সমীর কুমার দত্ত
ফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে খবরটা মুখে মুখে প্রচার হতে লাগলো। মাধ্যমিকে দশম স্থানাধিকারিণী ছাত্রীটিকে দেখার জন্য গ্রামের ও পার্শ্ববর্তী গ্রামের ছেলে বুড়ো সকলে জড়ো হতে লাগলো।
নাউপালা গ্রামের পান্তু পাড়ুইয়ের মেয়ে সঙ্গীতা পাড়ুই এ বছর দেউলটি নাউপালা বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় দশম স্থান অধিকার করেছে। নাউপালা গ্রাম ও তার পার্শ্ববর্তী গ্রামের লোকজন জড়ো হয়ে বলাবলি করছিল যে — এ শুধু নাউপালা গ্রাম নয়, সারা হাওড়ার গর্ব। সকলেই সঙ্গীতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। কিন্তু সপ্তাহ খানেক আগে এই স্থানের দৃশ্যপট ছিল ভিন্ন।
সঙ্গীতার বাবা পান্তু সঙ্গীতার লেখাপড়া চালিয়ে যেতে আর রাজি নয়। সেহেতু সে চায় সঙ্গীতা ঘরের কাজে তার মা নমিতাকে সাহায্য করুক। কারণ নমিতা একা আর পেরে ওঠে না। তাছাড়া বেশি দূর লেখাপড়া করলে সেই মানের পাত্র পাওয়া মুশকিল।আর যদিও বা পাওয়া যায়, তার সামর্থ্য নেই সেই মানের পাত্রের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দেওয়ার। মেয়ে জেদ ধরে লেখাপড়া করার আর বাপ জেদ ধরে লেখাপড়া ছাড়িয়ে দেবার। দুজনের জেদাজেদিতে অশান্তি ওঠে চরমে। চেঁচামেচি, মেয়ের গায়ে হাত তোলা, বইপত্তর ছুঁড়ে ফেলা ইত্যাদি চলতে থাকার পরিনাম স্বরূপ মেয়ের আত্মহত্যা করার স্পৃহা জাগে। সে সর্বদা ভাবে ওর চেয়ে খারাপ মেয়েরা লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে, আর ও কিনা লেখাপড়া ছেড়ে দেবে । না ও তা করতে পারবে না। তার চেয়ে এ জীবন না রাখাই ভালো।
একদিন সত্যি সত্যি ভোররাত্রে কীটনাশক পদার্থ খেয়ে বসে সঙ্গীতা। পাশে শোয়া ছোট ভাই শান্তু গোঙানির শব্দ পেয়ে জেগে পড়লে দেখতে পায় তার দিদির মুখ দিয়ে গাঁজলা বের হচ্ছে। জিজ্ঞাসা করে, " এই দিদি , তোর কি হয়েছে ?" উত্তর না পেয়ে দৌড়ালো মা, বাবাকে ডাকতে। দরজায় চাপড় মেরে ডাকতে থাকে। বলে , " দেখবে এসো, দিদির মুখ দিয়ে কি বের হচ্ছে ।" নমিতা স্বামী পান্তুকে ডেকে দিয়ে পড়ি কি মরি করে ছুটে গেল। গিয়ে দেখে ওই অবস্থা। নমিতা ভোরের নিস্তব্ধতা ভঙ্গ করে চিৎকার চেঁচামেচিতে পাড়া জাগিয়ে তুললো ।পান্তু খুব ভয় পেয়ে গেল। অপরাধ বোধ তাকে আরও ভীত করে তুললো।
এদিকে পাড়ার লোকজন কোন বিপদের সঙ্কেত ভেবে সবাই দৌড়ে এলো। " কি হয়েছে? " জিজ্ঞাসা করাতে শান্তু কাঁদতে কাঁদতে বললো, " দেখ না কাকু, দিদির মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছে। কি রকম ছট্ফট করছে।
—কেন কি হয়েছে?
