Click the image to explore all Offers

অণুগল্প।। ত্রিরাত্রি ।। জয়তী ব্যানার্জি মুখার্জি

 


 
 

গোধূলির রক্ত বর্ণ মুছে ধীরে ধীরে অন্ধকারের উত্তরীয়য় আচ্ছাদিত হচ্ছে আকাশ, পাপড়ি মেলে ধরছে নক্ষত্ররাজি। উৎসুক যুবকের অক্ষিদ্বয় নিবদ্ধ দিগন্তপানে ।
লীলাবতীর খনখনে কণ্ঠস্বর নিস্তব্ধতা বিদীর্ণ করে--"সব কটার নাম জানেন?"
ওষ্ঠে প্রথম আলাপের সংকোচ মুছে নিজেকে গোপন করেন যুবক--"একটিরও না "।
হাসিতে উচ্ছ্বল হয়ে ওঠে লীলাবতী, একটি দুটি করে নির্দেশ করে নক্ষত্রদের নাম, অবস্থান, উদয়- অস্তের সময় । দুটি হৃদয়তন্ত্রীতে ঝংকৃত হয় অশ্রুতপূর্ব রাগিণী ।
চন্দ্রমার আলোয় উদ্ভাসিত যামিনী। অঙ্গনে পাশাপাশি উপবেশন করেছেন ত্রিরত্ন- পণ্ডিত, যুবকস্বামী ও লীলাবতী। পিতা-পুত্রের দুইজোড়া অক্ষি কৃতজ্ঞতায় উদ্ভাসিত, পণ্ডিত বললেন--" তোমার নির্ভুল গণনার কারণেই আপন পুত্রকে ফিরে পেয়েছি । আমার ধন্যবাদ জানানোর ভাষা নেই ।"
বড়ো কুণ্ঠিত বোধ করে লীলাবতী, প্রসঙ্গান্তরে গমন করে--" দেখুন পিতা, চন্দ্রদেবকে আজ বেষ্টন করে রয়েছে তিনটি তারকা। বলুন তো, এর ফলাফল কী হওয়া সম্ভব!!"
ব্যাখ্যা আরম্ভ করে লীলাবতী, ম্লান হয়ে যায় দ্বিরত্ন ।
অমাবস্যা রজনী, মসিকৃষ্ণ গগনমণ্ডলের দিকে চেয়ে আছে লীলাবতী । এমন রাত্রিতেই পিতা অনাচার্যদেব নক্ষত্র চেনাতেন, বলতেন--" চক্ষু-কর্ণ খুলে রেখো সবসময়, এই শিক্ষার পথ । যে শিক্ষা লাভ করবে অন্যকে সহজ করে শিখিয়ে দিও ।"
পদশব্দে চটক ভেঙে জেগে ওঠে লীলাবতী, স্মৃতিচারণের পালা সমাপ্ত, ঊষা সমাগত ।
জিহ্বাকর্তনের ছুরিকা হাতে কে এলো--- পিতা নাকি পুত্র!!!!
(সম্পূর্ণভাবে কাল্পনিক)
 😊

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.