গল্প ।। স্বর্গের কাছাকাছি ।। দীপক পাল
স্বর্গের কাছাকাছি
দীপক পাল
- একি রজতদা, দেখতে পাচ্ছেন না আপনি আমায়?
দেখতে আমি পেয়েছিলাম ঠিকই দেবীকে। কেমন একটা সংকোচ হচ্ছিল যেন, দেবী যদি কিছু মনে করে। ওকে দেখামাত্রই মনে হয়েছিল যেন শীতের দুপুরে একমুঠো রোদ যা দেহে মনে এক প্রশান্তি আনে। মনের খুশি আড়াল করে ওর চোখে চোখ রাখলাম, একটু হাসলাম।
দেবী ও হাসলো আমার দিকে চেয়ে, ম্রিয়মাণ সেই হাসি।
- কিন্তু আপনিতো আমাকে না দেখার ভান করে চলেই যাচ্ছিলেন আপন মনে।
অভিমান করেছে কি দেবী ? হাওয়ায় খুঁজলাম আমি। কি উত্তর দেওয়া যায় এর ?
- না সেটা ঠিক নয় দেবী, আমি একটা সমস্যায় আছি আর তাই খুব আনমনা হয়ে চলছিলাম পথে।
- সে কথা কি বলা যায় কাউকে. মানে আমাকে?
- হ্যাঁ হ্যাঁ নিশ্চয়ই। তোমাকে নিশ্চয় বলা যায়। আমি একটা স্বপ্নের রাস্তা খুঁজজি যে রাস্তা দিয়ে আমি অনন্তকাল ধরে হাঁটতে হাঁটতে একে বারে বিন্দু হয়ে মিলিয়ে যাবো।
দেবী থতমত, বিস্মিত। বাতাসে একটা ছোট্ট ডুব দিল। কোন অতল হতে তার গলা যেন ভেসে এলো আমার কানে। সে গলায় যেন আছে একটা আকুতি।
- কি হবে রজতদা তবে যদি সে রাস্তা কখনো খুঁজে না পান? কি রকম সে রাস্তা? আমিও কি খুঁজব আপনার সাথে যদি অনুমতি দেন?
- তবে চলো, আমরা দুজনে একসাথে খুঁজে ফিরি সে রাস্তা। রাস্তাটা হবে একদম সোজা মসৃণ। রাস্তার দুধারে থাকবে কতো রং বেরঙের ফুলের গাছ। কতশত মৌমাছি ফড়িং প্রজাপতি ভ্রমরের গুঞ্জনের শব্দ আর কতশত পাখিদের কলকাকলিতে ভরে থাকবে সে পথ। ইউক্যালিপটাস গাছের গুঁড়ি বেয়ে কাঠবেড়ালি ওঠা নামা করবে, খরগোশ ছুটে বেরাবে এদিক সেদিক। আমরা দুজনে হাত ধরা ধরি করে হেঁটে যাবো অনন্ত কাল।
দেবীর দু চোখ ভরা বিস্ময়। আবার বাতাসে ডুব দিল। কিছুটা সময় চুপ। তারপর হয়ে উঠলো উচ্ছ্বল। বললো,
- একটা ছোট নদী থাকবে, আমরা সাঁকো বেয়ে ওপারে যাবো, তারপর আবার চলবো। কি মজা হবে রজতদা।
আমরা চলেছি পাশাপাশি। মৃদু হাওয়ায় দেবীর কপালে চুলগুলো আর থাকতে চাইছে না যেন। ডান হাতে চুল সামলাতে সামলাতে কেমন আনমনে দেবী বলে,
- আপনি এত সুন্দর করে বলেন না রজতদা, আমি যেন মনোশ্চক্ষ্যে সেই রাস্তাটা দেখতে পাচ্ছি।
সূর্যের গোধূলি আলো দেবীর ফর্সা গালে এঁকে দিল রঙিন আলপনা। কপালে তার হালকা রঙের লাল টিপ যেন একদম খাপ খেয়ে গেলো এই রঙের খেলায়। প্রকৃতির এই খেলা তাকে কেমন মোহময় করে তুলেছে যেন। মনে এক অদ্ভুত অনুভূতি হলো। অবশেষে পড়লো সামনে এক ছোট্ট পাহাড়। হতাশ হয়ে একটা পাথরের ওপর বসে পরে দেবী। বলে,
- রাস্তাটা তো এখানেই শেষ রজতদা, এবার কি হবে?