—কি জানি কি খেয়েছে।
অনেকেরই বুঝতে বাকি রইলো না যে এ বিষক্রিয়া।
প্রতিবেশীদের নিজেদের মধ্যে ফিসফিস করে কুমন্তব্যের কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি শুরু হয়ে গেল , "দেখ গে, মেয়ে কোথায় কি বাঁধিয়ে বসেছে ইত্যাদি ইত্যাদি। আসলে সঙ্গীতা লেখাপড়ায় খুব ভালো।সকলের ঈর্ষার পাত্র। যা হোক, পাড়ায় এক জনের মোটর লাগানো মাল বহনের ট্রলি ভ্যান ছিল।তাতে করে সঙ্গীতাকে নিয়ে সোজা বাগনান হাসপাতালে। অনেক দেরি হয়ে যাওয়ার কারণে ডাক্তাররা সঙ্গীতাকে অ্যাডমিট করতে রাজি ছিলেন না। তাদের বক্তব্য— এরপর রোগী মারা গেলে, ডাক্তারদের মারধোর, হাসপাতালে ভাঙচুর ইত্যাদি চলবে। না,না তারা এ ঝুঁকি নিতে পারবে না। তাছাড়া পুলিশি ঝামেলা আছে। যাই হোক অনেক অনুনয় বিনয় করে, অঞ্চল প্রধানকে দিয়ে ফোন করিয়ে তবে ভর্তি করানো গেল। সঙ্গে সঙ্গে ট্রিটমেন্ট শুরু হয়ে গেল। ডাক্তাররা সে যাত্রায় অবস্থা সামাল দিতে পেরেছেন ।পাড়ার অনেকেই তাকে হাসপাতালে দেখতে গেছে। পাঁচ ছয় দিন পর ছুটি দিয়ে দেওয়া হলো। তবে শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। ডাক্তারবাবুরা সবকিছু নির্দেশ দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।
অঞ্চল প্রধান, স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা দেখতে এসে সঙ্গীতাকে নানাভাবে বোঝালেন যে এই ধরনের গর্হিত কাজ করা তার মতো ভালো মেয়ের মোটেই শোভা দেয় নি। তাঁরা বাইরে বেরিয়ে এসে পান্তুকে আচ্ছা করে কথা শোনান।
মেয়ের ঘরে ঢুকে পান্তু মেয়ের হাত দুটো ধরে কান্নায় ভেঙে পড়ে বলে, "তুই আমার ওপর অভিমান করে মরতে যাচ্ছিলি রে মা। তুই একবারও বুঝলিনা রে মা, কেন আমি তোকে এ কথা বলেছি। আমরা গরীব। আমাদের কাছে এ সব বিলাসিতা। পেট ভরে খেতে না পেলে লেখাপড়া করবি কি করে ?" বাবাকে এভাবে কোনদিন কাঁদতে দেখে নি বলে সঙ্গীতা কাঁদতে কাঁদতে বললো, "বাবা, কোন দিনও আমি আর এমন কাজ করবো না। আমার ভুল হয়ে গেছে। তুমি আমায় ক্ষমা করে দাও। "
—বাবা, মা সব সময় ছেলেমেয়েদের ক্ষমা করে।
তারাই বাবা মায়েদের ক্ষমা করতে পারে না।
নমিতা স্বামীকে থামিয়ে বলে,
"থাক্ থাক্ তুমি ওকে আর বকিও না।
পান্তু পাড়ুই পেশায় একজন ছু্ঁতোর মিস্ত্রি। দেউলটি স্টেশনের সন্নিকটে নাউপালা গ্রামের দোচালা খড়ে ছাওয়া দোতলা বাড়ির লাগোয়া কাঠের গোলায়
আসবাব পত্র, কাঠের দরজা — জানলা ইত্যাদি তৈরি ও মেরামতির কাজ করা হলো পান্তুর পেশা বা জীবিকা।
ঘরের সামনে কাঠা দুয়েক জমিতে পান্তুর স্ত্রী নমিতা কিছু শাকসব্জি — লাউ ,কুমড়ো,শশা,
কলা, আম ইত্যাদি ফলিয়ে গ্রামের নিকটবর্তী হাটে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে। এছাড়া আছে একটা দুধেল গাই। নিজেদের খেয়ে যেটুকু বাঁচে গ্রামের কয়েকটা ঘরে তা বিক্রি করে। স্ত্রী, এক মেয়ে সঙ্গীতা ও এক ছেলে শান্তু কে নিয়ে পান্তুর সংসার চলে কোনমতে। কাঠের কাজ সব সময় ভালো হয় না। তাই ছোটখাটো কিছু আসবাবপত্র তৈরি করে শহরের
