বাজে টিকটিকিপাড়া প্রসঙ্গ
বদরুদ্দোজা শেখু
আবুল হাশেম।অতি ক্ষুদ্র ব্যাপারী । কুমড়োদহের কাছে বাজে টিকটিকিপাড়ায় বাড়ি।তার নিজস্ব জমিজমা কিছু নাই। আগে দিনমজুর খাটতো।এখন বয়স হয়েছে ।গত দু'বছর থেকে সে ফেরিওয়ালা হয়েছে। শাকসবজি নিয়ে গ্রাম থেকে শহরে সাইকেলে ক'রে ঘরে ঘরে ফেরি ক'রে জীবন কাটায় । ছোট মাটির ঘর। স্ত্রী, এক বিধবা মেয়ে ও তার চার বছরের নাবালক কন্যাকে নিয়ে তার সংসার। আরো আছে। দুই ছেলে ও তিন মেয়ে।সবার বিয়ে শাদি হওয়ার পর ভিন্ন হাঁড়ি।ছেলেদুটো একই বাড়িতে আলাদা খলপার ঘর তুলে বাস করছে । তাদেরও সন্তানাদি আছে। বড়ো হয়েছে। কারো কারো বিয়ে হয়েছে।কেউ মজুর খাটে , কেউ রাজমিস্ত্রি, কেউ কাজ করতে যায় দক্ষিণ ভারতে। গ্রামের কেউ কেউ আবার সৌদিতে গিয়ে ঘরদোর পরিষ্কার করা বা উট চরানো ইত্যাদি কাজ ক'রে টাকা পয়সা নিয়ে এসে এক দু'বিঘে ক'রে
জমি করেছে।তারা তুলনায় একটু ভাল আছে। মানে ভালো অবস্থায় ছিলো। তবে লকডাউনের আগে।
তাদের সবার জীবনে আচমকা এক অপ্রত্যাশিত অন্ধকার নেমে এলো ২০ শে মার্চ ২০২০ থেকে সারা দেশে লকডাউন ঘোষণায়। কারণ করোনা ভাইরাস । তারা এই ভাইরাস সম্বন্ধে তেমন কিছু অবগত নয়। কিন্তু লোকমুখে শুনে শুনে যা বুঝেছে তা হলো--- এক অজানা রোগ---জ্বর কাশি গলা খুসখুস দিয়ে শুরু হয়, তারপর দিন চার-পাঁচের মধ্যেই তা শ্বাসকষ্টে রূপান্তরিত হয়। আর অবধারিত পরিণাম, মৃত্যু। রোগটা নাকি ভীষণ ভীষণ ছোঁয়াচে। আর এযাবৎ কোনো ওষুধও নাই। তাই এর সংক্রমণ সারা দেশে দ্রুতগতি ছড়িয়ে পড়া আটকাতে সরকার লকডাউন ঘোষণা করেছে। এখন বাইরে গেলে সবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। আর সবাইকে দূরে দূরে থাকতে হবে।
জমায়েতে যাওয়া, আড্ডা দেওয়া সব বন্ধ। সমস্ত যানবাহন বন্ধ। হাটবাজার দোকানপাট খেলাধূলাও আপাততঃ বন্ধ। স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় সব অনির্দিষ্টকাল বন্ধ। এই অবস্থায় ওই ছোট্ট গ্রামের লোকজন দিশাহারা। যাদের জমিজমা টাকাপয়সা আছে, তাদের না-হয় চলবে।কিন্তু যারা সর্বহারা তাদের তো পেট চালাতে হবে, সংসার চালাতে হবে।এক সপ্তাহ দু সপ্তাহ নাহয় কষ্ট ক'রে চালিয়ে নেওয়া যাবে,তারপর? আবুল হাশেম ও তার জ্ঞাতিগুষ্টি মোটামুটি সবাই খুব আতান্তরে পড়ে। এই রোগের ভয়ে সবাই সঙ্কুচিত। যেন গ্রামের - শহরের সবাই অচেনা মানুষ। গ্রামে কাজ না পেলে খেটে-খাওয়া মানুষগুলো শহরে শহরতলিতে যায় কাজ খুঁজতে।তাও বন্ধ।
