গল্প ।। বাবলার মুষ্টিযোগ ।। দীপক পাল
বাবলার মুষ্টিযোগ
দীপক পাল
বাড়ি থেকে ছিটকে বেরিয়ে এসে বড় রাস্তায় পরে সামনের দিকে তাকাতেই পার্কের দিকে চোখ পরে গেল। কিন্তু পার্কের গা ঘেঁষে দাঁড়ান ফেরিয়ালাটার সামনে যে ছেলেটি দাঁড়িয়ে মুখ চালাচ্ছে সেটা সৌম্য না? ওকে যেন দেখে আর একটু পিছন ফিরলো না? দাঁড়া দেখাচ্ছি মজা। এক লাফে রাস্তাটা টপকে একেবারে সৌম্যর পাশে গিয়ে দাঁড়াল। 'কিরে একা একাই খাবি নাকি? এদিকে আমি কত করে খুঁজে বেড়াচ্ছি তোকে। নে লোকটাকে একটা শালপাতা দিতে বল।" সৌম্য বলে 'পকেটে পয়সা আছে তো? আমার কাছে কিন্তু পয়সা নেই'। বাবলা বলে 'মনে দাগা দিবিনা সৌম্য এই বলে দিলাম তোকে। নে শালপাতা দিতে বল শিগগিরি। ' ঠিক এই সময়ে একটা পাঁচ টাকার কয়েন ফেরিওয়ালা সৌম্যর দিকে বাড়িয়ে দিতেই বাবলা ছো মেরে কয়েনটা কেড়ে নিয়ে বলে, 'এই আলুছোলায়ালা তাড়াতাড়ি ছোলা মটর আলু ভাল করে মেখে দাও তেঁতুল জলে'। সৌম্য বলে 'প্লীজ বাবলাদা ওটা নিও না ওটাই আমার সম্বল'। ফেরিওয়ালাও বলে, 'উয়ো পাঁচ রুপিয়া ইয়ে বাবুকা।' 'চোপ, একদম চোপ্। অভি জলদি দেও পাঁচ রুপিয়াকা ছোলে মটর, নেহি তো তুমারি সব চুবড়ি উবড়ি উলট্ দেঙ্গে সমঝা। আর সৌম্য তুই এখন একটু চুপ কর বেশি দুঃখ করিস না'। ফেরিয়ালাও ভয়ে বাবলার দিকে একটা শালপাতার এগিয়ে দিল। পাঁচ টাকার আলুছোলা মটর শসা মাখা খেয়ে তার সাথে ফ্রি তেঁতুল জল খেয়ে রুমালে মুখটা মুছে নিয়ে বললো,'বড় ভাল খেলুমরে সৌম্য। কিন্তু আর একটু হলে ভাল হতো'। এমন সয়য় ঠিক পেছন দিক থেকে কে যেন বলে উঠলো 'কিগো বাবলাদা সৌম্যকে একা পেয়ে খুব জগ মারছো'। দুজনেই একসাথে পেছনে ফিরে বিশ্বরূপ কে দেখলো পকেটে হাত দিয়ে মিটিমিটি হাসছে ওদের দিকে তাকিয়ে। তাই দেখে বাবলা বলে, 'বেশি চালাকি করিস নাতো বিশ্ব।
খাইছেতো মোটে পাঁচ টাকার ছোলা তাতেই তোদের এত ডাট। তবুও যদি সৌম্যটা বলতো, বাবলাদা এসেছ এই নাও আমি পাঁচ টাকার খেয়েছি তুমিও পাঁচ টাকার খাও। বলেছে কি? জিজ্ঞেস করনা ঐ ছোলায়ালাকে, যত্ত সব'।
