রহিম সেখ
আব্দুস সাত্তার বিশ্বাস
সুলেমান মাস্টারের জমিতে রহিম সেখ ধান পুঁততে এসেছে। পাট কাটার পরে যে ধান পুঁতে ওই ধান। অর্থাৎ বর্ষার ধান।কেউ কেউ একে আবার "আষাঢ়ে ধান" বলে।আষাঢ় মাসে পুঁতে বলে। কিন্তু ও নিয়ে কোন আলোচনা হবে না এখানে। এখানে অন্য আলোচনা হবে।
সেটা হল,রহিম সেখ ধান পুঁততে একা আসেনি।আরও তিন জনকে সঙ্গে করে সে নিয়ে এসেছে।তারা হল,কালু,পটল ও ফজর আলি।এরা সবাই রহিম সেখের প্রতিবেশী। আর রহিম সেখের চাইতে এরা সবাই বয়সে ছোট।যে কারণে রহিম সেখকে এরা "রহিম ভাই" ডাকে।আর রহিম সেখ এদের সবার নাম ধরে ডাকে।
না,ধান পুঁততে তারা এখনো শুরু করেনি। শুরু করবে।তার আগে তারা একটা করে বিড়ি খেয়ে নিতে চায়।না হলে যে কাজে মন বসবে না কারও।যে জন্য নিজ নিজ ট্যাঁক থেকে একটা করে বিড়ি বের করে আগুন ধরিয়ে তারা টানতে লাগল।টানতে টানতে টানা শেষ হলে পরে বিড়ির সিটি (বিড়ি খাওয়ার পরে যে অবশিষ্ট অংশটুকু থাকে আর খাওয়া হয় না,ফেলে দিতে হয়।) ফেলে দিয়ে তারা মাথায় গামছার ফেটা বেঁধে জমিতে নামল ও ধান পুঁততে শুরু করল।
।।দুই।।
সুলেমান মাস্টারের যে জমিটায় তারা এখন ধান পুঁতছে,ওটা হল দেড় বিঘার দাগ।রহিম সেখ সুলেমান মাস্টারের কাছে জমিটা ঠিকা নিয়েছে।যত টাকায় ঠিকা নিয়েছে কাজের শেষে মোট টাকাটা তারা চারজনে সমান ভাগে ভাগ করে নেবে।
গতকাল সন্ধ্যার আগে রহিম সেখ গ্রামের সব্জি হাট থেকে হাট করে বাড়ি ফিরছিল।এই সময় পথে সুলেমান মাস্টারের সাথে তার দেখা হয়েছিল।রহিম সেখ তাকে বলেছিল,"কী রে সুলেমান,তুর ড্যাড় বিঘ্যার দাগডা কাদা করালছিস দেখনু!"
"হ্যাঁ,করিয়েছি।"
"কার নাঙ্গল দিইয়্যা করালছিস?"
"সাইফুল্লার লাঙ্গল দিয়ে।"
"কাদা খুব ভালো হইয়্যাচে।"
"কবে দেখলি?"
"আজই দেখনু।ওদিক দিইয়্যা আসার সুমায়।ক্যানে,কবে কাদা করাইছিস?"
সুলেমান মাস্টার বলেছিল,"কাদা করা এদিকে দিন কয়েক হয়ে গেল।"
"সে কী রে!তা-ও ধান পুঁতিস নি?"
"না।"
"পুঁতিস নি ক্যানে?"ও পরে বলেছিল,"কাদা কইর্যা ভুঁই কেহু ফেইল্যা রাখে?তাড়াতাড়ি ধান পুঁইত্যা লিস।না হিলে মাটি কড়া হইয়্যা যাবে।তখুন ধান পুঁতাই হবেনা।আবার কাদা করা লাইগবে।"
সুলেমান মাস্টার বলেছিল,"পুঁতব তো পুঁতব কী করে?মুনিশ না পেলে।"
রহিম সেখ বলেছিল,"সে কী রে!গ্রামে এ্যাতো মুনিশ তা-ও মুনিশ পাস ন্যা?"
