Click the image to explore all Offers

ছোটগল্প ।। বড়ো কুটুম ।। হারান চন্দ্র মিস্ত্রী

 


দশমীর দিন প্রতিমা বিসর্জন। বিসর্জনের দিনে প্রতিমা নিরঞ্জন করতে গিয়ে পাড়ার ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে খুব নেচেছে সতীশ। সারা গায়ে ব্যথা হয়ে গেছে তার। তাতে তার ইচ্ছায় বাধা পড়েনি। আগে থেকে প্রয়োজনীয় জিনিস ও জামা-প্যান্ট গোছানো ছিল তার। ব্যাগটা পিঠে ঝুলিয়ে সটান বেরিয়ে পড়ল অজানার সন্ধানে।
       হাওড়া স্টেশনে এসে টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়ায়। কোথায় যাবে ভাবতে থাকে সে। লাইনে কাউন্টারের কাছে আসতেই সে সিদ্ধান্ত নেয়, প্রথমে সে বর্ধমানে যাবে। সেখানে এক বন্ধুর বাড়িতে দুদিন থেকে তবে বিহারে প্রবেশ করবে।
      স্টেশনে একটি হোটেল থেকে ভাত খেয়ে ট্রেনে চেপেছে সতীশ। ঠেলাঠেলি করে আর পাঁচজনের মতো একটি  সিট দখল করেছে সে। গাড়ি চলতে শুরু করতেই ঘুমে তার চোখ জুড়ে এলো। কখন বর্ধমান পেরিয়ে গেছে, কিছুই জানে না সতীশ। যখন তার ঘুম ভাঙল, তখন ঘন অন্ধকারের ভিতর দিয়ে ট্রেন ছুটে চলেছে। জায়গাটা আনুমান করতে পারে না সে। অগত্যা টিটির কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করল,"এটা কোথায় এলো দাদা?"
টিটি বললেন,"কোথায় নামবে?"
সতীশ উত্তর দিল,"বর্ধমানে নামব।"
টিটি বললেন,"আধা ঘন্টা আগে পেরিয়ে গেছে বর্ধমান।"
সতীশ বলল,"তাহলে এখন কি করা যায়?"
টিটি বললেন,"বর্ধমানে কোনো আত্মীয় বাড়িতে যাচ্ছিলে?"
সতীশ বলল,"বেড়াতে যাচ্ছিলাম। বর্ধমানে দুদিন থাকতাম। তারপরে যেতাম পাটনা।"
দ্বিতীয় টিটি একজন যাত্রীকে ধরে এনেছেন। তিনি মাঝ বয়সী ভদ্রলোক। তিনি জলেশ্বর পর্যন্ত টিকিট কেটেছেন। যাবেন পুরীতে। ক্ষুদ্রা রোড জংসনে নেমে গাড়ি করে চলে যাবার প্ল্যান কষেছিলেন তিনি। জলেশ্বর ছেড়ে যেতেই ধরা পড়ে গেছেন ভদ্রলোক। তাঁকে ফাইন দিতে বলায় তিনি তা না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করতে থাকেন। তিনি বলেন," পুরীতে মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেব পদচিহ্ন রেখেছেন। নীলাচলে প্রভুর অন্তর্ধান হয়েছিল। সেই সমুদ্রের জলে একবার অবগাহন না করলে জীবন বৃথা হয়ে যাবে। তাই বহু দিনের ইচ্ছা পুরণ করতে তিনি পুরীতে যাচ্ছেন।"
দ্বিতীয় টিটি তাঁকে প্রশ্ন করলেন,"তীর্থে যাচ্ছেন। পুরো টাকা দিয়ে টিকিট কাটলেন না কেন?"
ভদ্রলোক উত্তর দিলেন,"কিঞ্চিৎ ব্যয় কমানোই উদ্দেশ্য।"
ওই টিটি বললেন,"অসৎ উপায়ে যাওয়া ঠিক?"
