বড় ভাই, তারপর তিন বোন।
ছোট বোনের শ্বশুর বাড়ি, বাপের বাড়ি এক গ্রামে বলে, তার স্থায়ী রূপে পৈতৃক ভিটেয়।
স্বামী
– স্ত্রী গতানুগতিক ও মসৃণ জীবনে অভ্যস্ত। দশ চারটের স্কুল। এক স্কুলে
চাকরী, প্রেম এবং বিয়ে। লম্বা ছুটিতে কখনও মুসৌরী, মায়ানমার, মধুপুর কিম্বা
মায়াপুর।
ঊর্মিমালার মা অর্থাৎ অনির্বাণের শ্বাশুড়ির শেষদিন অব্দি বিশ্বাস ছিল বড় ছেলে জ্যোতি ঠিক ফিরবে।
সে নাকি স্কটল্যান্ডে থাকে।
অনির্বাণ বলে, ও যে নকল জ্যোতি নয়, তার নিশ্চয়তা কোথায় ? শ্বাশুড়ীর সাড়ে তিন একর জমি জ্যোতির নামে।
প্যান কার্ড চাই, আধার কার্ড চাই।
জ্যোতি বলে, হ্যাঁ রে পুঁটি, তোর ডানহাঁটুর নীচে সেই গোল দাগটা আছে।
বুচগাছে ঝারুলঝাঁপ খেলতে গিয়ে পড়লি আর সেন্সলেস। বড় পাথরে হাঁটুর নীচটা কেটে গেল।
সে মোটেই পুঁটি নয়, ঊর্মি ম্যাডাম।
অনির্বাণ বলে কী যাতা বলছেন। কোনো দাগ – ফাগ নেই। বলতে বলতেই স্বামী স্ত্রীর হাঁটুর কাপড় তুলে দেখায়।
জ্যোতি বলে, তুমি কী রকম স্বামী হে।
বউয়ের হাঁটুর নীচে এই যে পুরোনো দিনের রূপোর টাকার মতো যে গোল দাগটা তা একবারও তোমার চোখে পড়েনি ?
===============
দেবাশিস সরখেল *** রঘুনাথপুর *** পুরুলিয়া (পশ্চিমবঙ্গ), সূচক – ৭২৩১৩৩
ফোন – ৯৯৩২৬৬৭৮৮১
=========================================================