ট্রেনটা ঢুকছে স্টেশনে। রাজেন প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে ডানহাতি হকার স্টলে হাঁক দেয়, -- হ্যাঁরে গন্ধভাতালি হবে ?
ব্যস, নামটা শুনেই সবাই ঘুরে দেখে ক্রেতাটিকে, সঙ্গে দোকানিটিকেও। লতা পাতা শিকড়ের দোকান। দোকনী ঘাড় নেড়ে অসম্মত হয়।
এক অল্পবয়সী বিবাহিতা আর তার এক সঙ্গী নারী বন্ধু মুচকি হাসতে গিয়ে হো হো করে হেসে ওঠে, উচ্চারিত শব্দ প্রতিধ্বনিত হয়, " ভাতারি ?"
রাজেন ফিরে ভালো করে মাপে দুজনাকেই, -- ফাজিল! ইতর!
ছেড়ে দেওয়ার মুহুর্তে দৌড়ে ট্রেনের বগির হ্যান্ডেল ধরে ভিড়ের মাঝে মিলিয়ে যায় রাজেন। পড়ে থাকে একরাশ ঘৃণা।
সবাই হকচকিয়ে। হঠাৎই পরিস্থিতি থমথমে। কয়েকজন উৎসাহী দোকানীকে প্রশ্নটি ছুঁড়ে দিয়ে উত্তর কুঁড়িয়ে নেয়, "গাঁদাল পাতা "।
মেয়ে দুটি লজ্জা মেখে মিলিয়ে যায় জনঅরণ্যে।
রাজেন ট্রেন থেকে দমদমে নেমে সোজা বন্ধু অসিতের বাড়িতে। অসিতের পেটের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে গাদাল পাতা জরুরী ছিল - যেটা সে তার বন্ধু এই রাজেনকে মোবাইলে আনার রিকোয়েস্ট করেছিল। অনেক খুঁজে তা আনে রাজেন । অসিত খুব খুশি,-- একটু বোস, আমার বউয়ের সাথে আলাপ করে যা, ও এখনই এসে যাবে।
গন্ডগোল বাঁধে শালী আর বউ বাড়িতে ঢুকলেই, চমকে ওঠে দু পক্ষই।
এরই মধ্যে অসিত চেঁচায়, -- ওইতো ওরা এসে গেছে। বউ আর শালী।
রাজেনের ভাষায় সেই, " ফাজিল আর ইতর "
অসিতের বউ ভয়ে আর লজ্জায় মুখ লুকায়, শালী কম যায় না, ভয়হীনা, -- জানেন জামাইবাবু আমি ইতর আর দিদি ফাজিল!
……………………………
ছয়মাস কাটেনি একসঙ্গে চারজনে খোঁজে ব্যস্ত থাকে সেই গন্ধমাতালিরই ...অসিত আর ফাজিল,
রাজেন আর ইতর!
===================
প্রদীপ কুমার দে
বিরাটী আবাসন
এল আই জি -৯
এম বি রোড
নিমতা
কোলকাতা -৭০০০৪৯