কয়েকটা ফড়িং ও একটা প্রজাপতি ওকে ঘিরে ঘুরপাক খেতে শুরু করলো। সূর্য্য ডুবতে বেশী দেরি নেই। বাতাসে শীতল স্পর্শ। গাছেদের পাতার মৃদু শব্দ। কেমন যেন এক অরণ্য মাদকতা। আমার মন ভারাক্রান্ত। মনে হল হেরে গেলাম বুঝি। বিকল্প চিন্তার কোনো জায়গা নেই। তাই পাহাড়ের গায়ে পা রাখলাম। এক ঝটকায় উঠে পড়লাম। হাত বাড়ালাম দেবীর দিকে।
- এসো দেবী, উঠে এসো। চলো আমার সাথে ওপরে। হতাশ হয়ে বসে পড়লে সব শেষ হয়ে যাবে।
- সন্ধ্যে হয়ে যাচ্ছে যে রজতদা, এর পরে যদি পথ হারিয়ে ফেলি?
- তাহলে তুমি একটু বসো, আমি ওপরে থেকে ঘুরে আসি একটু কেমন?
- না, আমিও যাবো আপনার সাথে ওপরে।
- সেই ভালো দেবী, এই পাহাড়ের ওপরে উঠে অস্তগামী সূর্যের শেষ আলোয় যদি আমি আমার অভিপসিত রাস্তাটা খুঁজে পাই তবে আজ ফিরবো বাড়ি রাতের তারাদের সাথে কথা বলতে বলতে। তারপর থাকবো প্রতীক্ষায় সেই সুন্দর সকালের যেদিন আমরা দুজনে চলবো সেই স্বর্গের রাস্তায় পাশাপাশি হাত ধরা ধরি করে।
সূর্য্য তার আলো দিয়ে আমাদের ওপরে উঠতে সাহায্য করলো। ওপরে উঠে আমি আনন্দে চিৎকার করে উঠি,
- দেবী, পেয়েছি আমার স্বপ্নের স্বর্গের রাস্তা। ওই দেখো নিচে, সেই রাস্তা সটান চলেছে সূর্যের পানে।
দেবী যেনো এক খরস্রোতা নদী। আনন্দে উচ্ছল হয়ে হাততালি দিয়ে উঠলো। বললো,
- আমি এখনই যাবো ওই রাস্তায়। সময়তো নেই আর। সূর্য্য ডুবেছে এই মাত্র। সন্ধ্যা নামছে। এটাই ঠিক সময় স্বর্গের রাস্তায় পা রাখার। চলো রজত দা।
আমি অবাক ওর আচরণে। সন্ধ্যা নামছে। এখনই সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত নামবে। দেবী কি এতই রহস্যময়ী? এই সাহস ওর এলো কোথা হতে? আর ইচ্ছেটা?
- সত্যি দেবী, তুমি এখনই যেতে চাও? বলো ঠিক করে।
- হ্যাঁ তো। যেতে চাই তো, কেন আপনি যাবেন না?
