পরিণাম
আশিস ভট্টাচার্য্য
ছোটবেলা থেকেই গরিব পরিবারের কাকলি বুঝেছিল তার রুপ আর মিষ্টি হাসির বিনিময়ে সে অনেক সুখ অনেক আরাম পেতে পারে। অল্প বয়সে পালিয়ে বিয়ে করলেও তার বর তার চাহিদা মেটাতে পারত না। সে এক সন্তান নিয়ে গোপনে পালালো অন্য একজনের সাথে ঘর বাঁধতে। এবার এল একটি মেয়ে কিন্তু অভাব ছাড়লো না।আচমকা পরিচয় এক ক্রিমিনালের সাথে, সে বয়সে অনেক বড় হলেও তাকে দুর্দান্ত তৃপ্তি দিতে পারে। নির্লজ্জ কাকলি তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে ক্রিমিনাল সঞ্জয় তাকে দুটো শর্ত দেয়। দুই ছেলে মেয়েকে সে নেবে না, ওদের বাবার কাছে রেখে আসতে হবে। এবং দ্বিতীয়টি হলো তার কিছু অবৈধ ব্যবসা আছে সেগুলোতে তাকে খুব খাটতে হবে। সবদিক থেকে ক্ষুধার্ত তৃষ্ণার্ত কাকলি এক কথায় রাজি হলো। শুরু হলো সংসার। সঞ্জয়ের ধূর্ত বুদ্ধি কাকলির রূপ যৌবন। বহু যুবক পৌঢ ফাঁদে পা দিল। বিশাল বাড়ি ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন , গিজারে ভর্তি হতে থাকলো। সে মদ খাওয়ার নাম করে পুরুষদের ডেকে আনে। নেশার মাঝপথে সে ও সঞ্জয় চড়া সুদ দেবার নাম করে টাকা ধার চায়। একদিন সে ভাসুর, উত্তর দেওরদের জমির দলিল জাল করে নিজের নামে করে নেয়। সরকার ওই জমি ব্রিজ হবার জন্য অধিগ্রহণ করলে দেড় কোটি টাকা পায়। এ পর্যন্ত সুখের চোরাবালিতে ডুবে যাওয়া কাকলি একদিন দেখল দলিল জালের জন্য আদালতের সমন। তার তৃতীয় পক্ষের ছেলে আচমকা পাগল হয়ে গেছে।ক্রিমিনাল সঞ্জয় একটা অ্যাক্সিডেন্ট করে চিরদিনের জন্য পঙ্গু ,অচল।
মামলায় তার জেল হল। সে অসহায় বর ও ছেলেদের কথা ভাবতে থাকল।
ছবিঋণ- ইন্টারনেট ।
--------------------------
আশিস ভট্টাচার্য্য
শান্তিপুর, নদীয়া।
সানন্দা, অদ্বিতীয়া সহ বিভিন্ন পত্রিকায় লেখালেখি করেছেন।