গল্প ।। মুক্তপাখি ।। অঙ্কিতা পাল
0
ডিসেম্বর ০১, ২০২৪
মুক্তপাখি
অঙ্কিতা পাল
কার্তিক মাস হালকা উত্তরে বাতাস শীতের আমেজ গায়ে মেখে সকালে উঠে ছিলাম ছাদে।
উফ: কি বাহারি জবা ফুল তিনটি আলোকিত করেছিল আমার ছাদ, সেই সাথে সাদা ও বেগুনি নয়ন তারা, কমলা বর্ণের গোলাপ খানি ও ভারী চমৎকার, দুধে আলতা রংয়ের কাগজ ফুলটা যেন হাওয়ায় দুলছে।
হঠাৎ আসমানের পানে চেয়ে রই রক্তিম বর্ণের রবির আলো কেবলি উঁকি দিচ্ছে; এমন সময় হাজার হাজার পাখির দল উড়ে গেল নীলাভ আকাশের লাল আভার মাঝে। আহা! কি চমৎকার দেখলে মনে হয় ইংরেজি বর্ণমালায় সাজানো। ছোটবেলার ব্লাক বোর্ডের ওপরে সাদা চক দিয়ে লেখা ABCD. ইংরেজি বর্ণমালা এই কথাটি বলা ঠিক হবে কিনা জানিনা, এক- একটি পাখির দল এক - একটি ধরনের কোনটা L বা T, কোনটা আবার V বা উল্টো V ,কোনো টা W বা M ইত্যাদি আকৃতির মালার মতো চলেছে। আমি কিছুক্ষণ অবাক চোখে চেয়ে রইলাম আকাশের সাথে উড়ে যাওয়া পক্ষীর দলের এমন ও কি রূপ হয়? মনে এই জিজ্ঞাসা নিয়ে নিচে নেমে এসে নিজের ছন্দে কাজে মন দিলাম। তারপর সারাদিনের কর্মব্যস্ত জীবন ............................
দিনের শেষে যেই বালিশের মাথা রেখে চোখ দুখানি বন্ধ করলাম ঠিক তখনি ভেসে এলো সেই পাখির দল। আমি যেন তাদেরকে হাত নেড়ে অনবরত ডেকে চলেছি....................
আয় চলে আয় আমায় নিয়ে যা, আমিও তোদের মতো খোলা আকাশে মুক্ত হতে চাই । ।
এর ঠিক পরদিন দুপুরবেলা আমাদের পাশের বাড়ির কয়েকজন হন্ততন্ত হয়ে ছুটে এলেন আমাদের বাড়িতে, আমি শঙ্কিত মনে প্রশ্ন করলাম - কি হয়েছে ? ভারাক্রান্ত মনে উত্তম মামা উত্তর দিলেন - আমাদের মিঠু তোমাদের ছাদে উড়ে এসেছে। আমরা সবাই ছাদে দাঁড়িয়ে আছি সবুজ মিঠু উড়ে গেলো কাঁঠাল গাছে তারপর চোখের সামনে থেকে মুহূর্তের মধ্যেই চলে যায় বড়ো শিরিশ গাছের ডালে আর ধরা দিলো না সে। তাকে আদর করে ভালোবেসে কতো ডাকাডাকি, মিষ্টি মিষ্টি নাম তাঁর - সোনা মনা চুনটি চন্দনা বন্দনা মা বাবা আরো কতো কিছু।
সেও তেমনি দুষ্টুমি করে উত্তর করে চলেছে - এইতো মি ......টু .....পিক পিক.......
কিন্তু এতো ডাকাডাকি তবুও ফিরে আসে না খাঁচার ছোট্ট টিয়া পাখি ।
আজও সে উড়ে বেড়ায় এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে এক গাছ থেকে অপর গাছে ; কিন্তু ফিরে আসে না আকাশের বুকে উড়ে যাওয়া মুক্ত পাখিটি ।।
==========================
ভাঙ্গড় দক্ষিণ ২৪ পরগনা
উফ: কি বাহারি জবা ফুল তিনটি আলোকিত করেছিল আমার ছাদ, সেই সাথে সাদা ও বেগুনি নয়ন তারা, কমলা বর্ণের গোলাপ খানি ও ভারী চমৎকার, দুধে আলতা রংয়ের কাগজ ফুলটা যেন হাওয়ায় দুলছে।
হঠাৎ আসমানের পানে চেয়ে রই রক্তিম বর্ণের রবির আলো কেবলি উঁকি দিচ্ছে; এমন সময় হাজার হাজার পাখির দল উড়ে গেল নীলাভ আকাশের লাল আভার মাঝে। আহা! কি চমৎকার দেখলে মনে হয় ইংরেজি বর্ণমালায় সাজানো। ছোটবেলার ব্লাক বোর্ডের ওপরে সাদা চক দিয়ে লেখা ABCD. ইংরেজি বর্ণমালা এই কথাটি বলা ঠিক হবে কিনা জানিনা, এক- একটি পাখির দল এক - একটি ধরনের কোনটা L বা T, কোনটা আবার V বা উল্টো V ,কোনো টা W বা M ইত্যাদি আকৃতির মালার মতো চলেছে। আমি কিছুক্ষণ অবাক চোখে চেয়ে রইলাম আকাশের সাথে উড়ে যাওয়া পক্ষীর দলের এমন ও কি রূপ হয়? মনে এই জিজ্ঞাসা নিয়ে নিচে নেমে এসে নিজের ছন্দে কাজে মন দিলাম। তারপর সারাদিনের কর্মব্যস্ত জীবন ............................
দিনের শেষে যেই বালিশের মাথা রেখে চোখ দুখানি বন্ধ করলাম ঠিক তখনি ভেসে এলো সেই পাখির দল। আমি যেন তাদেরকে হাত নেড়ে অনবরত ডেকে চলেছি....................
আয় চলে আয় আমায় নিয়ে যা, আমিও তোদের মতো খোলা আকাশে মুক্ত হতে চাই । ।
এর ঠিক পরদিন দুপুরবেলা আমাদের পাশের বাড়ির কয়েকজন হন্ততন্ত হয়ে ছুটে এলেন আমাদের বাড়িতে, আমি শঙ্কিত মনে প্রশ্ন করলাম - কি হয়েছে ? ভারাক্রান্ত মনে উত্তম মামা উত্তর দিলেন - আমাদের মিঠু তোমাদের ছাদে উড়ে এসেছে। আমরা সবাই ছাদে দাঁড়িয়ে আছি সবুজ মিঠু উড়ে গেলো কাঁঠাল গাছে তারপর চোখের সামনে থেকে মুহূর্তের মধ্যেই চলে যায় বড়ো শিরিশ গাছের ডালে আর ধরা দিলো না সে। তাকে আদর করে ভালোবেসে কতো ডাকাডাকি, মিষ্টি মিষ্টি নাম তাঁর - সোনা মনা চুনটি চন্দনা বন্দনা মা বাবা আরো কতো কিছু।
সেও তেমনি দুষ্টুমি করে উত্তর করে চলেছে - এইতো মি ......টু .....পিক পিক.......
কিন্তু এতো ডাকাডাকি তবুও ফিরে আসে না খাঁচার ছোট্ট টিয়া পাখি ।
আজও সে উড়ে বেড়ায় এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে এক গাছ থেকে অপর গাছে ; কিন্তু ফিরে আসে না আকাশের বুকে উড়ে যাওয়া মুক্ত পাখিটি ।।
==========================
ভাঙ্গড় দক্ষিণ ২৪ পরগনা