- তবে চলো। তুমি যেতে চাইলে আমিই বা পিছিয়ে থাকি কেন। তবে তোমার সাহস কে কুর্নিশ জানাই।
দেবীর হাত ধরলাম। অন্ধকার হয়ে এলো। ঠিকঠাক দৃষ্টিগোচর হয় না। এগোনো খুব কষ্ট। অন্ধকারে দেখে দেখে চলতে হবে, ঠিক ঠিক পা ফেলে নিচে নামতে হবে । তারপর তো স্বর্গের রাস্তা। কিন্তু পাহাড়ের ঢালে আস্তে চলা কঠিন। তাল রাখা দায়। দেবীর ও খুব খারাপ অবস্থা মনে হয়। ঠিক তাল দিতে পারছে না। বলে ওঠে,
- কিচ্ছু দেখতে পাচ্ছিনা রজত দা, হোঁচট খাচ্ছি যে।
- শক্ত করে ধর আমার হাত।
কিন্তু একথা বলার পরেই একটা বড় পাথরে ধাক্কা খেয়ে একদম উল্টে পড়লাম। দেবীর হাত ছেড়ে গেল আমার হাত থেকে। আমার পাশ থেকে একটা চিৎকার ' রজত দা আ আ আ ' বলে নিমেষে নিচে চলে গেল।
আমিও চিৎকার করে উঠলাম, ' দেবী ই ই ই ই '…. আমিও নামতে লাগলাম নিচে গড়িয়ে। প্রাণপণে লতাগুল্ম গুলো আঁকড়ে ধরতে গেলাম, কিন্তু সেগুলো ছিড়ে নামতে লাগলাম সশব্দে নিচে। তলিয়ে যেতে যেতে শুনতে পেলাম আমাদের পরস্পরের নাম ধরে অসহায় আর্তনাদ…
' রজত দা ' আর ' দেবী ' ডাক নির্জন নিস্তব্ধ অরণ্য পাহাড়ে খান খান হয়ে ফিরতে লাগলো।
নিস্তব্ধ পাহাড়ি প্রকৃতিতে এই রাত্রির অন্ধকারে একটা হিমেল হাওয়া শুধু শিস কেটে ফিরে গেলো একা।
====================
Dipak Kumar Paul,
DTC Southern Heights,
Block-8,. Flat-1B,
D. H. Road, Kol - 700104.
স্বর্গের কাছাকাছি
দীপক পাল
- একি রজতদা, দেখতে পাচ্ছেন না আপনি আমায়?
দেখতে আমি পেয়েছিলাম ঠিকই দেবীকে। কেমন একটা সংকোচ হচ্ছিল যেন, দেবী যদি কিছু মনে করে। ওকে দেখামাত্রই মনে হয়েছিল যেন শীতের দুপুরে একমুঠো রোদ যা দেহে মনে এক প্রশান্তি আনে। মনের খুশি আড়াল করে ওর চোখে চোখ রাখলাম, একটু হাসলাম।
দেবী ও হাসলো আমার দিকে চেয়ে, ম্রিয়মাণ সেই হাসি।
- কিন্তু আপনিতো আমাকে না দেখার ভান করে চলেই যাচ্ছিলেন আপন মনে।
অভিমান করেছে কি দেবী ? হাওয়ায় খুঁজলাম আমি। কি উত্তর দেওয়া যায় এর ?
- না সেটা ঠিক নয় দেবী, আমি একটা সমস্যায় আছি আর তাই খুব আনমনা হয়ে চলছিলাম পথে।
- সে কথা কি বলা যায় কাউকে. মানে আমাকে?
- হ্যাঁ হ্যাঁ নিশ্চয়ই। তোমাকে নিশ্চয় বলা যায়। আমি একটা স্বপ্নের রাস্তা খুঁজজি যে রাস্তা দিয়ে আমি অনন্তকাল ধরে হাঁটতে হাঁটতে একে বারে বিন্দু হয়ে মিলিয়ে যাবো।
দেবী থতমত, বিস্মিত। বাতাসে একটা ছোট্ট ডুব দিল। কোন অতল হতে তার গলা যেন ভেসে এলো আমার কানে। সে গলায় যেন আছে একটা আকুতি।
- কি হবে রজতদা তবে যদি সে রাস্তা কখনো খুঁজে না পান? কি রকম সে রাস্তা? আমিও কি খুঁজব আপনার সাথে যদি অনুমতি দেন?
