড়িটাই পরা হয়নি আজকে। প্যান্টের পকেট থেকে মোবাইলটা টেনেহিঁচড়ে বার করে দেখলো নটা পঁয়ত্রিশ। অর্থাৎ ওকে তিন ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে প্রথম অর্ধ শেষ হবার জন্য। গলাটা শুকিয়ে গেছে। সাতসকালে ভিড় ঠেলে ওই ক্যানিং ট্রেনে চড়ে আসা আর ঘানিতে সরষে পিষে তেল বের করাটা সীমানার একই রকম ব্যাপার বলে মনে হয়। সবটাই বল প্রয়োগের নীতি। নিউটন এই সময় এইরকম ক্যানিং ট্রেনে উঠলে তাকে বেশি কষ্ট করতে হত না বলের সূত্র বের করার জন্য।
তাও রক্ষে যে তাকে রোজ এই ট্রেন জার্নি করতে হয়না। স্কুলটা বাড়ির কাছে, সাইকেলে মিনিট পনের লাগে। কিন্তু সুনিতার তো সেই হাওড়া। যাতায়াতেই ছয় ঘণ্টা। কলেজ সার্ভিস এর ফরম ফিলাপ করা পর্যন্ত! পড়াশোনা নামমাত্র।
কেমন অদ্ভুত লাগে সীমানার একটা মেয়েকে কমিশন বাড়ি থেকে প্রায় চল্লিশ কিমি দূরের একটা স্কুলে চাকরির রেকমেন্ডেশন দিল? এটা চাকরি দেওয়া হলো, না চাকরি পেয়েছে বলে শাস্তি দেওয়া হলো বুঝতে পারে না সে।
সকালে মা এক কাপ চা করে দিয়েছিল। তবু আর একবার ওর চা তেষ্টা পেয়েছে। সায়েন্স কলেজ এর সামনেই অবৈজ্ঞানিক চায়ের দোকানগুলো সার দিয়ে বসে আছে। কিন্তু এই দু'হাজার সাত সালেও ফুটপাতটাকে লোকজন একেবারে ল্যাট্রিনের মতোই ব্যবহার করে বলেই মনে হলো তার। বেশ কয়েক জায়গায়... যাগ্গে এক কাপ চা তো খাওয়া যাক আগে! দোকানদারকে চা দিতে বলে পকেটে হাত নাড়ালো সীমানা। খুচরো পয়সার জন্য। এই এক সমস্যা হয়েছে এখন। দোকান, বাজার, সিনেমা হল, রেলের টিকিট কাউন্টার, যেখানেই যাও খুচরো চাইবে। সেদিন তো খুচরোর জন্য টিকিটটাই দিল না। ট্রেনটা মুখের সামনে থেকে বেরিয়ে গেল। মেজাজ গরম হয়ে গেছিল সীমানার, প্রায় কুড়ি জনের পিছনে লাইন দিয়েও ট্রেনটা ধরতে পারল না টিকিটের জন্য! যাচ্ছেতাই বলেছিল কাউন্টারে বসে থাকা মাঝবয়সী ভদ্রমহিলাকে, তবুও রাগ কমেনি ওর। বিনা টিকিটে পরে ট্রেনটাতে চেপে বসেছিল ভেবেছিল চেকার ধরলে আরেকপ্রস্থ ঝামেলা করবে কিন্তু পরে মনে হয়েছিল কাজটা ভুল, কারণ চেকাররা ওসব দেখবে না, হয় পুরো ফাইন নেবে নতুবা হাতভর্তি।
পকেট থেকে খুচরো বের করতে করতে সীমানার নজর পড়লো চায়ের দোকানদার এর উপর। চা পাতাটা একেবারে ডাস্ট। কে জানে হয়তো চামড়ার গুঁড়ো মেশানো। কোন একটা বইতে পড়েছিল ইদানিং লাভ বেশি করার জন্য চায়ের ডাস্ট আর ট্যানারির চামড়ার গুঁড়োর ব্লেন্ড ব্যবহার করছে চায়ের দোকানদাররা। চা টা খেয়ে ওর মনে হলো যেন চিনির জল খাচ্ছে। দূর! এই সমস্ত দোকানগুলোতে পথচলতি মানুষ কি করে যে চা খায় তা কে জানে?