ভদ্রলোক বললেন,"এ কাজ সবাই করে বাবু। আপনি এক ছোকরার কাছ থেকে একশ টাকা নিয়েছেন। আমি দেখেছি।"
ওই টিটি ভদ্রলোকটিকে ছাড় দিতে মনস্থ করেছিলেন। সরাসরি ঘুষ নেওয়ার কথা উত্থাপন করায় তিনি চটে গেলেন। তিনি জোর গলায় ভদ্রলোককে বললেন,"ফাইনের টাকা বার করুন।" তারপর খচ খচ করে প্যাডের একটি কাগজে লিখে দ্বিতীয় টিটি তার হাতে ধরিয়ে দিলেন।" শেষে তিনি ফাইন দিয়ে পুরী যাবার পাস পেলেন।
দ্বিতীয় টিটি সতীশকে দেখিয়ে বললেন,"ইনি ফাইন দিয়েছেন?"
সতীশের মনে ভয় হল। সে ভাবল, টাকা আছে। দেওয়া যাবে। কিন্তু, টাকার সঙ্গে সম্মান যাবে। কেন যে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম!
যে টিটি সতীশের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তিনি বললেন,"এ আমার পরিচিত। গল্প করতে করতে পুরী পর্যন্ত নিয়ে যাব।"
দ্বিতীয় টিটি বললেন,"আচ্ছা। ভালো আছেন?"
সতীশ বলল," ভালো আছি। আপনি ভালো আছেন?"
দ্বিতীয় টিটি বললে,"আছি। আপনারা কথা বলুন। আমি আসছি।" বলে তিনি টিকিট চেক করতে চলে গেলেন।
টিটি বললেন,"তোমার কোনো ভয় নেই। আমি তোমাকে গেট পার করে দেব। বাংলা থেকে বিহারে যেতে চেয়েছিলে। যেতে হচ্ছে উড়িষ্যায়। সে তো তোমার কাছে নতুন রাজ্য।"
সতীশ বলল,"তা ঠিক। কিন্তু, আপনি ওনাকে বললেন, আমি আপনার পরিচিত?"
টিটি বললেন,"ঠিক বলেছ। তোমার নাম জানা হয়নি। তোমার নাম কি?"
সতীশ বলল,"আমার নাম সতীশ। প্রতি বছর বেড়াতে যাই বলে গ্রামের লোক আমাকে ভ্রমণ বিলাসী সতীশ বলে ডাকে।"
টিটি জিজ্ঞেস করলেন,"কোথায় কোথায় ঘুরেছ?"
সতীশ বলল,"পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি জেলা আমি ঘুরে দেখেছি। তাই এবার অন্য রাজ্যগুলো ঘুরে দেখতে চাই।"
টিটি জিজ্ঞেস করলেন,"বিয়ে করেছ?"
সতীশ বলল,"না।"
টিটি একগাল হেসে বললেন,"সেজন্য তুমি এতো ঘুরতে পারছ।"
ততক্ষণে এক ফেরিওলা এসে "বাদাম চাই, বাদাম চাই বলে" চিৎকার করছে। তিনি তাকে ডেকে তিন প্যাকেট বাদাম কিনে নিলেন। একটি প্যাকেট প্যান্টের পকেটে রাখলেন। একটি প্যাকেট নিয়ে সতীশের হাতে দিলেন। সতীশ বলল,"আমাকে দিচ্ছেন?"
টিটি বলল,"তুমি তো আমার পরিচিত।" তারপর হো হো করে হেসে ফেললেন। 
       উভয়ে প্যাকেট কেটে বাদাম চিবোতে লাগলেন। টিটি বাদাম খেতে খেতে বললেন,"তোমার বাড়িতে কে কে আছেন?"
