সত্যি জায়গাটা পাল্টে গেছে। আগে একটা সরু রাস্তা ছিল। একটা বাসই উল্টো ডাঙা থেকে এখানে আসত। চারপাশে ছিল ধানী জমি। ছিল একতলা দুতলা বাড়ি। ফাঁকা মাঠ ছিল। ঘর বাড়ী গুলো ছিল বিচ্ছিন্ন। ড্রেন ছিল কাঁচা।
দু চারটে দোকান ছিল। রাস্তার দুধারে টিম টিমে আলো জ্বলত। ওধারে ছিল বাঁশ বন। বাঁ দিকে ছিল সৌরভ গাংগুলি সরনী। সেখানে ছিল একটা দুটো তিনতলা বাড়ি। দরশোদোরন এ ছিল জমিজমার অফিস। ডানদিকে ছিল পর পর কয়েকটি কাঁচা বাড়ি। এক স্টপ এগিয়ে গেলে আজাদহিনদ নগর। জমির মধ্যে দিয়ে হেঁটে অনেকটা গেলে ছিলএকটা বসতি। তার গায়ে ছিল মুসলমান পাড়া। কতবার তারা এখানে এসেছে একটা জায়গা কিনতে। দালাল ধরেও মনের মত জমি পায় নি। এক আত্মীয় দুকাটা জমি ছিল। শেষে সেই জমি কিনে ছিল। কিন্তু বাড়ি করা হয় নি। জমিটা বেঁচে দিয়ে ছিল অনিমেষ।
আজ সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে নমিতা বিশ্বাস করতে পারছে না তার চোখকে।
20 বছরে একটা জায়গায় এত পরিবর্তন?
সরু রাস্তা হয়েছে চওড়া। ওয়ান লেন হয়েছে
ফোর লেন। একটা রাস্তা নিউটাউন, একটা লাউহাটি, একটা সোজা রাজার হাট চৌমাথা।
আগে একটা, এখন অনেক বাস। অনেক গাড়ি। চারপাশে দশ বারো তলা বাড়ি। তার নিচে ঝাঁ চকচকে দোকান রেস্টুরেন্ট শপিং মল।
20বছর আগের একটা আধা শহর তার পুরনো খোলস ত্যাগ করে সম্পূর্ন নতুন জামা পড়ে তাকে চমকে দেবে-এটা ভাবতেই পারছে না নমিতা। আরো ভাবতে পারছে না, অনিমেষ কেন তাকে এখানে নিয়ে এল? উবেরএ বসে জিগেস করেছিল – আমরা কোথায় যাচছি?
-চল না। এক জায়গায় যাব।
-জায়গায় টা কোথায় সেটা তো বলবে।
-কেন? না বললে কি তুমি যাবে না?
-তোমার ই বা গোপন রাখার রহস্য কি?
-কিছু কিছু জায়গায় রহস্য রাখতে হয়, নাহলে জীবন রক্ত হীন স্বাদ হীন লাগবে।
-বুঝলাম না। কি বলতে চাইছ?
-অত বোঝার দরকার নেই। আমি যাচ্ছি তুমি যাবে। তোমার কি অস্বস্তি বা ভয় হচ্ছে?
-তা কেন হবে? 12বছর প্রেম করলাম। বিয়ের বয়স 25 বছর। জীবনের 37টা বছর কাটালাম তোমার সংগে। এত দিন কোন ভয় হল না। আজ কেন হবে? তুমি কি আমায় কিডন্যাপ করে কোথাও নিয়ে যাচছো?
-তা হলে এত প্রশ্ন করছো কেন? আমি তোমার স্বামী যেখানে নিয়ে যাব সেখানেই যাবে।
-বা: তুমি তো দেখছি তোমার বাবার মতো কথা বলছো।
-শুধু এটা কেন। তুমি তো সবসময় বলে চলেছ তুমি দিন দিন তোমার বাবার মতো হয়ে যাচছো।
-হ্যাঁ। হচছো তো। তোমার বাবার মতো একগাদা ওযুধ নিয়ে খেতে বস।
-বয়স হলে মানুষ তিনটে জিনিসে বাঁচে।
-কি কি শুনি?