সৌম্য বললো, 'ছেড়েদে বিশ্ব তুই কোথাও যাচ্ছিস?' 'হ্যারে, একটু কলেজস্ট্রিট যাব চল্। সাহেবের জন্মদিনে আজ যাবিনা?' সৌম্য বললো, যাবতো এই জন্যেই তো তোর জন্য অপেক্ষা করছিলাম এখানে। তোর আসতে দেরি হচ্ছে দেখে ছোলা মটর খাচ্ছিলাম। চল এবার। কি করবে বাবলাদা, আমাদের সাথে যাবে না থাকবে?' বাবলা বলে, 'কেনরে সে এমন কি নবাব যে তার জন্ম দিনে বৈ কিনতে একেবা্রে কলেজস্ট্রিট যেতে হবে?' বিশ্বরূপ বললো, 'ঠিক আছে তোমার যেতে হবেনা, চল সৌম্য আমরা যাই'। তাই শুনে বাবলা বলে, 'আমি কি যাব না একবারো বলেছি, নে চল'। ওরা হাঁটতে থাকে। হাঁটতে হাঁটতে বাবলা বলে, 'হ্যারে তোদের সাহেব বন্ধুটা কোথায় থাকে রে?' 'কনভেন্ট লেনে। কেন বলতো?' 'এমনি বলছি আর কি। তোদের কি ভাগ্য। আজকে রাতে তোরা যা সাটাবি কব্জি ডুবিয়ে মনের সুখে সেই কথাই ভাবছি।' অতি বিষন্ন দেখায় বাবলাকে। সৌম্য বলে, 'তা তো খাবোই যাবে নাকি আমাদের সঙ্গে?' 'তোরা যদি নিস তবে যাব। মনে হয় সাহেব ছেলেটি খুব ভাল।' বিশ্বরূপ বলে, 'খুবি ভাল ছেলে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু সাহেবরা খুব ধনী। গেটে থাকে এক জাঁদরেল দারোয়ান পাকা লাঠি হাতে। রামাধার তার নাম। টাক মাথা কাল রঙ, গোঁফ দাড়ি বিশাল, চোখ দুটো লাল। তাছাড়া সাহেবের বাবা হাইকোর্টে ক্রিমিনাল কোর্টের ব্যারিস্টার। খুব রাগী। তা এইসব বাধা যদি অতিক্রম করা যায় তবেই তোমার আশা পূর্ণ হতে পারে ভেবে দেখ।' 'আমার আর ভেবে দেখার ইচ্ছে নেই বুঝলি, যেরকম উৎসাহ দিলি পাষন্ডের মতো তা আর বলার নয়। নে চল চল অনেক হয়েছে'।
মহাত্মা গান্ধী রোড দিয়ে ওরা চলতে শুরু করলো। ভয়ানক ভীড় রাস্তায়। তাড়াতাড়ি চলাই দায়। এর মধ্যেই একটা কুকুর ফুটপাথে পা ছড়িয়ে দিব্যি মেজাজে ঘুমে আচ্ছন্ন। ফুটপাথে ফ্লাই ওভারের রেলিং তাই লোকেরা কোনরকমে পাশ কাটিয়ে যেতে যেতে বিরক্ত হয়ে রাগে কিছু মন্তব্য করতে করতে যাচ্ছিলো। কিন্তু বাবলা অন্য দিকে তাকিয়ে হাঁটছিল বোধহয়, দিয়েছে কুকু্রটার লেজ মাড়িয়ে। কুকু্রটা হঠাৎ বাবলার পেছনে যে ছিল তার দিকে ঘেউ ঘেউ করে তেড়ে গেল। কি জানে কামড়ালো কিনা তাকে। চারিদিকে একটা হুড়োহুড়ি পরে গেল। এর মধ্যে ওরা এক ছুটে আর্মহারসট্রিটের মোড়। বাবলা হাঁপাতে হাঁপাতে একবার পেছন ফিরে তাকিয়েই দাঁড়িয়ে পড়লো। সৌম্য তাই দেখে অবাক হয়ে বললো, কি হলো বাবলাদা দাঁড়িয়ে পড়লে কেন?' বাবলা নাক দিয়ে বুক ভরে একটা শ্বাস নিয়ে বললো, 'কি সুন্দর একটা মিষ্টি মিষ্টি গন্ধ বাতাসে ভাসছে না', পাচ্ছিস না তোরা গন্ধটা?' 