দশমী
শুভশ্রী দাস
না বলা কিছু কথা হঠাৎ করেই মনে পড়ে গেলে, চারপাশের ভেসে আসা বীরেন্দ্র বাবুর স্তোত্রও ম্লান হয়ে যায়।আমি তখন অনেক ছোট্ট,নয় বছর এর দোর গড়ায়।পুজোর মরশুম।কেনাকাটা ঘুরে বেড়ানোর লিস্ট বেড়েই চলছে।
আর মাত্র পাঁচদিনের অপেক্ষায়,স্কুল টিউশন সব ছুটি ।তারপর মামাবাড়িতে একসপ্তাহ থাকতে হবে।ভাবতে ভাবতে একঘুমে সকাল ।স্কুল,তারপর টিউশন।আর কদিন বাকি মহালয়ার ।মা বলল পড়ে এসে বাজার যাবে।পুজোর জামা কিনতে ,সপরিবারে ।
টিউশন এ পড়তে পড়তে কতবার ঘড়ি দেখেছি তা বলা সম্ভব নয় ।টেলিফোন এর রিং,ওপার থেকে শব্দ,ওকে মামাবাড়িতে পাঠিয়ে দিন ।ওর দাদু আনতে যাবে।ওর মা হাসপাতালে ।আমি তখন যদিও কিছুই জানতাম না। পৌঁছে দেখি সবাই স্তব্ধ ।এসে গেল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ।পরদিন মহালয়া। স্যাঁতস্যেতে বিছানায়,দিদার কোলে শুয়ে।পাশের বাড়ির থেকে শব্দ আশ্বিন এর শারদ প্রাতে । দিদার চোখে জল।মা নেই। আজ আমাদের দশমী ।
=====================