পয়সা মিটিয়ে বাইরে এসে সীমানার মনে হলো, কোথাও একটা বসতে হবে। এতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে পারবেনা। বর্ষাকাল। চারদিকে জল। কে জানে এই রাস্তাটা জলে ডুবে গিয়েছিল কিনা? মুষলধারে বৃষ্টি মানেই তো কলকাতার স্থল পথগুলোর জলপথে রূপান্তর। তবে শুধু কলকাতাকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। দিল্লি, মুম্বাইওতো এখন কলকাতাকে টেক্কা দিচ্ছে! এমনকি পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশকে চোখের জলে ভাসানো ব্রিটেনেও বন্যা! আর হিমবাহগুলো যে রেটে গলছে তাতে বড় বড় গাড়ি ব্যবসায়ীদের নৌকার ব্যবসায়ী হয়ে ওঠাটা শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা । সেদিন আবার কি যেন দেখলো পেপারে? ওহ, গ্রীনহাউজ, গ্লোবাল ওয়ার্মিং কে পিছনে ফেলে এখন দূষণের আন্ডারওয়ার্ল্ড, সরি আপার ওয়ার্ল্ড ডন "এশিয়ান ব্রাউন ক্লাউড"। কালকে আবার দেখলেও পৃথিবীতে দূষণের জন্য বজ্রপাতের সংখ্যা বাড়ছে আবার বজ্রপাত দূষণ বাড়াচ্ছে, মানে একে অপরের পরিপূরক। পৃথিবী এবার খেপেছে! তেড়ে মেরে ডাণ্ডা করে দেবে ঠান্ডা!
যাইহোক একটা বসার জায়গা খুঁজতে হবে সীমানাকে। কিন্তু তার আগে টয়লেটে ওকে যেতেই হবে। কলেজে নিশ্চয়ই আছে। কোন দিকে সেটাই জানতে হবে। সামনে দাঁড়িয়ে দেখতে চেষ্টা করল কিন্তু বুঝতে পারল না কোনদিকে হতে পারে। হঠাৎ মনে হলো, রিসেপশানে একজন গার্ড ছিলেন তাকে জিজ্ঞাসা করলেও হয়। কিছু ভাববে? ধুর! ভাববে আবার কি? ওটা সবাইকেই করতে হয়। অন্যায় তো কিছু নয়। সীমানা ধীরে ধীরে রিসেপশানে গিয়ে ভদ্রভাবে জিজ্ঞাসা করল, 'গ্রাউন্ড ফ্লোরে টয়লেট টা কোথায়?' ওর প্রশ্ন শুনে লোকটা একটু অদ্ভুত ভাবে বললো, 'ওগুলো সব ডিপার্টমেন্টের মধ্যে।'
এরপর আর কথা চলে না। 'ও আচ্ছা!'-- বলে সীমানা বেরিয়ে এলো। ওর মনে হলো এদের কলেজের ছাত্র-শিক্ষক মানে ডিপার্টমেন্টের লোক ছাড়া কি আর কেউ টয়লেটে যায় না? রিসেপশনের ভদ্রলোকটি কি বাড়ি থেকেই সেরে আসেন? আর বাড়ি গিয়ে বছরশেষের হালখাতার মত আরেকবার সারেন? কে জানে বাবা এদের হয়তো সব আলাদা পার্টস! ইমপোর্টেড হয়তো! খুঁজতে হবে আশপাশে কোথাও আছে কিনা। কারণ তিন ঘন্টা চেপে রাখা সম্ভব নয়। ওখানে তো আর ইনবিল্ট রেফ্রিজারেটর নেই যে জমে সলিড হয়ে যাবে, আর তারপর সুবিধামতো লিকুইফায়েড করে টয়লেট জাত করলেই হবে। পেয়েছে এবার বেশ জোর! সায়েন্স কলেজটা ছেড়ে এসে গলির মোড়ে দাঁড়িয়ে ডানদিক বাঁদিক ভালো করে নজর করলো সীমানা। না, কোথাও সূচগ্র মেদিনীও কেউ এই কাজটার জন্য রাখেনি! সবাই নিজেদের জন্য 'ডিপার্টমেন্টের ভিতর' করে রেখেছে। তা