'না আমরা খালি গাড়ীর পেট্রল আর ডিজেল পোড়ার গন্ধ ছাড়া আর কোন গন্ধ পাচ্ছি না।' 'আমোলো যা তোরা কি তোদের নাকগুলোকেও ঐ পার্কের ধারের ফেরিয়ালাটার কাছে রেখে এসেছিস নাকি? ঐদিকে দেখ পুটিরাম সুইটস্ এর দোকান থেকে ভাল ভাল মিস্টির গন্ধ আসছে। জানিস এই দোকানের কাঁচাগোল্লা আর রসমালাই-এর যা স্বাদ তোদের কি বলবো'। বিশ্বরূপ বলে, 'তোমাকে আর কিছু বলতে হবে না তুমি এখানে দাঁড়িয়ে নাক দিয়ে মিষ্টি গন্ধ প্রাণ ভরে নাও আর আমরা কলেজ স্ট্রিট ঘুড়ে আসি কেমন'। আয়রে সৌম্য।' বাবলা একটা লাফ দিয়ে ওদের সাথে যোগ দিয়ে বললো, 'আমি একটা কথা বলছিলাম কি, তোরা যদি স্বপন কুমারের গোয়েন্দা উপন্যাস বিশ্বচক্র অথবা বাজপাখি সিরিজের বৈ কিনে তোদের বন্ধুকে উপহার দিস দুজনে দুটো করে চারটে, তাহলে কেমন হয়। তাতে করে কম পয়সায় চারটে বৈও দেওয়া হবে আবার বেঁচে যাওয়া পয়সায় পুটিরামের কাঁচাগোল্লা আর রসমালাই সাঁটানো যাবে কি বলিস?' সৌম্য বলে, 'সম্পূর্ন ভুল জান বাবলাদা। ঐ বৈ এখন আর কোথাও পাওয়া যায় না। কলেজ স্ট্রিট এর কোন বৈয়ের দোকানে আগেও পাওয়া যেত না এখনো নয়।' বিশ্বরূপ বলে, 'ঐগুলো সব বটতলার বৈ আগে সব ফুটপাথে বিক্রি হতো এখন আর পাওয়া যায় না।' অগত্যা বাবলা আর কোন কথা না বলে ওদের পিছু পিছু হাঁটতে লাগলো।
কলেজ স্ট্রিট পৌঁছে ওরা দে বুক স্টোর্স থেকে স্বর্গীয় স্বনামধন্য লেখক নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের টেনিদা সমগ্র কিনে বেরিয়ে এলো হাসিমুখে।
দুজন মিলে একসাথে দেবে বন্ধুকে উপহার। মাথার ওপর তখন সূর্য। প্রেসিডেন্সি কলেজের উল্টোদিকের ফুটপাত ধরে ওরা হাঁটছে। বা দিকে অস্থায়ী সব বৈয়ের দোকান গায়ে গায়ে লাগানো প্রায়। সেই সব দোকানগুলোর পাস দিয়ে যাবার সময় সবাই, 'আসুন দাদা কি বৈ লাগবে বা কি বৈ খুঁজছেন বলুন' ইত্যাদি। বাবলা এতখন চুপচাপ ওদের সাথে হাঁটছিল এইবার সে ঘুরে দাঁড়াল। 