ভ্রমণালেখ্য ।। অত্যাশ্চর্য কোনারক ।। শংকর লাল সরকার
অত্যাশ্চর্য কোনারক
শংকর লাল সরকার
পুরী থেকে উড়িষ্যা পর্যটন দপ্তরের স্বর্ণ ত্রিভূজ ট্যুরে অংশ নিয়ে এবারের কোনারক দর্শণ। এর আগেও কোনারক এসেছিলাম, সে প্রায় এগারো বছর আগে। অনেককিছু পরিবর্তন হয়ে গেছে। আর হবে নাই বা কেন? একযুগ পরে এলাম ভারতের অন্যতম সেরা এক শিল্পতীর্থে। কন্ডাক্টেড ট্যুরের বাস আমাদের যেখানে নামিয়ে দিল সেখান থেকে বেশ খানিকটা হেঁটে মন্দিরের প্রবেশদ্বার। ছোট গেট বদলে গিয়ে মেট্রোর মত অটোমেটিক প্রবেশপথ। নির্দিশ্ট জায়গায় টিকিট ছোয়ালে তবে প্রবেশাধিকার। প্রবেশ পথের রাস্তা এখন অনেক চওড়া হয়েছে। রাস্তার দুপাশে সার দেওয়া ঘিঞ্জি দোকানে পর্যটক মনোরঞ্জনের জন্য নানা রকমের জিনিষ বিক্রি হত। সেসব দোকান আর নেই।
মন্দিরে প্রবেশ করতে প্রথমেই নাট মন্দির। ১২০ ফুট উঁচু বিরাট নাট মন্দিরটি বর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্ত, তবু সেই ধ্বংসস্তুপই সাক্ষ্য দিচ্ছে এক অত্যাশ্চর্য স্থাপত্যশৈলীর। আগের বারও নাট মন্দিরটাকে অনেকটা একই রকমের দেখেছিলাম। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যেন আর একটু জরাগ্রস্থ। নাট মন্দিরের সিঁড়ির দুপাশে দুটি বিরাট সিংহ। থাবা দিয়ে দুটি হাতিকে বসিয়ে রেখে তার উপরে উল্লম্ফনরত। একটা বিরাট পাথর খোদাই করে মূর্তিদুটি বানানো হয়েছে। সিংহ এখানে হিন্দু ধর্মের প্রতীক। বৌদ্ধধর্মের প্রতীক হাতির উপরে হিন্দুধর্মের শ্রেষ্ঠত্বের প্রকাশ এই বিরাট বীরত্বব্যঞ্জক মূর্তিদুটি। সিঁড়ি দিয়ে নাটমন্দিরের উপরে উঠে এলাম। এককালে এখানে নৃত্যগীত হত। কত বিচিত্র বাদ্যযন্দ্র নিয়ে লীলায়িত নারীমুর্তি খোদিত। সেসময় খোল আর মৃদঙ্গের প্রচলন ছিল সবচেয়ে বেশী, আর পুরুষের কঠিন হাতে নয়, সেগুলি বাজত সুন্দরী দেবদাসীদের কোমল হাতে, নৃত্যের ভঙ্গিমায়। দেখে মনে হয় কোন জাদুস্পর্শে যেন তারা প্রস্তরীভূত হয়েছে। শব্দহীন সঙ্গীতের এক অপূর্ব পরিবেশ সৃষ্টি করেছে দেবদাসীর দল। যদি পর্যটকের ভিড় না থাকত যদি মন্দিরের চাতালে চুপ করে বসে থাকতে পারতাম। তাহলে সন্ধ্যার অন্ধকার নেমে আসার সঙ্গে সঙ্গে শুনতে পেতাম রাগ রাগিনীর মূর্ছনা।