দিন দশেক বাড়িতে উঠে-ব'সে ঘরের কাজ ক'রে কাটাবার পর আবুল হাশেম আবার তার সবজি ফেরি করার মনস্থ করে। যদিও স্ত্রী বারণ করেছিল। কিন্তু এ ছাড়া তো তার আর কোনো উপায়ও নাই। তাই সে ভোর ভোর সাইকেলের পিছনে ক্যারিয়ারের দুপাশে ঝুড়ি বাঁধা সাইকেলটা নিয়ে কুমড়োদহঘাটের পাইকারী সবজি বাজারে চলে আসে কিছু সবজি নিয়ে বহরমপুরে নতুন-গড়ে-ওঠা পাড়াগুলোতে ফেরি করার আশায়। প্রথম দিন তো কেনাকাটা করার সময়ই পুলিশের মার খেয়ে বাড়ি ফিরলো। বয়স্ক মানুষ, তার ওপর লাঠির বাড়িতে পিঠে হাতে পায়ে আঘাত পেয়ে ক'দিন প'ড়ে থাকলো। স্থানীয় কয়েকজন যুবক পড়শী বললো, চাচা , তুমি ভুল করেছো।আমাদের সাথে চলো।সব ম্যানেজ হ'য়ে যাবে। আসলে পুলিশকে আগে থেকে বখরা দিয়ে রাখলে আর কিছু বলবে না। তাদের কথা মতো সে তাদের সাথে গিয়ে ভোর ভোর পাইকারি বাজার থেকে কেনাকাটা ক'রে দিব্বি ফেরিকাজ চালাতে লাগলো। সে নিজে পুলিশের সাথে দরদস্তুর করে না।
পাড়ার যুবক ফেরিওয়ালারা হপ্তার টাকা দিয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করে।
এইভাবে সে বহরমপুর লাগোয়া শহরতলিতে সবজি ফেরি করে গলি গলি দিয়ে সাইকেল নিয়ে গিয়ে। সব দিন নয় , সপ্তাহে মাত্র দু'দিন।তাতে তো চলে না।তাই সে তার ছেলে পোতা নাতজামাই সবাইকে
এই কাজে নামিয়ে দ্যায় সপ্তাহের অন্যান্য দিন। লকডাউনের ভিতর। কেউ কেউ পুলিশের তাড়া খায়, মার খায় আর রফা ক'রে নেয়। তারা মুখে মাস্ক / গামছা বাঁধে।
আর দূরে দূরে থেকেই কাজ সারে। শহরতলির পাকাবাড়ির মানুষগুলোর অবস্থা অনেকটা স্বচ্ছল। তারা অনেকেই এখন বাজারে যায় না । তারা এই সব নতুন ফেরিওয়ালাদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় ফলসবজি মাছ ডিম কিনে ও বন্দী জীবন কাটায়।বাড়িতে এই সব ফেরিওয়ালাদের মা বোন স্ত্রীরা সব সময় আশঙ্কায় থাকে পুলিশের মারধোর ও অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আতঙ্কে। তাদের দিন যেন কাটতে চায় না।
ওই গ্রামের একটু স্বচ্ছল পরিবার নিয়াজুদ্দীনের। তার মেয়ে রেহেনা দ্বাদশ ক্লাশে শহরে পড়তে যেতো সাইকেল নিয়ে।
তার এখন লকডাউনে স্কুল বন্ধ। টানা লকডাউনে শোনা যাচ্ছে তাদের অনলাইন ক্লাশ শুরু হয়েছে। কিন্তু রেহেনার তো স্মার্ট ফোন নাই। ফোনের নেটের খরচও তার বাপ-মা চালাতে পারবে না। তার স্বপ্ন সে কলেজে পড়তে যাবে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তার মানসিক বিচ্যুতি ঘটে। চরম হতাশায় সে একদিন বিষ খেয়ে নেয়। তাকে গাঁয়ের পড়শী লোকজন ডোমকল মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার পাকস্থলী থেকে ওয়াশ ক'রে বিষ বের করা হয়।টানা তিনদিন অসুস্থ থাকার পর
তার জ্ঞান ফিরে। সে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়েওঠে। আবার এর উল্টো দিকে, যেসব আড্ডাবাজ যুবক প্রৌঢ়েরা গাছতলায় মাচা ক'রে আড্ডা দ্যায় তারা করোনার পরোয়া করে না।তারা দুবেলা আড্ডাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে।পুলিশ দু-একদিন এসে তাড়া করেছিল বটে, কিন্তু এতো মানুষের দিনগত হা-হুতাশ ও অভাব অনটনের মধ্যে সেসব উবে যায়।জীবন চলতে থাকে।
