মুক্তগদ্য ।। বাঁচাও সবুজ -জাগাও সবুজ ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত
বাঁচাও সবুজ -জাগাও সবুজ
মানস কুমার সেনগুপ্ত
৫ই জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসে প্রশাসনিক , সামাজিক সাংগঠনিক স্তরে আমরা পরিবেশ সচেতনতা বিষয়ে অনেক ভাষন বা মতামত শুনতে পাই। আসলে সবুজ বা বৃক্ষরাজি বাঁচাতে গেলে বা সারা বছর ধরে এই সবুজ কে জাগিয়ে রাখতে গেলে যে মনন, মানসিকতা বা সদিচ্ছার প্রয়োজন দেখি , সেটি ওই ৫ইজুনের পর থেকে আমরা ক্রমাগত বিস্মৃত হতে থাকি। কোনো স্তরেই যে ব্যতিকরমী ভাবনা নেই তা নয়।তবে বাঁচাও সবুজ, জাগাও সবুজ এই কথাটি নিয়ে আর নতুন করে ভাবার কোনো অবকাশ নেই। সবুজ আমাদের রক্ষাকবচ , একে জাগিয়ে, বাঁচিয়ে রাখতেই হবে । বন্ধু এ আমার কথা নয়, পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা অনেকদিন থেকেই বলে চলেছেন। গ্রামবাংলা আজও কিছুটা সবুজ। তবু সেখানেও উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। উন্নয়ন চলতে থাকুক , কিন্তু সবুজ ধ্বংস করে কখনও নয়। আর আমরা যারা শহরে মানুষ তারা সত্যিই সবূজের আবরন থেকে ক্রমাগত দূরে সরে চলেছি। যথেচ্ছ বহুতল নির্মাণ আর পারিপার্শ্বিক উন্নয়নের দাপটে এখন মাটি খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। বৃক্ষরোপণ হবে কোথায়? বৃষ্টির জল পাচ্ছে না মাটিতে ঢোকার সুযোগ। বড় দেরি করে ফেলেছি আমরা । তার ফল ভুগতে শুরু করেছি নানাভাবে। বনভূমিকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। সুন্দর বনের ম্যানগোরভ অরণ্য যথাযথভাবে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। আমাদের অপরিণামদর্শীতার নানা প্রভাব আমরা উপলব্ধি করেছি ,পরপর তিনটি ভয়াবহ ধ্বংসাত্মক সাইক্লোন আমাদের বিদ্ধস্ত করে দিয়ে গেছে। প্রকৃতি যেন প্রতিশোধ নিয়েই চলেছে। সবশেষে বলি , পরিবেশ বাঁচাও, সবুজ বাঁচাও ,সবুজ জাগাও, তবেই প্রকৃতি হয়ে উঠবে আমাদের রক্ষাকবচ। না হলে রুষ্ট প্রকৃতির রোষ থেকে আমাদের মুক্তি নেই।
==========================
মানস কুমার সেনগুপ্ত, ১৭/৮ , আনন্দ মোহন বসু রোড, দমদম, কলকাতা ৭০০০৭৪ ।