এই পথ চলা দু-পেয়ে গুলোর জন্য একটা সুলভ শৌচালয় করতে প্রাণ চায় না কারো? এর চেয়ে বাবা গ্রাম অনেক ভালো! ফাঁকা মাঠ, রাস্তার গাছপালার পাশে বা এদিক ওদিকে প্রচুর প্রাকৃতিক টয়লেট আছে। শুধু পাওয়ার অপেক্ষা। এখানে সে সুযোগও নেই! হয়তো কোন গলি-ঘোঁজ খুঁজে কেউ ছাড়তে পারে, কিন্তু খপাত করে "ক পু" ধরলেই জীবন একেবারে ফুটবল হয়ে যাবে! একবার কপু-র লাঠি (বলা যায়
না লাঠিটা লাথিতে পরিণত হতে পারে) আর একবার জরিমানা! আর তারপর যদি রেফারি হিসেবে মিডিয়ায় অবতীর্ণ হয় তবে ষোলোকলা পূর্ণ হয়ে যাবে!
তলপেটটা কনকন করছে সীমানার! প্রায় সাত মিনিট ধরে হাঁটছে, নাহ্ , কোথাও সেই "আধি সুখি... আধি ভিগি" জায়গাটা নেই! সব দূষণমুক্ত ঝাঁ-চকচকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন জায়গা। অন্তত দূর থেকে দেখে তো তাই মনে হয়। ফুটপাতে তো অনেক কিছুই থাকতে পারে। নাহ্, এদিকে আর না! সামনেই একটা গলি বাম দিকে চলে গেছে। দেখা যাক ওদিকটায়। ভগবানের নাম করে ঢুকে গেল সীমানা। ঢুকতেই ডান দিকে দেখল একটা "ম্যালেরিয়া ক্লিনিক"। সরকারি। ওর মনে হলো, এর মধ্যে থাকলেও থাকতে পারে। বড় গেটের সামনের কিছুটা অংশ চিড়িয়াখানার খাঁচার মত খোলা ছিল, ভিতরে ঢুকে ভয় পেয়ে গেল সীমানা! এইরকম আবার ক্লিনিক হয় নাকি? এ তো সব নন-বেঙ্গলীদের সংসার! কোথাও ক্লিনিক বা রোগীর চিকিৎসা সম্পর্কিত কিছুই দেখতে পেল না সীমানা! হঠাৎ দেখল গেটের ডানদিকে একটা খুপরি মত ঘরের দরজায় একটা বউ আর একটা বেশ কমবয়সী কিন্তু ওজনদার মেয়ে প্রশ্ন আর বিরক্তির সুন্দর বহিঃপ্রকাশ চোখে নিয়ে তাকে দেখছে। একেবারে আপাদমস্তক দেখা! কোনো বিজ্ঞাপন বিরতি নেই। কোনো রকমে পালিয়ে বাঁচল সীমানা! ওখানে বোধহয় ম্যালেরিয়া ছাড়ানো হয় না, কারো প্রয়োজন হলে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়।
আবার চলল সীমানা, তলপেটটা বড় বেশি ভারী ভারী লাগছে। ওর এখন সেই গোপাল ভাঁড়ের গল্প টা মনে পড়ল। সত্যিই এই মুহূর্তে সীমানা অনুভব করছে নিজেকে হালকা করতে পারলে ও কতটা আনন্দ পাবে! হঠাৎ সীমানার নজরে এল একটা ছোট্ট গলি মত বাম পাশে বেরিয়ে গেছে। কে বা কারা ওখানে একটা পাশে বেশ কয়েকটা জেনারেটর রেখে দিয়েছে। ওর মনটা যেন আনন্দে নেচে উঠলো। যদিও নিজে নাচতে পারবে না, তাহলেই ব্লাডার যেকোনো মুহূর্তে ব্লাস্ট করতে পারে। পায়ে পায়ে এদিক-ওদিক দেখতে দেখতে এগিয়ে গেল সীমানা। একটা বড় জেনারেটর এর পিছনে পৌঁছে হাতটা ততক্ষনে চেনের যিপের কাছাকাছি, রিফ্লেক্স আরো দ্রুত কাজ করছে, কিন্তু হঠাৎ একটা বাজখাই গলায় চমকে উঠল! "কি দাদা এখানে কি? কোথায় যাবেন?"
