ছবি - সংগৃহিত
জোরের কলম
মনোরঞ্জন ঘোষাল
বলল, "কলমের জোর চাই।"
বুঝলুম সত্যিই তো। ঝরনা কলমে তেমন জোর দেওয়া যায় না। একটু জোর দিলেই নিবখানা ফাঁকা করে কালি ছেরায়।
তাই তাকে সরিয়ে আবার বল কলম হাতে তুলে নিলুম।
তাও হল না। বলল এ কলমেও জোর নাই।
একটু অবাক হলুম! ভাবলুম কলমটিকে একটিবার ভাল করে পরখ করতে হবে।
আমি বেশ ভালো করে দেখলুম। আমার চোখে তার কোন দুর্বলতা ধরা পড়ল না।
ঠিক তখন এক বন্ধু এসে হাজির হল বাড়িতে। সে আমার এমন কলমের প্রতি ভালোবাসার আচরণ দেখে বুঝল, এবার মাথাটি নির্ঘাৎ গেছে।
তাই সে হাসির ছলে জিজ্ঞেস করল, "ওর ভেতরে মণি মুক্ত লোকানো নেই।"
আমি তখন মুখ ফসকে বলে ফেললুম সত্যি কথা। বললুম, "কলমে কোথায় দোষ আছে খুঁজছি।"
সে তখনি উত্তর দিল, "এটি জেল কলম।"
"বল কলম শুনেছিলাম, আবার জেল কলম কী?"
সে ও কথার কোন উত্তর না দিয়ে পকেট থেকে একখানা প্লাস্টিকের কলম বেরকরে হাতে ধরিয়ে দিল।
এবার একটু জোরদিয়ে লিখতে গিয়েই দেলুম, তার মাথা গেল ফেটে। আর সে কলমে তেমন জোরদিয়ে লেখা গেল না।
তাই ভেবে দোকানে গিয়ে একটা লোহার মজবুত কলম কিনে নিয়ে এলাম। বাড়িতে চুম্বক ধরে পরীক্ষা করে বুঝলুম, সত্যিই সেটি লোহার।
তাই দিয়ে বেশ জোরেই লেখা যাচ্ছে। এবার দেখি কী বলে। যদি বলে যে এখনও কলমের জোর কম, তবে সেই কলম দিয়ে একবার মাথায় টকাশ করে মেরে বুঝিয়ে দেবো এই কলমের কত জোর। তখন বুঝতে পারবে কী মোক্ষম কলম এবার ব্যবহার করছি।
---------------------------------------------
ঠিকানা
মনোরঞ্জন ঘোষাল
আত্মারাম পুর
পশ্চিম রামেশ্বর পুর
বজ বজ
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা