আজ বিচ্ছেদ এর পঞ্চম বর্ষপূর্তি।মনামী বিচ্ছেদ চেয়ে ছিল তা নয় আবার তার স্বামী রনজয় যে বিচ্ছেদ চেয়েছিল তাও নয় ।তাহলে বিচ্ছেদ এর কারন কী? এসব ভাবতে ভাবতে দুপুর থেকে বিকেল গড়িয়ে গেল। কলিং বেল এর শব্দ,দুবার আসছি বলে রনজয় দরজা খুলতে গেল ।দরজার ওপাশে দু তিনজন ছেলে মেয়ে ।স্যার সামনেই পরীক্ষা,পড়াবেন?
রনজয় সময় নেই বলেই হুট করেই দরজা বন্ধ করে,ঘরের ভেতর নিজেকে আটকে রাখল।চিৎকার করে বাঁচাও... বাঁচাও... বলতে লাগল । অবশেষে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে গেল ।
হঠাৎ যেন মনামী চোখের সামনে। যেন সে বলল, ফিরে যাবে সেই গোধূলি বিকেল বা ভোরের ট্রেনে, যে স্টেশন এর কোনো নাম থাকবে না।দুজনে মিলে নাম দেব।আমার তোমার লুকিয়ে হবে দেখা ।পৌষের পিঠেপুলি কিংবা শরতের পেঁজা তুলোর মতো মেঘের স্রোতে ।
দূরত্ব কী শুধু কাগজ কলমের কালির শেষ বিন্দু পর্যন্ত । এতগুলো বছর যে একসাথে কাটালাম,তার কী কোনো সাক্ষরতা নেই?
পরদিন সকালে দরজা ভেঙে চার কাঁধে রনজয় গেল না ফেরার দেশে ।
মনামী এসেছিল,দূর থেকে দেখে চলে গেছে।
মনে মনে হয়তো ভাবছিল একটা ফোন করলে সম্পর্কের সুতো টা হয়তো জুড়ে যেত। কিন্তু আমিও তো ফোন টা করতে পারতাম ।দিনের গভীর আলোর সাথে রাতের তারারা একসাথে থাকলেও,ফারাক টা থেকে যায়।
---------------