সতীশ হেসে বললেন,"বাড়িতে বাবা-মা আছে।"
তারপর সে মাথা হেঁট করে রইল। টিটি বুঝতে পারল, নিশ্চয়ই কোনো সমস্যা আছে। নয়তো সতীশ চুপ হয়ে গেল কেন? সে আরও জানার জন্য সতীশকে জিজ্ঞাসা করল," ভাই-বোন নেই।"
সতীশ বলল,"আমি বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান। বাল্যকাল থেকে  পড়ার ভয়ে আমি স্কুলে যেতাম না।। আমার বাবা-মা তাতে অসন্তুষ্ট। আমার অনেক চাষের জমি আছে। পরাড় ভয়ে আমি পরের বাড়িতে রাখাল থেকেছি। গোরু ছরিয়েছি। পরে বড় হয়ে হোটেলে কাজ করেছি। জীবনটা বৃথা হয়ে গেছে।"
টিটি জিজ্ঞেস করলেন,"কেন?"
সতীশ বলল,"লোকে আমাকে পশুর মতো খাটিয়ে নিয়েছে। পয়সা দেয় নি। এখন ভালো আছি?"
টিটি বললেন,"এখন কি করো?"
সতীশ বলল,"নিজের জমি চাষ করি। বাকি সময় কোলকাতায় গিয়ে রাজমিস্ত্রীর কাজ করি। তবে পূজার পর একমাস আমি ছুটিতে থাকি। ওটা আমার বেড়ানোর সময়।"
দ্বিতীয় টিটি তখন সেখানে চলে এসেছেন। টিটি প্যান্টের পকেট থেকে বাদামের  প্যাকেট বের করে দ্বিতীয় টিটির হাতে দিলেন। তিনি প্যাকেট কেটে বাদাম খেতে লাগলেন।
     রাত তখন একটা চল্লিশ। শ্রী জগন্নাথ এক্সপ্রেস কটক ছেড়ে ভুবনেশ্বরের দিকে এগোচ্ছে। যাত্রীরা ঘুমে ঢুলছে। অনেকে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। জানালা দরজা আটকানো। তবুও শীত বেশ শক্তিশালী। একটু কুঁকড়ে উঠল সতীশ। টিটির গায়ে মোটা কোট। মাথায় কান ঘেরা টুপি। পায়ে মোজা ও বুট জুতো। তিনি সতীশকে গুটি-শুটি মেরে থাকতে দেখে টিটি জিজ্ঞেস করলেন,"তোমার শীত লাগছে?"
সতীশ বলল,"লাগছে।"
টিটি বললেন,"সঙ্গে শীতের পোশাক নেই?"
সতীশ বলল,"আছে। ব্যাগের মধ্যে।"
টিটি বললেন," বার করে গায়ে দিয়ে নাও। অহেতুক কষ্ট পেয়ে লাভ কী!"
সতীশ তার ব্যাগ থেকে একটি উলের চাদর বার করে গায়ে দেয়। এবার সে বেশ গরম বোধ করে। 
সতীশ টিটিকে জিজ্ঞেস করে,"পুরীতে নেমে হোটেল কোথায় পাব বলতে পারেন?"
টিটি বললেন,"তোমাকে পরিচিত বলেছি যখন, হোটেলে পৌঁছে দেব। চিন্তা কোরো না।"
বহুক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে কথা বলতে গিয়ে পা ধরে আসছিল সতীশের। ঘুমে চোখও বুজে আসছিল। একবার সে দরজা থেকে বাইরে উঁকি মেরে ঠাহর করতে লাগল, গাড়ি কোথায় পৌঁছেছে। অন্ধকারে গতিশীল গাড়ির ভিতর থেকে সে আনুমান করতে পারছে না। তাছাড়া, উড়িষ্যায় আগে কোনোদিন আসেনি। তাই জায়গাগুলো চেনা তার কাছে অসম্ভব। টিটি বললেন,"আমরা পৌঁছে গেছি। আট মিনিটের মধ্যে আমরা নেমে পড়ব।"
ট্রেনের মধ্যে যাত্রীরা কোলাহল শুরু করে দিয়েছে। তারা নিজেদের বিছানার চাদর, ব্যাগ, জুতো ইত্যাদি গুছিয়ে নিয়েছে। অনেকে চোখে মুখে জল দিয়ে নিচ্ছে।
      ট্রেন এসে থামল পুরী স্টেশনে। টিটি সতীশের হাত ধরে নেমে পড়লেন আগে। সতীশের ভয় হচ্ছে, তাকে নিয়ে আটকে দেবে কি না!