"না।তোরা পুঁতে দে না!"সুলেমান মাস্টার রহিম সেখকে পুঁতে দেওয়ার কথা বলেছিল।
রহিম সেখ উত্তরে বলেছিল,"পুঁইত্যা না হয় দিব,কিন্তু আমরা কাজ করছি যে।"
সুলেমান মাস্টার তখন "সবাই-ই তো ওই একই কথাই বলছে" বলে বলেছিল,"তা হ্যাঁ রে,গ্রামে এত মুনিশ থাকতে আমার ধান পুঁতা হবেনা?আমি কি গ্রামের মানুষের কোন উপকারে লাগি না?না ভবিষ্যতে কোন দিন কারও উপকারে লাগব না?"
তাইতো।রহিম সেখ তখন বলেছিল,"এ্যাতো বড়ো কথা যখুন তুই বুললি,যা তুর ধান আমরা পুঁইত্যা দিব।কিন্তু ভুঁই আমাধের ঠিক্যা দিতে হবে কিন্তু।ঠিক্যা না দিলে পুঁতব না।"
"তো ঠিকা নিবি।"
"কত টাকা দিবি বুল!"
সুলেমান মাস্টার বলেছিল,"তোরা যা নিবি নিস,আমার ধানটা পুঁতে দে!"
রহিম সেখ বলেছিল,"দ্যাখ সুলেমান,তুই হলি আমার বন্ধু,তুকে ফালতু কথা বুলব না, বা ঠগাবো না।তুর ধান পুঁইততে মুট সাতটা মুনিশ লাইগবে।কিন্তু আমরা যেহ্যাতু তুর কাছে ঠিক্যা লিছি তুই আমাধের আটটা মুনিশের খরচ দিবি।খাবার,বিড়ি কিছু লাইগবে না।শুদু আটটা মুনিশের খরচ দিলেই হইয়্যা যাবে।তুই রাজি আছিস কি বুল?"
সুলেমান মাস্টার বলেছিল,"রাজি আছি,পুঁতে দে!"
রহিম সেখ তখন আটটা মুনিশের দাম কত হচ্ছে সেটা হিসেব করে দেখে বলেছিল,"আটটা মুনিশের দাম তুর চব্বিশ শো টাকা লাইগবে।"
"চব্বিশ শো টাকাই নে,পুঁতে দে!"সুলেমান মাস্টার অমনি পকেট থেকে টাকাটা বের করে রহিম সেখের হাতে ধরিয়ে দিয়েছিল। পকেটে টাকা নিয়েই সে বেরিয়েছিল।
টাকা নিয়ে রহিম সেখ বাড়ি চলে এসেছিল।ও পরে তার সঙ্গীদের বাড়ি গিয়েছিল এবং আজ সুলেমান মাস্টারের জমিটা পুঁতার কথা বলে এসেছিল।
।। তিন।।
ধান পুঁততে পুঁততে কালু বলল,"তুমাকে একটা কথা বুলব,রহিম ভাই?"
"কী কথা বুলবি,বুল!"রহিম সেখ বলতে বলল।
কালু বলল,"তুমি সুলেমান মাস্টারকে "তুই" কইর্যা কথা বুলো ক্যানে?আমি কতোদিন তুমাকে "তুই" বুলতি শুন্যাচি।মাস্টার মানুষকে একটুন ভালো ভাষায় কথা বুলতি পারো না?"
"তুই,খারাপ ভাষা নাকি?ভালো ভাষাই তো।"
"তা হলেও মাস্টার মানুষের সাথে কেহু "তুই" কইর্যা কথা বুলে?তুচ্ছ লোকেধের সাথে বুলল্যা সেডা ঠিক আছে।আমি শুদু তুমাকেই এ রকম দেকছি।"
"বুললে তুর কি কুনু অসুবিধ্যা হয়?"
"আমার অসুবিধ্যা হবে ক্যানে?"