অলিতে গলিতে মাথায় করে ফেরি করে সন্ধ্যার সময় বাড়ি ফেরে পান্তু।
মেয়ে সঙ্গীতা যাকে নিয়ে এ গল্পের অবতারণা খুবই লেখাপড়া প্রিয়। ও মামার বাড়ির মতো কিছুটা হয়েছে। ওর মা ও মামারা অল্পবিস্তর লেখাপড়া জানে। পান্তু মেয়েকে যে লেখাপড়া শেখাতে চায় এমন নয়। বিবাহযোগ্যা হলেই যেমন তেমন করে পাত্রস্থ করা তার উদ্দেশ্যে। তিন কূলের কেউ
লেখাপড়া করেনি যার, তার এমন মনোভাব স্বাভাবিক। কোন কিছু ভালমন্দ না খেয়ে যেমন তার স্বাদ বোঝা যায় না, কোনকিছু ভালভাবে ব্যবহার না
করে তার গুণগত মান নির্ণয় করা যেমন কঠিন, তেমনই লেখাপড়া করার কি ফল বোঝা যাবে কি ভাবে, লেখাপড়া না করে? লেখাপড়া না করেই তার
বংশের এই বেহাল অবস্থা।
পান্তু মাঝে মাঝেই বলে, লেখাপড়া জেনেই কি হবে, এই তো কত ছেলেই লেখাপড়া শিখে বেকার হয়ে বসে আছে। আর মেয়েছেলে করবেটাই বা কি? সেই তো পরের ঘরে গিয়ে হাঁড়ি ঠেলতে হবে। " পান্তুর কয়েক পুরুষ ধরেই নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। পান্তুর বাবা নান্টু পাড়ুই ,তস্য পিতা, তস্য পিতার ওই একই অবস্থা। ছুঁতোরের পেশা তাদের বংশগত। নান্টু পাড়ুইয়ের হাতের কাজ খুব ভালো ছিলো। দূর দূরান্ত থেকে কাজের ফরমায়ের আসতো। তখন তাদের অবস্থা একটু ভালো ছিলো। পান্তু ছোটবেলায় লেখাপড়া না করে গোলায় গিয়ে বাবার হাতের কাজ লক্ষ্য করতো। কাঠের কাজ তার দেখেই শেখা কিন্তু হলে কি হবে, ভাগ্য তাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে ।ছোটখাটো আসবাবপত্র তৈরি করে শহরের রাস্তায় রাস্তায় ফেরি করতে হয়। তাছাড়া গাছ কাটা বন্ধ হয়ে গিয়ে কাঠও ভালো পাওয়া যায় না। যা পাওয়া যায়, ভালো নয়, দামও
বেশি । বিক্রি করে তেমন লাভ থাকে না। খদ্দের দরাদরি করে। অনেক সময় অল্প লাভেই ছেড়ে
দিতে হয, নইলে মাল মাথায় করে নিয়ে গিয়ে আবার মাথায় করে বয়ে নিয়ে শুধু হাতে বাড়ি ফিরতে হবে।
পান্তুর স্ত্রী নমিতা হাড় খাটুনি খাটে। ঘরদোরের কাজ, হাটে যাওয়া, দুধ দোয়া, কয়েকটা ঘরে তা দিতে যাওয়া কি কম কাজ ! তাই কোনমতে সংসার
চলে পান্তুর।
সংসারের এরূপ অবস্থায় পান্তুর মেয়ে পড়া চালিয়ে গেছে সমানে। পাড়ার একঘর ব্রাহ্মণ পরিবার ব্যবর্তা বাড়ির হরেণ ব্যবর্তার ছেলের কাছে সঙ্গীতা টিউশন পড়তে যায় । তাও তাদের মাইনে সময়মতো দিতে পারে না। খাবার ঠিকমতো জোটে না। অনেক সময় খালি পেটে জল খেয়েই পড়তে চলে যায়। মেয়েটার মাথা খুব ভালো। স্কুলের দিদিমনিও খুব প্রশংসা করেন । বরাবরই ও পরীক্ষায় ভালো ফল করে এসেছে।
এই তো 'পেন্ডামিকের সময়ে কোন রোজগার ছিল না পান্তুর। ঘরে বসে বসে দীর্ঘশ্বাস ফেলতো। ইদানিং মেজাজটা একটু খিটখিটে হয়ে গেছে। স্ত্রী বাড়ি ফিরলে জিজ্ঞাসা করে, " কিছু হলো ? " নমিতা বলে, " ঐ সামান্য কিছু। এ দিয়ে চাল,আলু কিনতেই চলে যাবে। ডালের পয়সাও জুটবে না।
— ছেলে মেয়েটা খেলেই হলো আমাদের জল খেয়েও কেটে যাবে ।
— কিন্তু ক 'দিন আর এভাবে চলবে ? এই অবস্থা কবে কাটবে কে জানে!