আবুল হাশেমের কথায় আসি। তার এক নাতনীর বিয়ে ঠিক হয়েছিল পাশের গাঁয়ে। ছেলে শহরে একটা কাপড়ের দোকানে কাজ করতো। দোকান এখন বন্ধ। তার আয়ও বন্ধ। এদিকে বিয়েও বন্ধ। সেও বাড়িতে ব'সে ব'সে বিরক্ত হয়। কতো আর ঘরবাহির পুকুরপাড় ইত্যাদি করা যায়? সে ছেলে পাশের বাড়ির একটা যুবতী মেয়ের সাথে ফষ্টিনষ্টি কথা চালাচালি করতে করতেই তাদের মধ্যে খুনসুটি ভাললাগা ভালবাসা শুরু হয়। মেয়েটি দেখতে শুনতেও মন্দ না।
ওতেঘাতে সময় অসময় তাদের বাড়িতে ছেলেটি যায় আর প্রায় শূণ্য বাড়িতে তারা অবাধ মেলামেশা করে।মেয়ের মা জেনেশুনে এই সব প্রশ্রয় দ্যায়। বিষয়টি জানাজানি হ'তেই গ্রামের লোকজন ছেলের বাপকে চেপে ধরে তার ছেলের এরকম মাখামাখির অপরাধে। আর চাপে প'ড়ে সেই ছেলেটি ওই মেয়েটিকে বিয়ে ক'রে নিয়েছে। কাজী ডেকে দু'জনের বিয়ে পড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ যাতে বাধা না দিতে পারে তার জন্য কোনো আয়োজন করা হয়নি। সে এখন একটা ছোট রেডিমেড কাপড়ের দোকান দিয়েছে বাড়ির লাগোয়া ঘরে। অল্প পুঁজি। তাই ছেলেটি ফোনটোন ক'রে শহরে জিনিস কিনতে গেলে তার বৌ দোকান চালায়।---- খবর পেয়ে যায় হাশেম।
হাশেম এ বিষয়ে খুব দুশ্চিন্তাগ্রস্ত।লকডাউন
না এলে তো নাতনির বিয়েটা হ'য়েই যেতো।
এখন আবার তার পাত্র দেখতে হবে। গাঁয়ের ব্যাপার ।প্রায় কোনো কিছুই লুকোছাপা থাকে না।আর মহিলাদের সেরকম কাজ না থাকায় তারা স্নানের ঘাটে পথে সংসারের কাজের ফাঁকে ফাঁকে বেশী পরচর্চা করে।
হাশেমের নাতনি ক্লাশ সেভেন অবধি পড়াশুনা করেছে। সেও তার বাপকে রাজী করিয়ে বাড়ির সাথের একটা ঘরে ছোটখাটো মুদীর দোকান খুলে দ্যায়।
ওর বাপ মানে হাশেমের দ্বিতীয় ছেলে আলিম সপ্তাহে এক দুদিন ফেরি ক'রে ফেরার পথে দোকানের দরকারী জিনিসপত্র এনে দ্যায়। মেয়ে দোকান চালায়। দোকানে মেয়েদের ছোটখাটো জামাকাপড় পাওয়া যায় , মাস্ক পাওয়া যায়। লকডাউনে তার দোকানেও খুচখাচ বিক্রি হ'তে শুরু করে।
সৌদি থেকে একজন গাঁয়ের যুবক বছর খানেক আগে ফিরে এসেছে। সে বাড়ি না ক'রে কিছু জমিজমা করেছে। আলিমের এই দোকানী মেয়েটাকে তার মনে ধরে। সে বিয়ের প্রস্তাব পাঠায়। আলিম তার বাপের সাথে পরামর্শ করে। এই লকডাউনের মধ্যেই পারস্পরিক পাত্রপাত্রী দেখাশুনা সেরে ফেলে। এবার আর দেরী করতে চায় না। কাজী ডেকে বিয়ে পড়িয়ে দ্যায়।জামাই কোনো কোনোদিন রাতে শ্বশুর বাড়িতে থাকে।মানা করার কিছু নাই। জীবন এগিয়ে চলে।ভালোবাসায় প্রেমে নবদম্পতির আবার দূরত্ব কীসের? সব তুড়ি মেরে উড়িয়ে দ্যায়। মেয়ে জামাই মাঝে মধ্যেই যৌন জীবন যাপন করে। এতো কষ্টের মধ্যেও তারা সুখী।