দেখল দুটো লোক আর একটা বউ ওর ডান পাশে হাত তিনেক দূরে বসে বসে কতগুলো স্পেয়ার পার্টস কেরোসিনে ভেজাচ্ছে। উত্তেজনায় ও তো দেখেইনি। হালকা হবার আনন্দে আর একটু হলেই হয়তো পিঠটা ভারী হয়ে যেত! কোনমতে আমতা-আমতা করে বেরিয়ে এলো ওখান থেকে। ওটা একটা গ্যারেজ। ওর মনে পড়ল কদিন আগে কোন একটা এফএম চ্যানেলে শুনছিল মুতু-রাজন। যারা কলকাতার রাস্তাঘাটে যত্রতত্র মূত্রত্যাগ করে তাদেরকে ওই এফএম চ্যানেল "মুতুরাজন" নাম দিয়েছে। পরিস্থিতি যেদিকে গড়াচ্ছিল তাতে ও নিজেই এক্ষুনি "মুতুরাজন" হয়ে যাচ্ছিলো আর কি!
ওহ্ কি সমস্যা ! কলকাতার লোকজনের কি এসব পায় না? যারা বাড়ি বা দোকানে আছে তাদের না হয় ডিপার্টমেন্টে আছে কিন্তু যারা বাইরে কাজ করছে এইসব চায়ের দোকানদার বা ঐ লোকগুলোর? কে জানে! কিন্তু এবার সত্যিই খুব কষ্ট হচ্ছে সীমানার! কেমন ফুলে উঠছে পেটটা। ঘড়িটা দেখল, প্রায় দশটা পনেরো। পঁয়তাল্লিশ মিনিটের বেশি এদিক ওদিক ঘুরছে। আর পারা যাচ্ছে না! স্কুলের কথা মনে পড়ল সীমানার। সুমন, মলয়, রহিম আর ও ,ওরা চারজন একসঙ্গে টয়লেটে যায় । আড্ডা-ইয়ার্কি জল ছেটানো সবই হয়। কিন্তু টয়লেটের যে এত গুরুত্ব তা তো এতদিন বুঝতে পারেনি সীমানা!