- তবে চলো, আমরা দুজনে একসাথে খুঁজে ফিরি সে রাস্তা। রাস্তাটা হবে একদম সোজা মসৃণ। রাস্তার দুধারে থাকবে কতো রং বেরঙের ফুলের গাছ। কতশত মৌমাছি ফড়িং প্রজাপতি ভ্রমরের গুঞ্জনের শব্দ আর কতশত পাখিদের কলকাকলিতে ভরে থাকবে সে পথ। ইউক্যালিপটাস গাছের গুঁড়ি বেয়ে কাঠবেড়ালি ওঠা নামা করবে, খরগোশ ছুটে বেরাবে এদিক সেদিক। আমরা দুজনে হাত ধরা ধরি করে হেঁটে যাবো অনন্ত কাল।
দেবীর দু চোখ ভরা বিস্ময়। আবার বাতাসে ডুব দিল। কিছুটা সময় চুপ। তারপর হয়ে উঠলো উচ্ছ্বল। বললো,
- একটা ছোট নদী থাকবে, আমরা সাঁকো বেয়ে ওপারে যাবো, তারপর আবার চলবো। কি মজা হবে রজতদা।
আমরা চলেছি পাশাপাশি। মৃদু হাওয়ায় দেবীর কপালে চুলগুলো আর থাকতে চাইছে না যেন। ডান হাতে চুল সামলাতে সামলাতে কেমন আনমনে দেবী বলে,
- আপনি এত সুন্দর করে বলেন না রজতদা, আমি যেন মনোশ্চক্ষ্যে সেই রাস্তাটা দেখতে পাচ্ছি।
সূর্যের গোধূলি আলো দেবীর ফর্সা গালে এঁকে দিল রঙিন আলপনা। কপালে তার হালকা রঙের লাল টিপ যেন একদম খাপ খেয়ে গেলো এই রঙের খেলায়। প্রকৃতির এই খেলা তাকে কেমন মোহময় করে তুলেছে যেন। মনে এক অদ্ভুত অনুভূতি হলো। অবশেষে পড়লো সামনে এক ছোট্ট পাহাড়। হতাশ হয়ে একটা পাথরের ওপর বসে পরে দেবী। বলে,
- রাস্তাটা তো এখানেই শেষ রজতদা, এবার কি হবে?
কয়েকটা ফড়িং ও একটা প্রজাপতি ওকে ঘিরে ঘুরপাক খেতে শুরু করলো। সূর্য্য ডুবতে বেশী দেরি নেই। বাতাসে শীতল স্পর্শ। গাছেদের পাতার মৃদু শব্দ। কেমন যেন এক অরণ্য মাদকতা। আমার মন ভারাক্রান্ত। মনে হল হেরে গেলাম বুঝি। বিকল্প চিন্তার কোনো জায়গা নেই। তাই পাহাড়ের গায়ে পা রাখলাম। এক ঝটকায় উঠে পড়লাম। হাত বাড়ালাম দেবীর দিকে।
- এসো দেবী, উঠে এসো। চলো আমার সাথে ওপরে। হতাশ হয়ে বসে পড়লে সব শেষ হয়ে যাবে।
- সন্ধ্যে হয়ে যাচ্ছে যে রজতদা, এর পরে যদি পথ হারিয়ে ফেলি?
- তাহলে তুমি একটু বসো, আমি ওপরে থেকে ঘুরে আসি একটু কেমন?