---- সেই মেয়েটি যে বিষ খেয়েছিল, রেহেনা , ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠে।ফোনে তার সহপাঠীদের সাথে যোগাযোগ হয়। বলা যায় , তার সহপাঠীরাই তাকে উজ্জীবিত ক'রে তোলে।গ্রামগঞ্জের অনেক ছাত্রছাত্রীর তো স্মার্ট ফোন নাই, নেট নাই। তাই ব'লে কি তারা আত্মহত্যা করবে ? তার সহপাঠীরাই
চাঁদা তুলে তার একটা স্মার্ট ফোনের ব্যবস্থা ক'রে দ্যায়। কয়েক মাসের নেটও তারা ভ'রে দ্যায় যাতে সে হতাশা কাটিয়ে ওঠে। একদিন না একদিন স্কুল চালু হবেই।তাই তারা তার পাশে আছে। হতাশ হওয়ার কিছু নাই।
এবার রমজান মাসও লকডাউনের মধ্যে এসে গেছে । শেষ ও হ'য়ে গেছে। তাতেও এই শ্রমজীবি মানুষগুলোর পরোয়া নাই। রোজা মুখেই তারা কাজ ক'রে গেছে।পেট চালাতে হবে সংসার চালাতে হবে।
আলিম , প্রভাত ,অমল মোটামুটি একই দিকে ফল সবজি মাছ ফেরী করতে আসে। তাদের রাস্তায় দেখা হ'লে কথাবার্তা হয়। প্রভাতের বাড়ি একটু দূরে বাগডুবিতে ,অমলের কমলপুর, সব গ্রাম পাশাপাশি।
সেসব গাঁয়ের চিত্রও এক রকম। মানুষ নাজেহাল।যারা দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ, তাদের কষ্টের কোনো ভেদাভেদ নাই।যারা ভিখারী শ্রেণীর মানুষ , তাদেরও চরম সংকট।গেরস্থ ঘরবাড়ি বন্ধ। ট্রেন বন্ধ। সরকারী সাহায্য অধরা।
আরো একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে।যে সব পরিযায়ী শ্রমিকরা বাইরে কাজে গেছিল , তারা মাস তিনেকের মাথায় সব যে যার গ্রামে ফিরে আসতে শুরু করেছে।এখন করোনার সংক্রমণ দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে। প্রতিদিন নতুন নতুন কেস ধরা পড়ছে , নতুন নতুন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে।
এর মধ্যেই আবার আনলক-১ শুরু হয়েছে।
সীমিতভাবে দোকানপাট বাজারহাট খুলে দেওয়া হচ্ছে। লোকজন বন্দী অবস্থায় থেকে থেকে অনাহারে অর্ধাহারে বিনা- জীবিকায় বিপর্যস্ত। এখন সব জায়গায় ভিড় শুরু হয়েছে।
মাঝে বেশ কিছূদিন হাশেম ফেরী করতে আসছে না।তার এক পোতা সেলিম,যে ডিম ফেরি করতে আসে , তার কাছ থেকে জানা গেল, তার দাদুর জ্বর কাশি হয়েছে। এটা যারা শুনছে , তারা আর তার কাছ থেকে ডিম নিচ্ছে না। তার পাশাপাশি ওই গাঁয়ের যে সব ফেরিওয়ালা আসে , যারা তাদেরকে চিনে জানে, তারা তাদের কাছ থেকেও কিছু কিনছে না । কারণ করোনার আতঙ্ক এমনই। তারা কিছু মালপত্র বিক্রি ক'রে ফিরে যায়। অন্য ফেরিওয়ালাদের দিয়ে বাড়ি ফিরে যায় ।- - - হাশেমকে স্থানীয়
হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সে বয়স্ক। তবে খাটুনে শরীর , তাই সে হয়তো এই ধাক্কা কাটিয়ে উঠেছে।তবে তার পরিবারের সদস্যদের কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হয়। হাসপাতালে সেই ব্যবস্থা নাই ব'লে বাড়িতেই ঘরবন্দী থাকতে বলা হয়।১৪ দিন। বাড়িতে সে রকম ঘর কোথায়?