'কিরে আর কত হাঁটাবি আমাকে এভাবে। খিদেয় পেট জ্বলে যাচ্ছে আমার শিঘ্রি টাকা বার কর পকেট থেকে। আমি দেখেছি বৈ কিনতে কুড়ি পার্সেন্ট ডিসকাউন্ট পেয়ে ফেরত টাকা পকেটে ঢুকিয়েছিস বার কর সেই টাকা না হয় এই আমি পথে বসলাম।' বিশ্বরূপ বলে, ' না না তোমাকে পথে বসতে হবে না। কি খাবে বলো।' বাবলা আঙুল তুলে উল্টো দিকে প্রেসিডেন্সি কলেজের সামনে ফুটপাথের গায়ে দাঁড়ান ইডলি-ধোসার গাড়ীটার দিকে দেখিয়ে বলে 'দোসা খাব।' অগত্যা রাস্তাটা পেরিয়ে গাছের তলায় দাঁড়ান গাড়ীটার কাছে গিয়ে তিনটে দোসার অর্ডার দেয় বিশ্বরূপ। গাছের ছায়ায় দাঁড়িয়ে আরাম বোধ হলো সবার। বেশ তারিয়ে তারিয়ে দোসা খাওয়া হলো। বাবলা তার মধ্যে দু'বার সম্বর আর তিনবার চাটনী চেয়ে নিয়েছে। দোসা ওয়ালা একটু যেন বিরক্ত হলো। চেটেপুটে খেয়ে বাবলা থালা বাটিগুলো নিচে নামিয়ে রাখলো। তারপর বেশ কায়দা করে একটা তৃপ্তির ঢেকু্র তুলে বললো, 'বেশ ভাল খেলুম রে সমু বেশ ভাল বানিয়েছে। একে যদি চৌরঙ্গীর কোনো জায়গাতে বসিয়ে দেওয়া যায় অথবা কোন ইডলি-দোসার দোকানে ঢুকিয়ে দেওয়া যায় তবে সেই দোকানের সেল বহু গুণ বেড়ে যাবে।' হঠাৎ সৌম্য বলে ওঠে, 'এই রে বারটা বেজে গেছেরে বিশ্ব। বাড়ি ফিরতে দেরি হয়ে যাবেরে অনেক। আমরা যে হেঁটে এলাম গল্প করতে করতে। এবার বাসে করে যাব চল'।
সৌম্য আর বিশ্ব একসাথে হাঁটা শুরু করতেই ওদের পেছনে দ্রুম দ্রাম আওয়াজ হতে ওরা পেছনে তাকিয়ে দেখলো বাবলা ফুটপাথের ওপর পড়ে আছে পায়ের ওপর একটা বোঁচকা পড়ে আর ওদিকে বরাবর একটা পুরানো বৈয়ের দোকান থেকে একটা আর্তনাদ বেরিয়ে আসলো, 'এইরে গেল গেল সব্বনাশ হয়ে গেল আমার বৈগুলো .......' আর ওদিকে বাবলার চীৎকার, 'ওরে বাবারে মরে গেলাম রে পাটা আমার গেল রে..'। ওরা ছুটে গিয়ে বোঁচকাটা সরিয়ে বাবলাকে টেনে তুললো। ওদিকে দোকানির সাহায্যে কোনমতে কোমরে হাত দিয়ে একটা মুটে ফোতুয়ার হাতা ঠিক করতে করতে রুখে উঠলো বাবলার প্রতি, 'এ বাবু, দেখ নেহি পাতে আপ, অন্ধা ক্যয়া'। বাবলা এবার বিকট চীৎকার দিয়ে ওঠে, 'চোপ রোও তুম, কাহে মেরে প্যরকা উপর তুম প্যাকিঙঠো ফেক দিয়া, ইয়ে বাতাও পহেলে'। 'আপতো বুদ্ধুকা মাফিক রাস্তোকা উপর চলতা রহা।'' 'তবে রে' বলে হাত তুলে মুটে টাকে মারতে গেল। সৌম্য আর বিশ্বরূপ বাবলাকে জড়িয়ে ধরে রেখেছিল। আশ পাশে অনেক লোক দাঁড়িয়ে মজা দেখছিল। তাদেরি একজন বলে ওঠে, 'আরে করেন কি করেন কি, আপনারিতো দোষ মশাই, এই মুটেটা ভারি প্যাক্ঙিটা নিয়ে প্রায় দৌড়ে আসছিল, আপনি ছিলেন মশাই রাস্তায়, হঠাৎ লাফ দিয়ে ফুটপাথে উঠে মুটে টাকে মারলেন এক ঢু, তাতে করে আপনিও পড়লেন ও ও গিয়ে পড়লো ঐ দোকানে।' ওনাকে অনেকেই সাপোর্ট করে বললো, 'ঠিক, একদম ঠিক আপনারি দোষ'। বৈয়ের দোকানদার ততক্ষনে বৈগুলো ঠিকঠাক সাজিয়ে নিয়েছে। এবার সৌম্য আর বিশ্বরূপের দিকে তাকিয়ে বলে, 'নিয়ে যান উনাকে। সব মুটেরা যদি এখন এসে যায় তখন সবাই মিলে উনাকে মেরে আধ মড়া করে ছাড়বে। তাতে করে উনার ভাল পাটাও যাবে আর আপনাদের ওপরো চোট যেতে পারে। বলতে গেলে আপনাদের শরীরোতো বেশ দুবলা। লড়তে কি পারবেন ওদের সাথে। কখনই পারবেন না। তার থেকে মানে মানে কেটে পড়ুন এই বেলা'। সবাই একসাথে ওদের উৎসাহ দিতে লাগল, 'কেটে পড়ুন কেটে পড়ুন তাড়াতাড়ি', আরকি থাকা যায়। বাবলাকে দুই বন্ধু দু দিক দিয়ে ধরে প্রায় তুলে নিয়ে রাস্তা পেরিয়ে ট্রাফিক সিগন্যালে দাঁড়ান বাসগুলোর মধ্যে দেখে একটা ডাবল ডেকারের দোতলায় নিয়ে গিয়ে তুললো। অসময়ে বাসটাতে বেশ ভীড় কমে ছিল। সৌম্য বললো, যাক বাবা খুব বাঁচা বেঁচে গেছি। বাবলাদার সৌজন্যে আড়ঙ ধোলাই-এর থেকে বাঁচলাম কি বলিস বিশ্ব?' বিশ্বরূপ বলে, 'তা আর বলতে, কি বল বাবলাদা?' কথাগুলো শুনে বাবলা তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলো, 'চোপ একদম ইয়ার্কি করবি না। অবশ্য হাতি কাদায় পড়লে তোদের মত ভিতু অর্বাচিনেরা এরকমি কথা বলে। আমাকে তো তোরা জোর করে নিয়ে এলি, কেন রে বল? ঐ মুটেটা বরাৎ জোরে আমার থেকে বেঁচে গেল। নৈলে এমন একটা জোর মুষ্টাঘাৎ বাছাধনের থুতনিতে হাকড়াতাম না যে তিনদিনের জন্য বিছানা থেকে উঠতে হতো না।' তাতো বটেই বড্ড ভুল হয়ে গেছে। তবে কে যে বিছানায় শুয়ে থাকতো সেটা ভাববার বিষয়'। বলেই বিশ্বরূপ এক লাফে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে গেল। বাবলা বললো, দেখলিতো সৌম্য বিশ্ব কি বলে গেল। আমি সত্যি না বললে ও পালালো কেন বল?। 'ছেড়ে দাও ওর কথা এখন চল।' সৌম্য ধরে ধরে বাবলাকে বাস থেকে নামিয়ে ফুটপাথের ওপর তুলে দিয়ে বললো, 'এখন তুমি আসতে আসতে বাড়ী যেতে পারবে আমিও বাড়ী চললাম। তারপর দুজনেই ঢুকে পড়লো বাড়ীর রাস্তায়।
=======================
DTC Southern Heights,
Daimond Harbour Road,
Kolkata - 7oo104.
Block-8, Flat- 1B
Mb: 9007139863.