- না, আমিও যাবো আপনার সাথে ওপরে।
- সেই ভালো দেবী, এই পাহাড়ের ওপরে উঠে অস্তগামী সূর্যের শেষ আলোয় যদি আমি আমার অভিপসিত রাস্তাটা খুঁজে পাই তবে আজ ফিরবো বাড়ি রাতের তারাদের সাথে কথা বলতে বলতে। তারপর থাকবো প্রতীক্ষায় সেই সুন্দর সকালের যেদিন আমরা দুজনে চলবো সেই স্বর্গের রাস্তায় পাশাপাশি হাত ধরা ধরি করে।
সূর্য্য তার আলো দিয়ে আমাদের ওপরে উঠতে সাহায্য করলো। ওপরে উঠে আমি আনন্দে চিৎকার করে উঠি,
- দেবী, পেয়েছি আমার স্বপ্নের স্বর্গের রাস্তা। ওই দেখো নিচে, সেই রাস্তা সটান চলেছে সূর্যের পানে।
দেবী যেনো এক খরস্রোতা নদী। আনন্দে উচ্ছল হয়ে হাততালি দিয়ে উঠলো। বললো,
- আমি এখনই যাবো ওই রাস্তায়। সময়তো নেই আর। সূর্য্য ডুবেছে এই মাত্র। সন্ধ্যা নামছে। এটাই ঠিক সময় স্বর্গের রাস্তায় পা রাখার। চলো রজত দা।
আমি অবাক ওর আচরণে। সন্ধ্যা নামছে। এখনই সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত নামবে। দেবী কি এতই রহস্যময়ী? এই সাহস ওর এলো কোথা হতে? আর ইচ্ছেটা?
- সত্যি দেবী, তুমি এখনই যেতে চাও? বলো ঠিক করে।
- হ্যাঁ তো। যেতে চাই তো, কেন আপনি যাবেন না?
- তবে চলো। তুমি যেতে চাইলে আমিই বা পিছিয়ে থাকি কেন। তবে তোমার সাহস কে কুর্নিশ জানাই।
দেবীর হাত ধরলাম। অন্ধকার হয়ে এলো। ঠিকঠাক দৃষ্টিগোচর হয় না। এগোনো খুব কষ্ট। অন্ধকারে দেখে দেখে চলতে হবে, ঠিক ঠিক পা ফেলে নিচে নামতে হবে । তারপর তো স্বর্গের রাস্তা। কিন্তু পাহাড়ের ঢালে আস্তে চলা কঠিন। তাল রাখা দায়। দেবীর ও খুব খারাপ অবস্থা মনে হয়। ঠিক তাল দিতে পারছে না। বলে ওঠে,
- কিচ্ছু দেখতে পাচ্ছিনা রজত দা, হোঁচট খাচ্ছি যে।
- শক্ত করে ধর আমার হাত।
কিন্তু একথা বলার পরেই একটা বড় পাথরে ধাক্কা খেয়ে একদম উল্টে পড়লাম। দেবীর হাত ছেড়ে গেল আমার হাত থেকে। আমার পাশ থেকে একটা চিৎকার ' রজত দা আ আ আ ' বলে নিমেষে নিচে চলে গেল।
আমিও চিৎকার করে উঠলাম, ' দেবী ই ই ই ই '…. আমিও নামতে লাগলাম নিচে গড়িয়ে। প্রাণপণে লতাগুল্ম গুলো আঁকড়ে ধরতে গেলাম, কিন্তু সেগুলো ছিড়ে নামতে লাগলাম সশব্দে নিচে। তলিয়ে যেতে যেতে শুনতে পেলাম আমাদের পরস্পরের নাম ধরে অসহায় আর্তনাদ…
' রজত দা ' আর ' দেবী ' ডাক নির্জন নিস্তব্ধ অরণ্য পাহাড়ে খান খান হয়ে ফিরতে লাগলো।
নিস্তব্ধ পাহাড়ি প্রকৃতিতে এই রাত্রির অন্ধকারে একটা হিমেল হাওয়া শুধু শিস কেটে ফিরে গেলো একা।
====================
Dipak Kumar Paul,
DTC Southern Heights,
Block-8,. Flat-1B,
D. H. Road, Kol - 700104.