"তো বুলচিস যে তাহিলে?"
"শুনতে খারাপ লাগে,তাই বুলছি।"
রহিম সেখ উত্তরে তখন যা বলল,"আমি ক্যানে সুলেমান মাস্টারকে "তুই" কইর্যা কথা বুলি এডা কি তুরা কেহু জানিস?আর জানবিই বা কী কইর্যা?তুরা হলি গ্যা সব সেদিনক্যার ছেইল্যা!"
"ক্যানে বুলো?"কালু জিজ্ঞেস করল।
রহিম সেখ বলল,"বুলি কারোণ,সুলেমান মাস্টার হল আমার কেলাস ফেন্ড।কেলাস ফেন্ডকে কেহু কুনুদিন "আপনি" কইর্যা কথা বুলে?না বুলা চলে?আমি বুলব না,তুরাই বুল!"
সুলেমান মাস্টার রহিম সেখের ক্লাস ফ্রেন্ড হয় শুনে সবাই হাসল।খিলখিল করে।তাদের সেই হাসি দেখে রহিম সেখ বিরক্ত হয়ে বলল,"কী হুলো তুধের,বাঁদরের মুতো সব দাঁত বাহির কইর্যা খিলখিল কইর্যা হাসচিস ক্যানে?আমি কি তুধের হাসির কুনু কথা বুলনু?"
তারা হাসিতে তখন আরও জোর দিল এবং হাসতে হাসতে হাসি যখন একটু কমল তারা বলল,"কী বুলল্যা তুমি রহিম ভাই,সুলেমান মাস্টার তুমার কেলাস ফেন্ড হয়!"
রহিম সেখ বলল,"হয়ই তো।হয় কিনা সুলেমান যখন মাঠে আইসবে অকেই শুধাস।"
তারা বলল,"কুনঠে সুলেমান মাস্টার আর কুনঠে তুমি!তাহিলে সুলেমান মাস্টার তুমার কেলাস ফেন্ড হয় কী কইর্যা?না না,এডা তুমার সব মিথ্যা কথা হলো।"
রহিম সেখ এবার একটু শান্ত হয়ে বলল,"ঠিক আছে,আমার কথা তুধের যখুন বিশ্ব্যাসই হয় না,সুলেমান যখুন মাঠে আইসবে তখুন অকেই ধইর্যা শুধাস।উ কী কথা বুলে শুইন্যা দেখিস।"ও বলল,"তুরা আমার কথা বিশ্ব্যাস করবি ন্যা আমি সেডা জানি।তোবু তুধের বুলি শুন,সুলেমানের মতো অঘা আর কমা ছাত্র কেলাসে একটাও ছিলো না।পড়হা ল্যাখায় এ্যাতো কাঁচা ছিলো যে,প্রতিদিন কেলাসে মাস্টারদের হাতে মার খাতো আর কান ধইর্যা কেলাসের বাইহিরে দাঁড়িয়্যা থাকত।জীবনে কুনুদিন লাস্ট বেঞ্চ ছাড়া ফাস্ট বেঞ্চে বসেনি।"
"এডা তুমি কী কথা বুলছ!অতো কমা ছাত্র কুনুদিন মাস্টার হতি পারে?সুতরাং, এড্যাও তুমি ঠিক কথা বুলল্যা না,রহিম ভাই।"
"যেডা কথা আমি সেডাই বুলছি।"
"বেশ,আর তুমি?"
"আমি জীবনে কুনুদিন ফাস্ট বেঞ্চ ছাড়া লাস্ট বেঞ্চে বসিনি।আবার ফাস্ট ছাড়া জীবনে কুনুদিন সেকেন্ড হইনি।"এটা পটলের জিজ্ঞাসার উত্তরে রহিম সেখ বলল।
কিন্তু ফজর আলি সেটা মানতে পারল না।সে টপ করে অমনি বলে ফেলল,"তুমার ই কথাডাও আমরা মানতে পারনু না,রহিম ভাই।এ্যাতে তুমি আমাধের যা খুশি বুলতি পারো।"
"আমি তো তুধের সে কথা আগেই বুইল্যাছি যে,তুরা..."