কলিঙ্গ স্থাপত্যরীতিকে অস্বীকার না করেও এক অননুকরনীয় বৈশিষ্ট্যের এক অনবদ্য রথ মন্দির এই কোনারক। কিংবদন্তী অনুসারে পাঁচ হাজার বছর আগে শ্রীকৃষ্ণের অভিশাপে পুত্র শাম্ব কুষ্ঠরোগাক্রান্ত হয়ে চন্দ্রভাগা নদীর তীরে অর্থাৎ আজকের কোনারকে এসে সূর্যের আরাধনা করেন। বার বছর আরাধনার পর সূর্যদেবের আশীর্বাদে শাম্ব রোগমুক্ত হন। আরোগ্যলাভের পর শাম্ব এখানে সূর্যমন্দির নির্মাণ করেন। বর্তমান মন্দিরটি পুরাণ বর্নিত সেই প্রাচীন মন্দিরের নবীন রূপ। এত গেল পুরাণের কথা। ঐতিহাসিক তথ্যানুসারে হিউয়েন সাঙের বর্ণনা থেকে জানা যায় এখানে চেলিতালা নামে এক সম্বৃদ্ধ বন্দর ছিল। কেশরী বংশের এক রাজা নবম শতাব্দীতে সেখানে এক সূর্যমন্দির নির্মাণ করান। আইন-ই-আকবরী প্রণেতা আবুল ফজলের লেখাতেও এই মতের সমর্থন রয়েছে। আবার একদল ঐতিহাসিক মনে করেন ত্রয়োদশ শতকে উড়িষ্যার গঙ্গা বংশের রাজা নরসিংহদেব বঙ্গোপসাগরের খাঁড়িতে বিরাট রথের আকৃতি বিশিষ্ট এই মন্দিরটি নির্মাণ করেছিলেন বাংলা জয়ের স্মারক হিসাবে। ১৯৮৪ সালে ইউনেস্কোর ওয়ার্ড হেরিটেজ সাইটের অন্তর্ভুক্ত ওড়িষ্যা স্থাপত্যশিল্পের সর্বোৎকৃষ্ট নিদর্শন কোনারকের সূর্যমন্দিরটি নির্মিত হয়েছিল বার হাজার শ্রমিক আর বারশ শিল্পীর দীর্ঘ বার বছরের পরিশ্রমে।
মূলমন্দিরের অনেকটা অংশ একেবারে ভেঙে পড়লেও জগমোহন অনেকটাই অটুট। বিদেশীরা এই মন্দিরকে ব্ল্যাক প্যাগোডা বলে। পিরামিডাকৃতি জগমোহনকে মন্দির না বলে প্যাগোডা বললে দোষ দেওয়া যায় না। পাথরের রঙও তো কালচে। পুরীর মন্দিরের তুলনায় কালোই বলতে গেলে। বিদেশী নাবিকেরা জাহাজে করে যাবার সময় প্রথমে দেখত পুরীর মন্দির, তারপর কোনারক। পুরীর মন্দিরকে বলত হোয়াইট প্যাগোডা আর কোনারক হল ব্ল্যাক প্যাগোডা।
মন্দির থেকে ত্রিশফুট ব্যবধানে জগমোহন আর মূল মন্দিরটি একটা বিরাট পাথরের ভিত্তিভূমির উপরে নির্মিত। নাটমন্দির আর জগমোহনের মাঝে ছিল বিরাট অরুণ স্তম্ভ। বর্তমানে এটি পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সিংহদ্বারের সামনে স্থাপন করা হয়েছে। পুরো মন্দিরটাই একটা সাত ঘোড়ায় টানা রথের আদলে তৈরী করা হয়েছে।