তবে এখন হাবভাব পরিস্থিতি যা দেখা যাচ্ছে তাতে দেশের শ্রমিক মজুর বিশেষতঃ যুব সম্প্রদায় নারী পুরুষ নির্বিশেষে করোনার আতঙ্ককে উপেক্ষা ক'রে কাজে নেমে পড়ছে।তারা কোনো কিছুই পরোয়া করছে না।তাদের যেমন কাজকর্ম চায় জীবিকা চায় আনন্দ উত্তেজনা চায় তেমনি প্রেম ভালবাসাবাসি পরকীয়া বিনোদন সবকিছু চায়।সব নিত্য প্রয়োজন। সংসারে ছেলে মেয়ে বৌ আত্মীয়স্বজন সবাইকে কি আর দূরে রাখা যায় ? হয়তো তাদের উদ্যমেই একদিন করোনা পরাজিত হবে জেগে উঠবে সাধারণ স্বতঃস্ফূর্ত জীবন।।তবে সবাই তো করোনার স্বাস্থ্যবিধি ঠিকমতো মানছে না ,এটিই , এটিই বড়ো শঙ্কার। আরও সংরমণ বাড়ার সমূহ আশঙ্কা থাকছেই
(১৪৯৬ শব্দ )
© বদরুদ্দোজা শেখু ,বহরমপুর
--------------------------------------------------
--লেখকের নাম-- বদরুদ্দোজা শেখু
ঠিকানা-- 18 নিরুপমা দেবী রোড , বাইলেন 12 ,
শহর+পোঃ- বহরমপুর , জেলা--মুর্শিদাবাদ,
PIN -742101
পঃ বঙ্গ , ভারত ।
হো• অ্যাপ নং 9609882748
--------------------------------
লেখক-পরিচিতি
-------------------
লেখকের নাম --- বদরুদ্দোজা শেখু-র জন্ম ১৯৫৫ সালে ফেব্রুয়ারীতে মুর্শিদাবাদ জেলার ঠাকুরপাড়া গ্রামে ।ক্ষুদ্রচাষী সাইফুদ্দীন সেখ ও গৃহবধূ ফজরেতুন্নেশা বিবির সন্তান। দারিদ্র্যের মধ্যেই গণিতশাস্ত্রে স্নাতকোত্তর ।পেশায় অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক। নেশায় কবিতা লেখালেখি। শোভা গোস্বামীকে বিবাহ করেছেন।
এযাবৎ প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ অলৌকিক আত্মঘাত, দুঃস্বপ্নের নগরে নিভৃত নগ্ন,শব্দ ভেঙে সংলাপ,আরো থোড়া দূর,এবং পরী ও পেয়ালা ।তাঁর কবিতা অদলবদল , সপ্তাহ, দৌড় , কবিতীর্থ ,শব্দনগর, ঋতুযান ,একুশে বর্ণমালা প্রভৃতি পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত । বিভিন্ন পত্রিকাগোষ্ঠী থেকে একাধিক সম্মাননা পেয়েছেন।- - -
তিনি কিছু কিছু অণুগল্প ও ছোট গল্পও লিখেন
-------------------------------------------