টিটি তাকে নিয়ে সোজা ঢুকে পড়েন একটি ঘরে। সেখানে এক-দুজনের সঙ্গে হাসি-তামাশা করেন। তারপর একটি খাতায় সই করেন। আবার তার হাত ধরে সে বেরিয়ে এসে তাকে এক জায়গায় দাঁড়াতে বলেন। একটা ঘরে ঢুকে বাইক বার করে  এনে বলেন,"এটা আমার রথ। বসো। হোটেলে যেতে হবে।"
        সতীশ বাইকের পিছনে বসে আছে। বাইক এগিয়ে চলেছে। সতীশ টিটিকে জিজ্ঞেস করল,"হোটেলের নাম কি?"
টিটি বললেন,"জয়ী।"
সতীশ বলল,"বাঙালি নাম মনে হচ্ছে।"
টিটি বললেন,"বাঙালী হোটেল তো।"
তখন প্রায় সকাল হয়ে এসেছে। কথা বলতে বলতে তারা পৌঁছে গেল একটি দোতলা বাড়ির সামনে। এক মাঝ বয়সী মহিলা গেট খুলে দিল। গাড়ি ভিতরে যেতেই ভদ্রমহিলা গেট বন্ধ করে দিল। টিটি সতীশকে বললেন,"এবার নেমে পড়ো।"
সতীশ গাড়ি থেকে নেমে বলল,"এই বাড়িটার নাম দেখছি জয়ী।"
টিটি ভদ্রমহিলাকে বললেন,"আমাদের একটু চা খাওয়াও মাসি।"
ভিতরে গিয়ে ড্রইং রুমে বসলেন দুজনে। কাজের মাসি চা এনে দিল। চা খেতে খেতে সতীশ বলল," আপনি আমাকে নিজের বাড়িতে এনে তুললেন?"
টিটি বললেন,"চা খেয়ে নাও। তারপর স্নান করে ঘুমোতে হবে। কথা হবে রাতে।"
উভয়ে চা খেয়ে স্নান করে এসে ভাত খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। 

টিটি ঘুম থেকে ওঠে সন্ধ্যায়। তিনি সতীশকে ডেকে তোলেন। টিটি তাকে বলেন,"চলো ঘুরে অসি। বাইরে থেকে চা খেয়ে আসি।"
এতক্ষণে সতীশের মন থেকে ভয় দূর হয়ে গেছে। সে বুঝে গেছে টিটি সাহেব তাকে অন্তত কোনো ক্ষতি করবে না। কিন্তু কি কারণে তিনি তাকে যত্ন করছে,  সেটাই বুঝে উঠতে পারছে না সে। 
     টিটির সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হলো সতীশ। একটি ফাস্টফুডের দোকানে বসে এগরোল অর্ডার করল টিটি। তারপর চা। গরম চায়ে চুমুক দিতেই একজন এসে বললেন,"টিটি সাহেব, আপনার বড় কুটুম এলেন কবে?"
টিটি সংক্ষেপে উত্তর দিলেন,"আজ।"
টিটির উত্তর দেওয়ার ধরণ দেখে ভদ্রলোক আর কিছু জিজ্ঞেস করলেন না। চা খেয়ে সতীশ এগরোল-চায়ের দাম দিতে চাইল। টিটি বাধা দিয়ে নিজে দিলেন এগরোল-চায়ের দাম। তারপর হেঁটে বাড়ি ফিরে এলেন।
     কাজের মাসির রান্না তখন শেষ। সে বলল,"এখন আপনারা খাবেন বাবু?"