-এক স্ত্রীর প্রেম দুই ডাক্তার তিন ওযুধ।
-তা তোমার বাবার তো ডাক্তার লাগতো না। বই পড়ে হারবাল ওযুধ আনাতেন। ইদানিং তোমাকে দেখছি নিজের টিটমেনট নিজে করছো।
-কি করবো? স্টৃল লুজ হলে ডাক্তারের কাছে গেলাম। এমন ওযুধ দিল বর্ডার সিল। এবার পায়খানা হবার ওযুধ খাও। সীমান্ত প্রদেশ রক্তাক্ত হল। সে কি যন্ত্রণা। রক্তপাত। পাঁচ দিন ভোগো। এরা ডাক্তার?
-না না। এরা কেন ডাক্তার হবে। তুমি, তোমার বাবা ডাক্তার। বাবা বলতেন – শোন বউমা---আমি থামিয়ে দিতাম।
-বাবা কিছু ভুল বলতেন না।
-তোমার বাবা ভুল কেন বলবেন।
-কোনটা ভুল বলেছেন, বলো?
-আমি অত মনে করে বসে নেই। তবে দেখছি তুমি তোমার বাবার কার্বন কপি হচছো।
-যেমন?
-এই যেমন তোমার মা কিছু বললে বাবা চিৎকার করতেন। তুমিও আজকাল চিৎকার করছো।
-আমি চিৎকার করি?
-ফ্ল্যাটের সকলে জানে। ঐতো সেদিন তিলতলার
বাসু গিননি বলছিলেন, বউ মা তোমাদের ফ্ল্যাট থেকে মাঝে মাঝে ঝগড়া শুনি। কেন? তোমাদের একটা মাএ মেয়ে। বিয়ে দিয়েছ, ভাল আছে। নাতি
হয়েছে। দাশদা এখনও চাকরী করছেন। তা চিৎকার চেঁচামেচি হয় কেন?
-তুমি কি বললে?
-কি বলব? বলব যে তুমি মাঝে মাঝে ঝগড়া করো?
-তুমি একবার বাসু গিননীকে বল, তারা তো বুড়োবুড়ী হয়ে গেছে, কখনো কি বাসু বাবু তার সংগে ঝগড়া করেন নি? যদি বলেন, না, কোনদিন ঝগড়া করেন নি, তাহলে জানবে তিনি দুটো মিথ্যে কথা বলেছেন।
-দুটো মিথ্যে কি কি?
-এক দাম্পত্য জীবনে ঝগড়া হবে না, এমন দাম্পত্য কখনো হতে পারে না। আর যদি না হয় তবে বুঝতে হবে স্বামী স্ত্রী কেউ কাউকে ভালবাসাতে পারে নি। কোন বাধ্যতায় বা
বিপন্নতায় এক সংগে থেকেছেন।
-তার মানে তুমি বলতে চাইছো, স্বামী স্ত্রীর ঝগড়া হবেই?
-তুমি কোনদিন তোমার বাবা মার ঝগড়া দেখ নি?
-আমি হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করেছি। আমি দেখিনি।
-তুমি একটা সমীক্ষা করে দেখ না, ঝগড়া হীন কোন দাম্পত্য জীবন পাও নাকি? এই যেমন তোমার নাতির দাঁত উঠছিল না। তখন মেয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ল, নিয়ে গেলাম বড় ডেনটিসের কাছে, ডাক্তার কি বলেছিল তোমার মনে আছে?
-মনে ছিল। এখন মনে পড়ছে না?