ফজর আলি এর মৃদু প্রতিবাদ করল,"না রহিম ভাই না,এডা তুমি ঠিক কথা বুলল্যা না।বিশ্ব্যাস করার মুতোন হলে অবোশ্যই বিশ্ব্যাস করতুক।"ও পরে বলল,"শুদু আমরাই না,তুমার এই কথাডা কেহুই বিশ্ব্যাস করবে না। যে শুনবে সে-ই... আবার তুমি যতি একটা জায়গায় থাকত্যা বিশ্ব্যাস করতি কুনু অসুবিধ্যাই ছিলো না।কী বুলনু,আমার কথা শুনতি পাইয়্যাছ?"
রহিম সেখ খুব দুঃখ করে তখন বলল,"সবই হলো আমার কপাল রে,সবই হলো আমার কপাল।নাহিলে আমি আজ মুনিশ খাইটব ক্যানে?জায়গাতেই থাকতুক।উপর অলার অভিশাপে আমি লষ্ট হইয়্যা
গ্যেলছি।..."বলতে বলতে গলাটা তার ধরে এলে ধরা ধরা বলল,"আমি যখুন ক্লাস সিক্সে পড়হি তখুনই আমার বাপ-মা মইর্যা যায়।দু-মাস আগে পরে।আগে বাপ,পরে মা।তারপর আমি অনাথ হইয়্যা যাই।আমাকে দ্যাখার মুতোন কেহুই থাকেনা।সম্পর্কে আমার এ্যাক পাড়া চাচা তখুন আমাকে তার বাড়ি লইয়্যা চইল্যা যায়।যাইয়্যা আমাকে তার ছাগল চরাতে লাইগ্যা দ্যায়।পড়হা ল্যাখা আমার বন্ধ হইয়্যা যায়।প্যাটে দুইট্যা খাওয়ার লাইগ্যা,দুইট্যা খাইয়্যা বাঁইচ্যা থাকার লাইগ্যা আমি হইয়্যা যাই রাখাল,আমি হইয়্যা যাই মুনিশ।...."বলতে বলতে তার গলাটা পুরো ধরে গেলে সে থেমে যায় এবং কিছুক্ষণ পরে স্বাভাবিক হয়ে বলল,"জানিস তো,আমার জায়গায় যতি সুলেমান থাকত তো তারও পড়হা ল্যাখা কিছুই হতো না,চাকরি পাওয়া তো দূরে থাকুক।"
এরপর কিছুক্ষণ কারও মুখে কোনও কথা নেই।নীরবতা পালন করার মতো সবাই মৌন।কিছুক্ষণ পর ফজর আলি বলল,"তুমার সেই পাড়া চাচার নাম কী,রহিম ভাই?ইচ্ছ্যা করলে সে তুমাকে মানুষ করতি পারত।কিন্তু সে তুমাকে তা না কইর্যা মুনিশ কইর্যাছে,মুনিশ।"
না,রহিম সেখ তবু তার নাম বলল না বা নাম বলতে চাইল না।শুধু বলল,"চাচা আমার বাঁইচ্যা নাই রে,চাচা আমার বাঁইচ্যা নাই। বহুদিন আগে মইর্যা গ্যেলছে।বহুদিন আগে মইর্যা.... মরার সুমায় খুব কষ্ট পাইয়্যাছে। কষ্ট পাইয়্যা পাইয়্যা মইর্যাছে।"
।।চার।।
মাথার উপর এখন সূর্য এসে বিরাজ করছে।রোজের কাজ হলে এখন মুনিশ ছুটি হয়।কিন্তু রহিম সেখদের যেহেতু এটা ঠিকার কাজ তারা তাই এখনও ধান পুঁতছে।আর পুঁতে শেষ না হওয়া পর্যন্ত ধান তাদের পুঁততে হবে। এতে যদি সন্ধ্যাও হয় তো হবে।ঠিকার কাজে যে মুনিশেরা সময় দেখে না,কাজ দেখে।কাজটা শেষ করে কখন তারা উঠতে পারবে।
হ্যাঁ,সুলেমান মাস্টার এই সময় মাঠে এসে ছাতা মাথায় জমির আলে দাঁড়াল।ধান কতটা পুঁতা হয়েছে সেটা দেখল।অর্ধেকের কিছু বেশি জমি পুঁতা হয়েছে।দেখে রহিম সেখদের বলল,"কী রে,ধান আজ পুঁতে সারতে পারবি তো তোরা?"
উত্তরে রহিম সেখরা জানাল,"ধান যে আজ আমাধের পুঁইত্যা সারতেই হবে।এ্যাতে যদি সন্ধ্যাও হয় তো হবে।নাহিলে যে কাল আমাধের আবার কাজ আছে।"
"ঠিক আছে,তোরা পুঁতে সার তাহলে। আমি বাড়ি গেলাম।"
সুলেমান মাস্টার বাড়ি যেতে গেলে ফজর আলি বলল,"বাড়ি চইল্যা যাছেন,মাস্টার?"
"হ্যাঁ,যাই।"
"একটুন দাঁড়াবেন না?"
"কেন,কিছু বলবি?"
"হ্যাঁ,আপনারে একটা কথা শুধাতুক।"
সুলেমান মাস্টার দাঁড়িয়ে গেল,"বল,কী কথা?"
বলা মাত্র ফজর আলি বলতে লাগল,"বুলছি,রহিম ভাই আর আপনি বুলে এ্যাক কেলাসে পড়হ্যাছেন!আপনি বুলে রহিম ভাইয়ের কেলাস ফেন্ড ছিলেন!"
এহেন প্রশ্নের জবাব সুলেমান মাস্টার যখন দিল ধান পুঁতা বন্ধ করে তখন সবাই তার উত্তর শুনল।শুধু রহিম সেখই ধান পুঁতা বন্ধ করল না।মাথাটা নিচু করে সে ধান পুঁতেই চলল।
সুলেমান মাস্টার বলল,"হ্যাঁ রে,রহিম আমার ক্লাস ফ্রেন্ড ছিল।আমরা এক ক্লাসে পড়েছি।শুধু তাই-ই নয়,রহিম পড়াশোনাতেও খুব ভালো ছিল।"
"আপনার থিক্যাও ভালো ছিল?"
"হ্যাঁ,আমার থেকেও ভালো ছিল।অনেক ভালো ছিল।পড়া না পারার জন্য মাস্টারের হাতে আমি মার খেলেও ও কোন দিন মার খায়নি।আমি লাস্ট বেঞ্চ ছাড়া কোন দিন ফার্স্ট বেঞ্চের মুখ দেখিনি।কিন্তু রহিম ফার্স্ট বেঞ্চ ছাড়া কোন দিন বসেনি এবং ফার্স্ট ছাড়া জীবনে কোন দিন সেকেন্ড হয়নি। যাইহোক,রহিমের তোরা হাতের লেখা দেখেছিস?"
"না,দেখিনি।"
"একদিন দেখিস।দেখলে বুঝতে পারবি,রহিম কী জিনিস।এত সুন্দর হাতের লেখা! অথচ দ্যাখ,সেই রহিম আজ.... সবই হল মানুষের কপাল রে,সবই হল মানুষের কপাল।..."
শুনতে শুনতে রহিম সেখের চোখ দুটো ভিজে গেল।শব্দ করে না কাঁদলেও সে নিঃশব্দে কাঁদল।
আমাদের দেশে যে এ রকম কত রহিম সেখ রয়েছে তার ইয়ত্তা নেই।
ছবিঋণ- ইন্টারনেট ।
------------------------------
Address:-
Vill+P.o.Sarangpur khas para,
P.s.Domkal,
Dist.Murshidabad.Pin.742304.