মন্দির ঘুরতে গিয়ে বিশ্মিত হলাম। না বিশ্মিত নয় আসলে প্রচণ্ড আক্ষেপ হল। পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগ মন্দির রক্ষণাবেক্ষনের নামে এ কী করেছে? অনেক মূর্তি সারাই করতে পারেনি। হয়তো পারা সম্ভবও ছিল না। কিন্তু তাই বলে চকচকে পালিস করা পাথর দিয়ে ভেঙে যাওয়া বা ক্ষয়ে যাওয়া মূর্তির জায়গাগুলো ঢেকে দেবে? দিনে দিনে কোনারক চকচকে পালিশ করা পাথরের মন্দিরে পরিনত হচ্ছে। যে অধোৎর্কীর্ণ ভাস্কর্যগুলো ছিল কোনারকের সবচেয়ে সুন্দরতম রত্ন সেগুলোই ক্রমশ হারিয়ে যেতে বসেছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে মিথুন মূর্তিগুলো।
বর্তমানের ভগ্নদশা কোনারকের অতীত সৌন্দর্যকে এখনও পুরোপুরি চাপা দিতে পারেনি। সাত ঘোড়া সূর্যকিরণের সাতটি রঙের প্রতীক। পূর্বমুখী মন্দিরের তিনদিকে দেওয়াল জুড়ে বারো জোড়া বিরাট চাকা। এর অর্থ বারো মাসের চব্বিশটি পক্ষ। নয় ফুট ব্যাসের প্রতিটি চাকায় আটটি করে স্পোক। চাকাগুলির অলংকরণের দিকে মুগ্ধ বিশ্ময়ে তাকিয়ে থাকতে হয়। সূর্যের আলোয় চাকাগুলোকে দেখলে চলন্ত বলে ভুল হয়, এমনই অনবদ্য সে কারুকার্য। এমন সংকীর্ণস্থানে এমন নিখুত কারুকার্য কিকরে সম্ভব তা ভেবে বিশ্মিত হতে হয়! চাকার স্পোকগুলি আবার সূর্যঘড়ির কাজ করে। ছায়া দেখে দিনের বিভিন্ন সময়ে নির্ভুল ভাবে সময় গণনা করা যায়।
জগমোহন আর মূল মন্দিরের বাইরের দেওয়ালের ভাস্কর্যে জীবনের বিচিত্র প্রকাশ! পৌরানিক মুর্তি, দেবদেবীর মূর্তির পাশাপাশি শোভা পাচ্ছে মৈথুনরত মিথুন মুর্তিগুলি। ব্যাস রিলিফে ফুটে উঠেছে, রাজার যুদ্ধযাত্রা, শিকার, খেদায় হাতি ধরার পদ্ধতি, রাজ্যাভিষেক প্রভৃতি। ত্রয়োদশ শতকে আফ্রিকার সঙ্গে নিয়মিত বানিজ্য চলত তারই প্রকাশ মন্দিরের গায়ে জিরাফের ভাস্কর্যে। পাশের এক সদ্য বিবাহিত দম্পতির ভাস্কর্য মুগ্ধ করে। এই শিল্প নিদর্শনের সবচেয়ে বড়ো আবেদন দুজনের মুখের পূর্ণ পরিতৃপ্তির হাসি। আজও সদ্য বিবাহিত দম্পতি যখন ক্যামেরার সামনে দাড়িয়ে ছবি তোলান, তখন ক্যামেরাধারী তাদের মুখ হাসি হাসি করতে বলেন। মুখে কৃত্রিম সেই হাসি ফোটাতে নবদম্পতি হিমসিম খেয়ে যান। মন্দিরগাত্রের সেই দম্পতি কিন্তু দীর্ঘ সাতশ বছর ধরে তাদের অমলিন হাসিটি ধরে রেখেছেন। মন্দির সারানোর জন্য আজ তাদের শরীরের বেশিরভাগ অংশ নেই, পাথর খুলে গিয়ে সেখানে হা হা শূন্যতা, কিন্তু মুখের হাসিটি আজও অম্লান।