টিটি বললেন,"এখন নয়। ঘন্টাখানেক পরে আমরা ভাত খাব।" 
ড্রইং রুমে চেয়ারে বসে পড়লেন টিটি। কাজের মাসি বলল,"একটা কথা বলব বাবু?"
টিটি বললেন,"বলো মাসি।"
কাজের মাসি বলল,"প্রথম দেখে আমি হকচকিয়ে গেছিলাম, বৌমার ভাই এলো কি করে!"
টিটি বললেন,"ট্রেনের মধ্যে আমিও সতীশকে দেখে চমকে গেছিলাম মাসি। নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। হতাশ লাগছিল। সতীশের সঙ্গে দেখা হাওয়ার পর আমি আর কারো টিকিট চেক করতে যাইনি। ওকে নিজের বাড়িতে নিয়ে এলাম।"বলেই তিনি সোফায় হেলান দিয়ে চোখ বুজিয়ে চুপ করে রইলেন।
কাজের মাসি সতীশকে বলল,"কয়েকটা দিন এখানে থেকে যাও বাবা। ছেলেটা শান্তি পাবে।"
টিটি বললেন,"সতীশ থাকতে চাইলে আমি ওকে সারাজীবন কাছে রাখব।"
সতীশ এবার মুখ খুলল। সে বলল,"আমি ঠিক বুঝতে পারছি না।"
টিটি চোখ বুজিয়ে বলতে লাগলেন,"আমি একটি মেয়েকে ভালোবেসেছিলাম। তার নাম  জয়ী। সে খুব সুন্দরী ছিল। তার শর্ত ছিল যদি আমি চকরি পেয়ে একটা বাড়ি তৈরি করতে পারি,  তবে সে বিয়েতে রাজী। আমি চাকরি পেয়ে তার নামে এই বাড়ি তৈরি করে তাকে উপহার দিই।  পাঁচ বছর আগে তাকে আমি বিয়ে করেছিলাম। আমরা খুব সুখে ছিলাম।"
সতীশ বলল,"তারপর কি হলো?" 
টিটি বলে চললেন,"জয়ীর এক ভাই ছিল। সে অনেকটা ছোটো ছিল। আমার শালা হলেও সে ছিল আমার ছোটো ভাইয়ের মতো।"
সতীশ বলল,"তারা কোথায় গেল?"
টিটি মুখ তুললেন। চোখ তার জলে টল টল করছে। গলা ভারি হয়ে আসছে। তিনি বললেন,"একবার আমার কড়া ডিউটি ছিল। আমার স্ত্রী তার বাবা-মা আর ভাইকে নিয়ে বাপের বাড়ি যাচ্ছিল। একটি লরি এসে তাদের গাড়িতে ধাক্কা মারে। তাতেই তাদের সবার প্রাণ যায়।"
টিটির চোখ থেকে ঝর ঝর করে জল ঝরে পড়ল। তারপর হাউ হাউ করে কেঁদে ফেললেন তিনি।
সতীশ জিজ্ঞেস করল,"চালকের কি হলো?"
টিটি পাশে থাকা তোয়ালেয় চোখ মুছে বললেন,"গাড়ি চালাচ্ছিল আমার একমাত্র শ্যালক। সে ছিল অবিকল তোমার মতো দেখতে।"
সতীশ অনুভব করতে পারল, টিটি কেন তাকে এতো যত্ন করছে।
=================== 

 হারান চন্দ্র মিস্ত্রী
পেশা-প্রাথমিক শিক্ষক 
গ্রাম ও পো- আমতলা,
থানা-ক্যানিং,
জেলা-দক্ষিণ ২৪ পরগনা,
পশ্চিমবঙ্গ, ভারতবর্ষ,
পিন নং-743337

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.