-মেয়েকে বলেছিলেন ডাক্তার, মা তুমি পৃথিবী ঘুরে একটা দাঁতহীন মানুষ নিয়ে এসো। আর এই জন্য ছ শো টাকা দিতে হয়ছিল। বলেছিল কি না বলো?
-হ্যাঁ বলেছিল। তা বলে তুমি তোমার বাবার মতো ঘরে পূজো দেবে না, ঠাকুরের সামনে বসে প্রার্থনা করবে না, যেমন তোমার বাব করে নি।
-তুমি ভুলে যাচছো কেন আমার ভিতর বাবার রক্ত বইছে। আমি কি করে পালটে যাই বলতো?
-কেন সময়ের সংগে সংগে পৃথিবী পালটাছে
তুমি কেন পালবে না? মানূষের জীনও পাল্টে
যাচ্ছে। বাবার মতো কোন আত্মীয় বাড়ি যাবে না। কেউ তোমার বাড়ি আসুক, সেটা পছন্দ করবে না। এমন কেন হবে তুমি?
-দেখ আত্মীয় স্বজনকে আমার বাবা ভালো চিনেছিল। দাঙ্গা হয়ে ছিল যখন পূর্ব পাকিস্তানে তখন মা ঠাকুরমাকে নিয়ে আমার বাবা এপার বাংলায় চলে আসে। এখানে বাবার অনেক ভালো ভালো আত্মীয় ছিল, তারা না দিয়েছে শেলটার, না করছে অর্থ সাহায্য্য। এরা আত্মীয়?
আমার বাবা অনেক লড়াই করে জমি বাড়ি করেছেন। ট্রেনে হকারি করেছেন বাবা। আত্মীয়
কথাটা এসেছে আত্মা থেকে। যারা আত্মাকে
অস্বীকার করে, তারা কিসের আত্মীয়? কেন
তাদের সংগে সম্পর্ক রাখবো, বলতে পারো?
-তোমার বাবার এই ফিলজফি নিয়ে তুমি 58
বছর কাটিয়ে দিলে। সমস্যা হয় আমার। কষ্ট হয় আত্মীয়তার সম্পর্ক গূলি নষ্ট হয়ে গেল বলে।
একটা তীব্র শব্দ করে বাইক গেল। নমিতা নড়ে উঠল। ভাবনার জাল কাটলো। দশরদোন নেমে উবের ছেড়ে দিয়ে ছিল অনিমেষ। তাকে এখানে দাঁড় করিয়ে রেখে বলল-আমি আসছি। তুমি এখানে একটু দাঁড়াও।
একে বলে একটু দাঁড়ানো? সেই যে গেছে, এখনো এলো না। কার কাছে গেল? এখানে কে আছে? কি করতে এখানে নিয়ে এল, তাও খুলে বলেনি। একটা মহিলাকে এভাবে একা দাঁড় করিয়ে কেউ যায়? একবারও তো ভাববে আমি কত সময় এখানে দাঁড়িয়ে থাকতে পারি? একটা মানুষের কত ধৈর্য থাকতে পারে? একা একটা মেয়ে অপেক্ষা করতে থাকলে পুরুষ মানুষ গুলি কেমন লোভি চোখে তাকায়। তার বয়স 50 তো কি? ষাট বছরের সন্ন্যাসীনীকে ছাড় দিচ্ছে না। ধর্ষন করে চলে যাচ্ছে। এই দিনের বেলা এত গাড়ি এত লোকজন এত দোকান – কিছু হবে না। সত্যি কি কিছু হবে না? সে তো রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে আছে। হঠাৎ একটা মারুতী গাড়ি এসে দরজা খুলে আচমকা তাকে টেনে গাড়িতে তুলে
নিতে পারে। তার শরীরে কতটা শক্তি আছে বাধা দেবে? বা চিৎকার করল, কটা লোক ছুটে আসবে? এর মধ্যে দু তিনবার ফোন করেছে। সাড়া পায় নি। দুশ্চিন্তা কাটাবার জন্য নমিতা সামনের দিকে তাকাল। দশতলা ফ্ল্যাট বাড়ি।
বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে কিছু অবাঙালী। রাম
মন্দির, গিরিশ পার্ক, বড় বাজার, কাঁকর গাছি, স্লটলেক কোথায় নেই এরা? তারপর এখানেও। এর পর গোটা কলকাতা টা ওদের মুঠোয় চলে যাবে। এদিকে তো বাংলা ইস্কুল ধুকছে। ইংলিশ মিডিয়াম ইস্কুলের রমরমা। এই শহরে কত দোকান। অথচ সাইনবোর্ড বাংলা নেই। যেখানে যাও হয় হিন্দি, না হলে ইংরেজি। বড় লেখক সুনীল গাংগুলি ও আরো কিছু বুদ্ধি জীবী সরকারের সব কাজ বাংলায় করতে হবে-এইরকম একটা আন্দোলন করেছিল। জনসমর্থন পেল না।
-সরি অনেক খন তোমাকে দাঁড়াতে হয়েছে। কে জানে এত দেরি হবে, তাহলে তোমাকে সংগে নিয়ে যেতাম। রাস্তায় মেয়েরা একা দাঁড়িয়ে থাকা টা নিরাপদ নয়। কলকাতা শহরটা দিন দিন চোর ডাকাত ধর্ষকদের হাতে চলে যাচ্ছে।
-দিল্লি শহর কি নিরাপদ? তাহলে বাসের ভিতর-
----সে ছাড়। এতখন তুমি কি করছিল?
-আর বলো কেন, আজ রোববার, আমি জানি
বিশ্বজিৎ বাড়ি থাকবে। গিয়ে দেখি নেই। ওকে
বলে রেখে ছিলাম, আমি আসবো, সেকথা বাবু ভুলে গেছে। ওর জন্য অপেক্ষা করতে হলো। ওর কাছে চাবি। ওর মা জানে না ছেলে কোথায় চাবি রেখে গেছে। এদিকে আবার মোবাইল নিয়ে যায়নি। সব মিলিয়ে দেরি হয়ে গেল খুব। তুমি কিছু মনে করো না। ভেরি সরি।
-অত ফরমালিটি দেখাতে হবে না। আগে বলতো বিশ্বজিৎ কে? কিসের চাবি?
-বিশ্বজিৎ আমার ছাএ। বেকার জীবনে তো কম ছাএ পড়াই নি। তুমি কজনকে চিনবে? চাবি? ফ্ল্যাটের চাবি ওর কাছে ছিল।
ফ্ল্যাট চাবি বিশ্বজিৎ - নমিতার মাথা গুলিয়ে যাচছিল। রাস্তা পার হয়ে তারা একটু ভিতরে ঢুকলো। একটা আবাসনের কাছে এসে থামল।
গেটে লেখা – গীতাঞ্জলি আবাসন। গেটে সিকিউরিটি অফিস। ভিতরে কিছু নারকেল গাছ। চারটে দশতলা ফ্ল্যাট। সিকিউরিটি লোকটি অনিমেষকে স্যালুট দিল। তার মানে
অনিমেষের এখানে আসাযাওয়া আছে। কিন্তু কার কাছে? একটু বাঁ দিকে গিয়ে সি ব্লকের লিফটে ঢুকল। নমিতাও সংগে। ওরা নামল দশতলায়।
ডানদিকে বন্ধ ফ্ল্যাটের তালা খুলল অনিমেষ।
ভিতরে ঢুকলো তারা। ছোট্ট ফ্ল্যাট। ওয়ান রুম। কতটা জায়গা হবে? এই চারশোর মতো । কিন্তু সব আছে। একটা আট বাই দশ বেডরুম।
ছয় বাই ছয় ডাইনিং। বাথরুম। কিচেন। চার বাই চার বারান্দা। নমিতা বারান্দায় এসে দাঁড়াল। বেশ ভালো লাগলো তার। সামনে বিস্তৃত ধানি
জমি। পাখি উড়ছে। কত ফড়িং। দূরে প্লেন উঠছে নামছে। হাতের কাছে নীল আকাশ।
বেশ, বেশ ভালো লাগলো। অনেকখন চুপচাপ
দাঁড়িয়ে রইল। তারপর হঠাৎ মনে হলো অনিমেষ তাকে এখানে নিয়ে এল কেন?