আবার হাঁটতে লাগল সীমানা। আস্তে আস্তে তলপেট টনটন করতে করতে মোচড় দিচ্ছে। মাঝে মাঝে নিজের উপরই রাগ হচ্ছিল। স্টেশনে সেরে আসলেই হতো। কিন্তু আবার মনে হলো তখন তো পায়নি। এ তো আর ইচ্ছামৃত্যুর মত নয়। নিজের শরীরেরই জিনিস কিন্তু নিজের নিয়ন্ত্রণে নেই! স্বাধীন, স্বৈরাচারী! হাঁটতে হাঁটতে বেশ অনেকটা চলে এসেছে সীমানা। গলিটা শেষ প্রায়, কোন বড় রাস্তার সঙ্গে মিশেছে দেখা যাচ্ছে। সামনে ট্যাক্সি স্ট্যান্ড। ওর মনে হলো একটা ট্যাক্সি নিয়ে স্টেশনে চলে যায় তারপর... উহ্! হোঁচট খেল সীমানা। এই এত মোটা কেবল ফুটপাতের উপরে? এগুলোই তবে ভূগর্ভস্থ লাইন! কালকের কাগজেইতো পড়লো এই ভূগর্ভস্থ লাইনের তার থেকেই "জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু যুবকের"। হালকা হতে গিয়ে কি শেষে ছবি হয়ে যেতে হবে নাকি? সীমানা আবার চলতে লাগল কোথাও ওভারহেড লাইন আছে কিনা দেখার জন্য।
এদিক-ওদিক দেখছিল, মানে সীমানার মনে হচ্ছিল কলকাতার আকাশে কি তাহলে তারজালির দিন শেষ? হঠাৎ দেখলো, রাস্তার উল্টোদিকের একটা বাড়ির দোতলা থেকে একটা লোক 'রসগুল্লা- রসগুল্লা' বলেছে চেঁচাচ্ছে আর কার দিকে যেন হাত দেখাচ্ছে। কৌতুহলী চোখে সে দিকে চাইতেই, সীমানার বুকটা ধড়াস করে উঠল! ওর মনে হলো সারা শরীর যেন অবশ হয়ে আসছে! সত্যিই! সত্যিই কি তবে? যা দেখছে সেটা কি সত্যি? সীমানার "ইউরেকা ইউরেকা" বলে চেঁচিয়ে উঠতে ইচ্ছা করলো। চতুর্দিক সম্পর্কে একেবারে বিলুপ্ত হয়ে গেল সীমানার বোধ, ও এখন শুধু রসগোল্লার দিকে চলছে। স্থান-কাল-পাত্র ভুলে ওর চোখ এখন অর্জুনের মতো রসগোল্লার দিকে। ফুট থেকে রাস্তায়, গাড়ি, সিগন্যাল, ধাক্কা সব ভুলে সীমানার সামনে শুধু এখন রাস্তার উল্টোদিকের একটা দু-ফুট বাই তিন-ফুট স্কন্ধকাটা খুপরি।
রাস্তার মাঝখানে তার পাশেই ঘ্যাঁচ করে থেমে যাওয়া অটো আর গুটকা চেবানো গুহার মত মুখ থেকে জ্বলন্ত লাভার মত অটোচালকের কথাগুলো ওর মনে হলো যেন বহুদূর থেকে হাওয়ায় ভেসে আসছে। ওর চোখে এখন শুধু রসগুল্লা- রসগুল্লা, আর রসগুল্লা। সীমানা মন্ত্রমুগ্ধের মত, অনেকটা মাঝরাতে নিশিতে পাওয়া মানুষের মতো রাস্তার ওপারের দিকে হেঁটে চলেছে। ততক্ষণে দোতলার লোকটা রসগুল্লাকে ডাকা থামিয়েছে কারণ, ততক্ষণে রসগুল্লা স্থানান্তরিত হচ্ছে। আর সীমানা, অভিকর্ষের চেয়েও জোরালো একটা টানে রসগুল্লা নামের লোকটার ছেড়ে আসা ফাঁকা যায়গাটার দিকে এগিয়ে চলেছে। তার চোখে শুধু দুটো পাদানি, একটা দুধ সাদা প্যান আর ময়লা বাদামি হয়ে যাওয়া নল বেয়ে পড়তে থাকা কলকলে জল। এগিয়ে যাচ্ছে সীমানা, অসীম আনন্দ পাওয়ার জায়গায়। মুখে শুধু বিড়বিড়ানি, "সুনিতা আমি মুতুরাজন হয়ে যাইনি।"
ছবি ঋণ- ইন্টারনেট ।
==============================
ঠিকানা*
======
অনিন্দ্য পাল
প্রজত্নে -- বিশ্বনাথ পাল
গ্রাম -- জাফরপুর
পোঃ-- চম্পাহাটিি
পিন - ৭৪৩৩৩০
থানা -- সোনারপুর
জেলা -- দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা
পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
Mob: 9163812351
ধন্যবাদ।