ছবিঋণ- ইন্টারনেট
চলচ্চিত্র শিক্ষার মাধ্যম
মেশকাতুন নাহার
নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অবক্ষয় যেন দিন দিন বেড়েই চলছে আমাদের দেশে। যাদের কাছ থেকে সমাজ সামাজিক আচরণ প্রত্যাশা করে তাদের কাছ থেকে বিভ্রান্তিকর আচরণ সত্যিই দুঃখজনক। বাংলা সংস্কৃতির যাঁরা ধারক তাঁরাই যদি এই সংস্কৃতিকে হুমকির মুখে ঠেলে দেয় তাহলে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম কী শিক্ষা লাভ করবে? আমাদের চলচ্চিত্র আমাদের বাংলা সংস্কৃতির অনেকাংশ জুড়ে আছে। গ্রামে গঞ্জে আজও বাংলার মানুষ বাংলা সিনেমার নায়ক নায়িকাকে আদর্শ মানুষ হিসেবে কল্পনা করে। সিনেমাতে যেমন দেখে থাকেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন হিরো, ঠিক সেইরকম নিজেকে গঠনের একটা শিক্ষা প্রজন্ম লাভ করেন। নায়ক, নায়িকার আদর্শ, মূল্যবোধ, নৈতিকতা অনুসরণ করে থাকেন। চলচ্চিত্র একটা সামাজিক শিক্ষার মাধ্যম ও বটে।
কিন্তু বর্তমান সময়ে এমন কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা যেন কুশিক্ষা কে একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বিয়ে এবং বিচ্ছেদ হতেই পারে যদি অমিল হয়। স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে মেনে নেওয়া যায়। একাধিক বিয়ে করতেই পারেন। কিন্তু সেটা যদি দেশবাসীকে জানিয়ে ধুমধামে করা হতো আমার মনে হয় দর্শক জনপ্রিয়তা আরও বেড়ে যেতো। আমাদের দেশের সিনেমা গুলো আমাদের সংস্কৃতি কে ঘিরে তৈরি করা হয়। এদেশের অভিনয় শিল্পীদের সমাজের প্রতি অবশ্যই দায়বদ্ধতা রয়েছে। মানুষ তাঁদের কাছ থেকে শিখবে। আমরা বলিউডে ও দেখেছি অনেক বিবাহিত নায়ক বেশ দাপটের সাথে এখনো অভিনয় করে যাচ্ছেন। আমি ব্যক্তিগত ভাবে কোনো সমস্যা দেখছি না। আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের চলচ্চিত্র,আমাদের বর্তমান প্রজন্মের জন্য এসব অপ্রীতিকর ঘটনা মোটেই শোভনীয় নয়। একটা সুন্দর সিনেমা কখনো কুসংস্কার দূর করে, কখনো অন্যায় অবিচার প্রতিরোধে ভূমিকা পালন করে, কখনো সমাজের বাস্তবতা তুলে ধরে মানুষ কে সচেতন করে তুলে। আমরা চাই বাংলা চলচ্চিত্র আবারও সুস্থ ধারা ফিরে আসুক। আমরা পরিবার নিয়ে হলে গিয়ে সুন্দর ছবি দেখতে পারি। আমাদের ছেলেমেয়েরা সেখান থেকে বিনোদনের পাশাপাশি কিছু শিক্ষা লাভ করতে পারে ।
=================
প্রভাষক সমাজকর্ম
কচুয়া বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজ,
কচুয়া, চাঁদপুর।