ঘরের ভেতর এসে দেখল মাঝখানে
দাঁড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছে অনিমেষ। নমিতা
বলল-এখানে কেন আমরা?
-আগে বলো কেমন লাগলো তোমার?
-ভালো। তবে ওয়ান রুম তো।
-একজনের জন্য ওয়ান রূমই তো লাগে।
-মানে?
-তোমার নামে এই ফ্ল্যাটটা বুক করেছি। বিশ্বজিৎ যোগাযোগ করে দিয়েছে।
-সে নাহ হয় বূঝলাম। কিন্তু আমার নামে কেন?
-বিধাননগরের ফ্ল্যাটটা তো আমার নামে। এটা তোমার নামে হোক।
প্রথমে খুশি হল নমিতা। তারপর দেখা দিল সংশয়। বলল-তুমি কি টাকা ইনভেসট করছো?
-না। থাকবার জন্য কিনেছি।
-কে থাকবে এখানে? আমি বাবা বিধাননগর ছেড়ে এখানে থাকতে আসবো না। কে থাকবে শুনি?
সিগারেটে লম্বা টান দিয়ে অনিমেষ বলল-তুমি।
-আমি? আমি কেন?
-তুমি সব সময় বলো না, আমি আমার বাবার মতো হয়ে যাচ্ছি। তুমি ব্যাপারটা জানো যে
ষাট বছর বয়সে আমার বাবা মাকে ডিভোর্স
দিয়েছিল। কেন দিয়ে ছিল জানি না। মা মামার বাড়িতে শেষ জীবনটা কাটায়। আর দু বছর পর আমি ষাটে পা দেব। আমার বাবার মতো যদি তোমাকে ডিভোর্স দি। তুমি কোথায় গিয়ে থাকবে? তোমার কোন ভাই বোন নেই। তাইএ ফ্ল্যাট তোমার নামে বুক করেছি।
খুব বড় একটা ভূমিকম্প হলে এই বাড়িটা মাটির গর্ভে তলিয়ে যেতে থাকলেও নমিতা এতটা ভয় পেত না। এখন যতটা ভয় তার রক্তের ভিতর ছুটছে। তার সামনে দাঁড়িয়ে যে অনিমেষ সিগারেট খাচ্ছে, সে কি তার 38 বছরের চেনা অনিমেষ? নাকি চেনা অনিমেষরা এভাবেই হঠাৎ একদিন সম্পূর্ন অচেনা হয়ে ওঠে? নমিতা কিছু বলতে পারলো না। শুধু অনুভব করছিল বুকের যন্ত্রটা থেমে থেমে চলছে। হঠাৎ চিরতরের জন্য থেমে যাবে নাকি? থামলেই বা আসশোষ কিছু থাকবে না। নমিতা আবার ছোট্ট বারান্দায় আসে। দূরের সবুজ ধানখেত। তার ওপর উড়ছ স্বাধীন পাখি প্রজাপতি। তাকিয়ে থাকতে থাকতে এক সময় নমিতার ভিতর কিসের যেন একটা তোলপাড় হয়।
অনিমেষ বলে – চল ফিরতে হবে তো।
নমিতা ভিন্ন গলায় বলে – কোথায়?
-কেন বিধাননগরের বাড়িতে।
নমিতা খুব ঠান্ডা গলায় বলে – আমার কোন বাড়ি নেই।
-------------------শেষ-----------+---------
Debdas kundu
6D GORAPADA Sarkar Lane
Kolkata 67