কঠিনতম পরিস্থিতিতে মাথা ঠাণ্ডা রাখা কঠিন। মাঝে মাঝেই উত্তেজিত হয়ে অ-কথা ,কু-কথা
কইতে হয়। আর তখনই শুরু হয় ঝগড়া বিবাদ। বাচ্চা ছেলে, মেয়ে উদাস নয়নে তাকিয়ে থাকে তাদের বাবা- মা'র মুখের দিকে। শান্তুও বুঝে যায় দারিদ্র্য কি জিনিস। তারা ছোট থেকেই দারিদ্র্যের সঙ্গে পরিচিত হয়ে চলেছে, তবুও তাদের চোখে
মুখে হাজারো জিজ্ঞাসা। তাদের বাবা -মা'র দারিদ্র্যের এই অসহায় অবস্থা তাদের পীড়িত করে। খিদে পেলেও সহজে বলে না। তাই মায়ের পরিচর্চায় বেড়ে ওঠা টমেটো ,শশা,কলা, পেয়ারা গাছ থেকে একটা ফলও পেড়ে খায় না। যা সাধারণত গ্রামের ছেলেপুলেরা করে থাকে। বাজারে বিক্রি হলে দুটো পয়সা আসবে ঘরে। তা দিয়ে চাল, ডাল, আলু, তেল, মশলা কিনলে তারা দুটো খেতে পাবে।
মাঝে মাঝে পান্তু তার স্ত্রীর কাছে বলে, " এ কাঠের কাজ আর করবো না। ঘেন্না ধরে গেছে। "
— ছেড়ে দিয়ে করবেটাই বা কি ?
— পরের জমিতে জোন খাটবো। — তাতেও কিছু ভরসা আছে? গ্রামে জোন খাটার কাজও তো সব সময় পাওয়া যায় না।
আজ মেয়ের কৃতিত্বে শত দুঃখে মলিন মুখে অশ্রুপূর্ণ লোচনে পান্তুর মুখে হাসি ফোটে। সে বুঝতে পারে তাদের মেয়ে কি গৌরবের কাজই না করে ফেলেছে। যার ফলে সারাগায়েঁর তো বটেই , পাশের গাঁয়ের লোক, মিডিয়া , অঞ্চল প্রধান, প্রধান শিক্ষিকা সকলে এসেছে তার মেয়েকে দেখতে।যারা কোন দিনই পান্তুকে ধর্তব্যের মধ্যে ধরেন নি।
পাড়ার ক্লাব মিডিয়াকে খবর দেয়। মিডিয়ার লোকজন সঙ্গীতা ও তার বাবা -মা'র ,প্রধান শিক্ষিকার ইন্টারভিউ নেয় । সকলেই একবাক্যে মেয়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন। পান্তু যেন হাতে স্বর্গ পেয়ে যায়, নতুন করে বাঁচার আশ্বাস খু্ঁজে পায়,
বলে, " এ সবই হয়েছে আপনাদের পাঁচজনের দয়ায় ও সহযোগিতায় নইলে আমাদের মতো লেখাপড়া না জানা,গরীব লোকের ঘরে চাঁদের আলো এলো কি করে।" প্রতিবাদ জানিয়ে অঞ্চল প্রধান রসিকতা করে বলে উঠেন, " আরে, দয়া নয়, দয়া নয়, এ হলো গিয়ে তোদের চাল ফুটো বলেই তো চাঁদের আলো ঢুকেছে। তুই আর সেটা বুঝতে পারলি কই।পারলি না। পারলে কি আর ওভাবে একটা ভালো মেয়ের লেখাপড়া বন্ধ করার চেষ্টা চালাতিস্ । আজ যদি মেয়েটা বেঁচে না ফিরতো, আজকের এই আনন্দটা কি পেতিস্? এ যেন গোবরে পদ্মফুল।
পঞ্চায়েত প্রধান সঙ্গীতার উচ্চ শিক্ষার সকল প্রকার দায়িত্ব নেবার অঙ্গীকার করেন। মা নমিতা বলে, "মেয়ে আমার গান শিখতে চায়, কিন্তু একটা হারমোনিয়াম কিনে দিতে পারিনি। পাড়ার ক্লাবে একজন দিদি সকলকে বিনা পয়সায় গান শেখান। বাড়িতে রেওয়াজ করতে পারে না হারমোনিয়ামের অভাবে।"
পাড়ার ক্লাব থেকে একটা হারমোনিয়াম কিনে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয় । প্রধান শিক্ষিকাও পড়াশোনায় সর্বপ্রকার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবার কথা ঘোষণা করেন।
সেই রাতে পান্তু দুচোখের পাতা এক করতে পারে না। শত দুঃখের মধ্যেও আনন্দে তার ঘুম কোথায় চলে গিয়েছে। সত্যিই লেখাপড়া না লিখলে অশেষ দুর্গতি। মেয়ে যে তার এত গুণের তা সে আগে একবারও অনুভব করতে পারে নি। পারলে কি আর মেয়েকে লেখাপড়া করতে ওভাবে বাধা দিতো। দিতো না। তার ঘরে অভাব আছে ঠিকই কিন্তু তার ঘরে সরস্বতীর অধিষ্ঠান । সরস্বতীর হাত ধরেই একদিন তার ঘরে ঠিক লক্ষ্মী আসবে তার বিশ্বাস।
========================
Samir Kumar Dutta
Bally, Howrah