সে বড়ো প্রমান সাইজের হোক যা ছোট, কোনারকের মিথুন মূর্তিগুলি প্রায় সবই দণ্ডায়মান। বসা বা শায়িত মিথুন মূর্তির বদলে ভাস্কর কেন কেবলই দণ্ডায়মান অস্বাভাবিক মূর্তি খোদাই করেছেন? এর কারন নিহিত আছে মন্দিরের গঠনরীতির মধ্যে। মন্দিরের প্রস্থের তুলনায় উচ্চতা অনেক বেশি। অর্থাৎ স্থপতি ভাস্করকে মূ্র্তি খোদাই করতে যে ভিত্তিভূমি দেওয়া হয়েছিল তা পোর্টেট সাইজ। ফলে ভাস্কর বাধ্যতামূলক ভাবেই দণ্ডায়মান মূর্তি নির্মান করেছেন। আড়ের থেকে যার উচ্চতা অনেক বেশি। কোনারকের চাকার মধ্যে মধ্যে যেখানে ভিত্তিভূমি ল্যান্ডস্কেপ মোডে রয়েছে সেখানে কিন্তু উপবিষ্ট সুরসুন্দরীদের মূর্তিই দেখা যায়।
মূল মন্দিরে তিনদিকে তিনটি কুলুঙ্গীর ভিতরে অধিষ্ঠিত আছেন সূর্যের তিনটি প্রতিরূপ। দক্ষিণে পূষা, অর্থাৎ প্রভাত সূর্য। সমভঙ্গে দণ্ডায়মান। পশ্চিম দিকের কুলুঙ্গীতে মধ্যাহ্ন মার্তণ্ড। সমভঙ্গে দণ্ডায়মান এই মূর্তির পরিকল্পনা অনেকটা পূষারই অনুরূপ। উত্তরদিকে রয়েছেন অস্তগামী সূর্য হরিদশ্ব। শাস্ত্রসম্মত বিরল অশ্বারোহী দেবমূর্তি। তিনটি মূর্তির মাথায় রত্নখচিত মুকুট, পরিধানে ধুতি। সারাইয়ের জন্য দর্শণার্থীদের উপরে উঠা বারন। অনেকটা নীচ থেকে মূর্তিগুলিকে দেখতে হয়। তার উপরে কোমর পর্যন্ত নিরেট চকচকে পালিশ করা পাথরে ঢাকা। আগেরবার যখন কোনারক এসেছিলাম। মূর্তিগুলির কাছ পর্যন্ত যাওয়া যেত। সবুজাভ কালো কষ্ঠীপাথরে তৈরী পূষা আর মধ্যাহ্ন মার্তণ্ডের গায়ের স্বর্ণমেখলা আর রত্নোপবীতের সূক্ষ কারুকার্য মুগ্ধ করেছিল সেবার। মূর্তিগুলির পা পর্যন্ত তখন দেখা যেত। পূষার পাশে আছে সূর্যদেবের দুই পত্নি রাজ্ঞী আর ছায়া। পায়ের কাছে সূর্যসারথী অরুণদেব। মধ্যাহ্ন মার্তণ্ডের দক্ষিণ পদতলে দণ্ডায়মান কলিঙ্গরাজ আর বাম পদতলে মন্দির পুরোহিত। প্রভাত সূর্যের মুখের শান্ত সৌম্যভাব, মধ্যাহ্ন সূর্যের মুখের কঠোর রুক্ষতা আর অপরাহ্ন সূর্যের ক্লান্ত অবসন্নতা দুষ্টি আকর্ষণ করেছিল। এখন সেসব কিছুই দেখার উপায় নেই। কারুকার্য হীন ঝকঝকে পাথরের স্ল্যাবে তারা লোকচক্ষুর অন্তরালে।
কোনারকের সূর্যমন্দির দেখতে দেখতে একটা কথা কেবলই মনে হয় সেযুগের স্থপতি ভাস্করেরা ছিলেন কবি। কবির মতই তারা স্বপ্ন দেখতেন আর সেই স্বপ্নকে পাথরে শ্বাশত রূপ দিতেন। টাইটানের মতো বিশাল আর জহুরীর সূক্ষতায় নির্মিত অত্যাশ্চর্য এই সূর্যমন্দির পর্যটককে মুগ্ধতার এমন এক স্তরে নিয়ে যায় যা পর্যটক জীবনের এক অন্যতম সেরা সঞ্চয়। আর্কিওলজিকাল সার্ভে অব্ ইণ্ডিয়ার ভগিরথ স্যার জন মার্শাল এক জায়গায় লিখেছেন, "পৃথিবী যদি আজ ভারতবর্ষকে প্রশ্ন করে তোমার সর্বশ্রেষ্ঠ স্থাপত্য বিশ্ময় কি? তবে জবাবে ভারতবর্ষ তার শ্রেষ্ঠ ছয়টি শিল্পতীর্থের নাম বলতে পারে। কালানুক্রমিকভাবে সেগুলি হল, অজন্তা, সাঁচি, ইলোরা, খাজুরাহো, কোনারক এবং তাজমহল। কিন্তু যদি মাত্র তিনটির উল্রেখ করতে হয়। তবে ভারতবর্ষ নিশ্চয়ই বলবে অজন্তা কোনারক আর তাজমহলের নাম। এই তিনটি বিশ্ময়ের মধ্যে অজন্তা গড়ে উঠেছিল দীর্ঘ নয় শতাব্দী ধরে, অজস্র রাজা মহারাজা আর অভিজাতবর্গের পৃষ্ঠপোশকতায়। কুড়ি বছর ধরে আসমুদ্র হিমাচল ভারতবর্ষের সম্পদ আর মেধার বিনিময়ে ভারতসম্রাট শাহজাহন গড়ে তুলেছিলেন তাজমহল। অন্যদিকে কোনারক গড়ে উঠেছিল মাত্র বারো বছরে বারো হাজার শ্রমিক বারশ ভাস্করের কর্মকুশলতায়।
অস্তমিত সূর্যের মায়াবী আলোতে দেখতে দেখতে মনে হয় কোনারকের এই সূর্য মন্দির অক্ষত থাকলে হয়তো পৃথিবীর সপ্ত আশ্চর্য হওয়ার ক্ষেত্রে তাজমহলকেও কঠিন প্রতিদ্বন্দিতায় পড়তে হত! কোনারক এমনই এক জাতির শিল্পকর্মের নিদর্শন যারা যুদ্ধ করতে জানত, ভালোবাসতে জানত, পূজা করতে জানত আর জানত অত্যাশ্চর্য সব স্থাপত্য ভাস্কর্য নির্মাণ করতে।
কোনারকের সৌন্দর্য ক্রমশ ম্লান হয়ে আসছে। পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ দপ্তরের সারাইয়ের কাজ চলতেই থাকে, চলতেই থাকে। আর কোনারকের অনিন্দ্যসুন্দর ভাস্কর্যগুলো যেন ক্রমশ লেপাপোছা হয়ে কেমন বিশদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে। পঁচিশবছর আগে যখন এসেছিলাম যে সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম আজ সে কোথায়? তখন সাধারন ফিক্সড লেন্স রিল ক্যামেরায় কত ছবি তুলেছিলাম, অথচ আজ হাতে ডি-এস-এল-আর নিয়েও তোলবার মতো ছবি খুঁজে পাচ্ছি না। ক্যামেরা তাক করলেই চোখের সামনে ভিড় করে আসছে ঐ জায়গায় আগের বারের দেখা ভাস্কর্যের সৌন্দর্য। মন্দির দেখতে দেখতে আলাপ হল স্থানীয় এক ভদ্রলোকের সঙ্গে। কোনারক সম্পর্কে ওনার প্রুচুর পড়াশুনা। উনি কোনারকের অত্যাশ্চর্য সূর্য মন্দির প্রসঙ্গে অনেক কথা বললেন। সে আর একদিন বলা যাবে।
শংকর লাল সরকার